দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ডিজিটাল ক্যামেরায় ফেস ডিটেকশান টেকনোলজি নিয়ে আমাদের অনেক কিছুই অজানা। এটি আসলে সম্পূর্ণ আলাদা কাজে ব্যবহার হয়ে থাকে।
এই ক্ষেত্রে আপনি ম্যানুয়ালি ক্যামেরার তোলা ছবির প্রিভিউ অপশন হতে ফেস ডিটেক্ট করে তাতে আপনার মন মতো করে ইফেক্ট ও ফিনিশিং টাচও দিতে পারবেন। একটি ফেস ডিটেকশান টেকনোলজি ওয়ালা ডিজিটাল ক্যামেরার সিম্পল লজিক ডায়াগ্রামটি মূলত এই রকমই হয়ে থাকে। এই ফেস ডিটেকশান টেকনোলজির ফিচার ও ব্যবহার সম্পর্কে আজ জেনে নিন।
ফেস সিলেকশান ও ট্র্যাকিং
সাবজেক্টের ফেস-এর উপরে আপনার ফোকাস ফিক্স করে দেওয়ার পর আপনি চাইলেই সেই ফেস এ অনুপাতে সিলকশান রেজ্ঞ সিলেক্টও করতে পারবেন। ফেস সিলেক্ট করা ও ফাংশান ট্র্যাক করার পর আপনাকে নিমোক্ত দুটি সেটিংস কনফিগার করে নিতে হবে। অঋ ফ্রেম সিলেক্ট করতে হবে ফেস ডিটেকশানের জন্য। এই ডিটেকশান কনফার্ম করার জন্য আপনাকে প্রিন্ট শেয়ার বাটন অপশনে গিয়ে ফেস ডিটেক্ট সিলেক্ট করতে হবে।
এএফ পয়েন্ট জুমিং
এএফ ফ্রমের ব্যবহার আগেই বলেছি। এর সাহাঘ্যে নির্দিষ্ট ফেস আপনি চাইলেই ছবি তোলার সময় অথবা চাইলে পরেও সিলেক্ট করে নিতে পারবেন। এই এএফ পয়েন্টে আরেকটি চমৎকার ফিচার হলো এএফ পয়েন্ট জুমিং। আপনি চাইলেই ছবি তোলার সময় অথবা তারপরেও আপনি এই জুমিং অপশন ব্যবহার করতে পারবেন। ফটো ফোকাসিং ঠিক করা ও কারও এক্সপ্রেশানকে ঠিক করতে এই টেকনোলজি আপনি ব্যবহার করতেই পারবেন। আপনি যদি কোনো শৌখিন ফটোগ্রাফার হয়ে থাকেন, তাহলে তো কোনো কথাই নাই। তাছাড়াও ম্যাক্রো মোডের ক্ষেত্রেও আপনাকে ফোকাসিং করতে সাহাঘ্য করবে এই জুমিং অপশনটিই।
ফেস ডিটেকশান (AF/AE/FE/WB)
এই ফেস ডিটেকশান টেকনোলজিটি আরও সুবিধা যোগ করে দিয়েছে ডিজিটাল ক্যামেরার ক্ষেত্রে। শুধুমাত্র ফেসকে ডিটেক্ট করা ছাড়াও ফোকাস, এক্সপোজার, হোয়াইট ব্যালান্স-এর মতো সুক্ষ টাস্ক আপনি চাইলেই ম্যানুয়ালি বা অটো সেটআপ করতে পারবেন। ফ্ল্যাশের সময় অটোমেটিক্যালি ফেস ইলুমিনেশান ফোকাসিংকে আরও সুবিধাজনক অবস্থায় নিয়ে এসেছে। এই ইলুমিনেশানের জন্য ফোকাসিং ও ফেসিং সব সময়ই সুবিধা জনক অবস্থানে রাখা হয়ে থাকে।
রেড আই কারেকশান
এখন থেকে ছবিতে যাওয়ার সময় রেড আই পরে গেলে ফটোশপে আর ঘষামাজা করতে হবে না। ফেস ডিটেকশান টেকনোলজি ব্যবহার করে রেড আই ইফেক্টটা রিজলভ করে দিলেই চলবে। কিছু কিছু এক্সেপশনাল কেস এ এটি অটোমেটিক্যালি এই রেড আই খুঁজে বের করে ও কারেকশান করে দেয়। আবার আপনি ইচ্ছে করলেই ম্যানুয়ালি ডিটেক্ট করে কারেক্ট করে নিতে পারবেন অনায়াসে। এই ক্ষেত্রে রেড আই শ্যাডো অপশনের সাহায্যে আপনি কারেকশানও করতে পারবেন। তার জন্য আপনাকেই বেছে নিতে হবে। আরেকটা কথা কারেক্ট করা হয়ে গেলেই ইমেজ অটোমেটিক্যালি মেমরি কার্ডে সেভও হয়ে যাবে। আপনাকে আবারও ম্যানুয়ালি করার ঝামেলায় যাওয়ার প্রয়োজন নেই।
ট্রিমিং
তোলা ছবির কোনো নির্দিষ্ট অংশকে ট্রিমিং করতে চাইলে এখানে সংযুক্ত রয়েছে ক্যামেরা- সাইড ট্রিমিং অপশনটি। এএফ ফ্রেমে ফেস ডিটেকশানের মাধ্যমে নির্দিষ্ট অংশ সিলেক্ট করা হয়ে যাওয়ার পর। কোনো কোনো ক্ষেত্রে মাল্টিপল ইমেজ ডিটেকশানও করা হয়ে থাকে। ট্রিমিং-এর এই ফ্রেম এক ফেস থেকে আরেক ফেসে সুইচ করাতে প্রিন্ট/শেয়ার অপশন ব্যবহারও করা যেতে পারে। অনেকটা ঠিক ট্যাব বাটনের মতোই। তাছাড়াও আরেকটি মজার বিষয় হচ্ছে অন্য কামেরায় তোলা ছবিতে এই ফেস ডিটেকশান টেকনোলজির মাধ্যমে আরও সুন্দর ফিনিশিং টাচও দেওয়া সম্ভব।
ফোকাস চেকিং
আগের চাইতেও আরও ভালোভাবে ফোকাসিং-এর কাজ করা যাবে। আপনি চাইলেই ছবি তোলার সময় বা এরপরই ফোকাসটি দেখে নিতে পারেন। ফোকাস যদি আপনার মনের মতো জায়গায় না হয়ে থাকে তাহলে আপনি চাইলেই প্লেব্যাক করে ফোকাস আরেক জায়গায় নিয়েও যেতে পারবেন। তথ্যসূত্র: ইত্তেফাক।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।