দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ হজমের সমস্যা ছাড়াও বমি, জ্বর, আমাশা বিভিন্ন উপসর্গের হাত ধরেই এই অসুখটি বাসা বাঁধতে পারে আমাদের শরীরে। সমাধানে আপনাকে যা করতে হবে।
গরমের সময় একটু তেলমশলাদার রান্না খেলেই পেটের সমস্যায় পড়তে হয়। তা ছাড়াও বিয়েবাড়ি, অফিসের পার্টি তো লেগেই থাকে। খাওয়া-দাওয়ার অনিয়ম যতো বাড়ে, ততোই খাদ্যে বিষক্রিয়ার আশঙ্কাও বাড়তে থাকে। গরমে এই অসুখের প্রবণতা বাড়লেও সারাবছরই খাদ্যে বিষক্রিয়ার ভয় তাড়া করে বেড়ায়।
অনিয়ন্ত্রিত খাদ্যাভ্যাস, অপরিষ্কার পানি, বিশেষ কোনও খাবার সহ্য না হওয়া বা ব্যাক্টেরিয়া-ছত্রাক সংক্রমিত খাবার থেকেও এই অসুখ ছড়াতে পারে। খাদ্যে বিষক্রিয়ার শিকার হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে দ্রুততম সময়ের মধ্যে। অবহেলা করলে এই অসুখে মৃত্যুও ডেকে আনতে পারে।
বিশেষ কয়েকটি খাবার নিয়ম করে খেলে এই বিষক্রিয়া হতে দ্রুত মুক্তি পেতে পারেন:
অ্যাপেল সাইডার ভিনেগার
অ্যাপেল সাইডার ভিনেগার এর অ্যান্টিব্যাক্টেরিয়াল গুণ পেটে সংক্রমণের কমাতে সাহায্য করে। ঈষদুষ্ণ গরম পানিতে ২ চামচ আপেল সিডার ভিনেগার মিশিয়ে খান। তাতে করে দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠবেন।
কলা
পটাশিয়াম এবং ফাইবারে ভরপুর কলাও খাদ্য বিষক্রিয়া কমাতে ভীষণ উপকারী। এই সময় দিনে ২ থেকে ৩টি কলা খেতে পারেন।
তুলসি পাতা
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে এই তুলসি পাতার জুড়ি নেই। খাদ্য বিষক্রিয়ায় আক্রান্ত হলে প্রতিদিন সকালে খালি পেটে গোটা পাঁচেক তুলসি পাতা এবং দুটি এলাচ চিবিয়ে খেয়ে নিলে সংক্রমণ কমবে।
রসুন
রসুনে অ্যান্টিব্যাক্টেরিয়াল এবং অ্যান্টিফাংগাল গুণ রয়েছে। প্রতিদিন খালি পেটে এক কোয়া রসুন খেলে টক্সিন পদার্থগুলি শরীর হতে বেরিয়ে যায়। আবার পেটের অসুখ হলেও রসুন খেতে পারেন। খালি রসুন খেতে না পারলে এক চা চামচ মধু মিশিয়ে তারপর খেতে পারেন। তাহলে সংক্রমণের হাত থেকে রেহাই পাবেন।
জিরা
পেটের যে কোনও সমস্যা দূর করতে জিরার কোনও বিকল্প নেই। খাদ্যে বিষক্রিয়া হলে পেটে অস্বস্তি হয়ে থাকে। এ ক্ষেত্রে পাকস্থলির সংক্রমণ কমাতে একিটিপাত্রে পানি নিয়ে তাতে জিরা, ধনেপাতার রস ও অল্প পরিমাণ লবণ মিশিয়ে বেশ কিছুক্ষণ ফুটিয়ে নিন। হালকা ঠাণ্ডা হলে এটি খেয়ে ফেলুন। পেটের যন্ত্রণা যেমন দূর হবে, আবার ব্যাক্টেরিয়াও ধ্বংস হবে। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।