দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস), তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগ এবং অ্যাসপায়ার টু ইনোভেট (এটুআই) ইনোভেশন ল্যাব এর উদ্যোগে যৌথভাবে ব্লকচেইনভিত্তিক ট্রেসেবিলিটি চ্যালেঞ্জ ২০২২-এর উপর একটি নলেজ সেশন আয়োজিত হয়েছে। সম্প্রতি (২৩ এপ্রিল, ২০২২) বেসিস মিলনায়তনে এই সেশন অনুষ্ঠিত হয়।
বেসিস সভাপতি রাসেল টি আহমেদ এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ও স্বাগত বক্তব্য রাখেন বেসিস পরিচালক একেএম আহমেদুল ইসলাম বাবু। আলোচনায় অংশ নেন এটুআই প্রোগ্রামের পলিসি উপদেষ্টা অনীর চৌধুরী, লেদারগুডস অ্যান্ড ফুটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সভাপতি সৈয়দ নাসিম মঞ্জুর এবং এগ্রো ফুড আইএসসির চেয়ারম্যান মোঃ শফিকুর রহমান ভূঁইয়া। অনুষ্ঠানে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক বেসিস সদস্য কোম্পানির নেতৃবৃন্দ অংশ নেন।
বেসিস সভাপতি জনাব রাসেল টি আহমেদ বলেন, আমাদের উচিত বাংলাদেশের বিভিন্ন খাতের অ্যাসোসিয়েশন এবং জেলা চেম্বারের নেতৃবৃন্দের সাথে তাদের সমস্যাগুলো চিহ্নিত করা এবং সেই অনুযায়ী আইসিটির মাধ্যমে সমাধান নিয়ে আসা। অত্যাধুনিক প্রযুক্তিগত সমাধান প্রদানের মাধ্যমে স্থানীয় বাজার দখল করার এই উদ্যোগটি উৎপাদনশীলতা বাড়াবে। যেমন আজ আমরা একটি অধিবেশন করছি, ইহা ব্লকচেইন-ভিত্তিক ট্রেসেবিলিটি সলিউশন সরবরাহ করার জন্য যা দেশের সকল খাতের জন্য বাস্তবায়নযোগ্য ও টেকসই হবে।
বেসিস সভাপতি আগামী অক্টোবরের মধ্যে একটি পাইলট প্রোগ্রাম চালুর উপর জোর দেন এবং আগামী বছরের মধ্যে একটি বড় ধরণের সল্যুউশন আনার কথা বলেন।
একেএম আহমেদুল ইসলাম বাবু বলেন, এই চ্যালেঞ্জের লক্ষ্য হল সকল খাতের নির্ণয়যোগ্য সমস্যাগুলো সমাধান করার জন্য স্থানীয় আইটি-ভিত্তিক সল্যুউশনগুলোকে কাজে লাগানো।
এটুআই প্রোগ্রামের পলিসি উপদেষ্টা আনীর চৌধুরী ও ব্লকচেইন একাডেমি ফর রিসার্চ, এডুকেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের প্রধান খোন্দকার আতিক ই রব্বানী ব্লকচেইন প্রযুক্তি এবং চ্যালেঞ্জ সম্পর্কে একটি ব্রিফিং প্রদান করেন। আনীর চৌধুরী বলেন, ব্লকচেইন-ভিত্তিক ট্রেসেবিলিটি চ্যালেঞ্জের তিনটি লক্ষ্য রয়েছে। প্রথমটি হল একটি জেনেরিক ব্লকচেইন-ভিত্তিক সমাধান যা নির্দিষ্ট সমস্যার সমাধান করবে। দ্বিতীয়টি হলো স্থানীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে বাংলাদেশি আইটি কোম্পানিগুলোকে এই ডোমেইনে বিশেষজ্ঞ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করা। তৃতীয়টি হল একটি সহায়ক ইকোসিস্টেম তৈরি করা যাতে সঠিক নীতি বাস্তবায়ন অন্তর্ভুক্ত থাকে।
লেদারগুডস অ্যান্ড ফুটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সভাপতি সৈয়দ নাসিম মঞ্জুর চামড়া শিল্পের চ্যালেঞ্জ এবং বিদেশি বাজারে চামড়াজাত পণ্য ও পাদুকা খাতের ভাবমূর্তি বৃদ্ধির প্রয়োজনীয়তার কথা তুলে ধরে বলেন এগুলো যথাযথভাবে মোকাবেলা করা যেতে পারে এবং এই মুহুর্তে ট্রেসেবিলিটি সমাধানের জন্য, বিশেষত স্থানীয়ভাবে উন্নত।
এছাড়াও বক্তব্য রাখেন এগ্রো ফুড আইএসসি চেয়ারম্যান মোঃ শফিকুর রহমান ভূঁইয়া, এটুআই প্রোগ্রামের ইনোভেশন ল্যাবের হেড অব টেকনোলজি ফারুক আহমেদ জুয়েল, অস্তানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ ইবনুল ওয়ারা প্রমুখ। খবর সংবাদ বিজ্ঞপ্তির।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।