দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শুভ সকাল। শুক্রবার, ১৫ এপ্রিল ২০২২ খৃস্টাব্দ, ২ বৈশাখ ১৪২৯ বঙ্গাব্দ, ১৩ রমজান ১৪৪৩ হিজরি। দি ঢাকা টাইমস্ -এর পক্ষ থেকে সকলকে শুভ সকাল। আজ যাদের জন্মদিন তাদের সকলকে জানাই জন্মদিনের শুভেচ্ছা- শুভ জন্মদিন।
যে মসজিদটি আপনারা দেখতে পাচ্ছেন সেটি দেশের সবচেয়ে দৃষ্টিনন্দন মসজিদ চাঁদপুরের প্রফেসর পাড়া মিয়াজী বাড়ি জামে মসজিদ। মসজিদটির ভেতরে বাইরে সবখানেই কারুকার্যের ছোঁয়া।
কয়েকেটি খুঁটির ওপর ভিত্তি করে দাঁড়িয়ে রয়েছে পুরো মসজিদটি। সিরামিকের ইট নিখুঁতভাবে গেঁথে বানানো হয়েছে দ্বিতল মসজিদের চারপাশের দেওয়ালগুলো। ছাদে উঠার জন্য শুধুমাত্র একটি লোহার অ্যাঙ্গেলের ওপর কাঠের পাটাতন দিয়ে বানানো সিঁড়ি এতে ব্যবহার করা হয়েছে।
চারদিকে দেওয়াল ঘেঁষে দৃষ্টিনন্দন এবং পরিবেশ বান্ধব গাছের ভেতর থেকে উঁকি দিচ্ছে এটি। দূর থেকে কেও দেখলে ভাববে যে, এটি হয়তো আলিশান কোনো বাংলো হবে। ব্যতিক্রম ডিজাইনে নির্মিত স্থাপনাটির সঙ্গে দেশের আর কোনো মসজিদের মিল খুঁজে পাওয়া যাবে না। মসজিদের সুসজ্জিত পরিবেশ ও নানা রকমের কারুকার্য দেখলে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষ যে কারও চোখ জুড়িয়ে যাবে তাতে সন্দেহ নেই।
মসজিদটির সিঁড়ির কাঠের পাটাতনগুলোও এতো নিখুঁতভাবে গাঁথা হয়েছে, যা দেখলে মনে হয় যেনো একটি ঝুলন্ত সিঁড়ি। মসজিদের ভেতরে দেওয়ালের মাঝখানে সিরামিকে লেখা রয়েছে আল্লাহর ৯৯টি গুণবাচক নাম। জানালার সামনে সিরামিকের ফাঁকে ফাঁকে টানানো রয়েছে দৃষ্টিনন্দন বাঁশের তৈরি চাটাই। একই সঙ্গে মসজিদের ভেতরে ও বাইরে শোভা পাচ্ছে দিগুণ আলোর বাতি।
মসজিদটির সৌন্দর্য বর্ধনে তার সামনের অংশেই রয়েছে বিভিন্ন জাতের ফুল গাছ। রাতের বেলায় ফুল গাছ ও লাইটের আলোয় পুরো মসজিদটি দেখে মুগ্ধ হবেন সবাই।
জানা গেছে, মসজিদ কমিটির সভাপতি মাহাতাব উদ্দিন সুমন মিয়াজী এবং সাধারণ সম্পাদক কবির আহমেদ মিয়াজীর উদ্যোগে জামে মসজিদটির প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। ২০১৪ সাল থেকে শুরু হয়ে ২০১৬ সালে মসজিদটি নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়। ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের ইঞ্জিনিয়ার রবিউল ইসলামের তত্ত্বাবধানে মসজিদটির ডিজাইন নির্মাণ কাজ করা হয়েছে। অনেকের মতে, দেশের সবচেয়ে নজরকাড়া মসজিদ হলো এই চাঁদপুরের প্রফেসর পাড়া মিয়াজী বাড়ি জামে মসজিদ। তথ্যসূত্র: https://www.daily-bangladesh.com
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।