দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ অতিরিক্ত মালপত্রের জন্য বিমানে বাড়তি টাকা খরচ করতে কেওই চান না! তাহলে উপায় কী? প্যাকিং করার সময় একটু বুদ্ধি খাটালেই আপনি এই ঝক্কি-ঝামেলা এড়াতে পারেন।
বেড়াতে যাওয়ার কথা শুনলেই মনে আনন্দের আর সীমা থাকে না। তবে ব্যাগ গোছানোর কথা ভাবলে রীতিমতো গায়ে জ্বর আসে! প্লেনে যেতে চাইলে নিয়ম বাঁধা রয়েছে। দেশের মধ্যে ২০ কিলোর বেশি জিনিস নেওয়া যাবে না। অবশ্য হেন্ড লাগেজে ৭ কেজি পরিমাণ জিনিসপত্র নিতে পারবেন। তবে ২০ কিলো লাগেজ যদি আপনি আগেই ভর্তি করে নেন স্যুটকেসে, তাহলে যেখানে বেড়াতে যাচ্ছেন সেখান থেকে কেনাকাটা করবেন কীভাবে? অতিরিক্ত মালপত্রের জন্য আপনাকে বাড়তি টাকা দিতে দিতে হবে, যা কেওই চান না! তাহলে এখন উপায় কী?
প্যাকিং করার সময় একটু বুদ্ধি প্রয়োগ করলে আপনি খুব সজজেই এই ঝক্কি-ঝামেলা এড়াতে পারবেন। আজ বেড়াতে যাওয়ার আগে ব্যাগ গোছানোর সহজ কয়েকটি টোটকা জেনে নিন।
জামা-কাপড় নিন রোল করে
স্যুটকেস গোছানোর সময় জামা-কাপড়গুলো মুড়িয়ে রাখতে পারেন। ব্যাগে সঠিকভাবে মুড়িয়ে জামা-কাপড় রাখতে পারলে আপনার জায়গাও বাঁচবে আবার ভাঁজও পড়বে না।
ভ্যাকিউম ক্লিনার ব্যবহার করুন
পোশাকগুলো সরাসরি একটির উপর অন্যটি না চাপিয়ে পলিথিনের কাগজে মুড়িয়ে রাখুন, এক-একটি স্তরের মাঝে-মাঝে। এরপর ভ্যাকিউম ক্লিনারের সাহায্য পলিব্যাগের ভিতরের সমস্ত বায়ু বের করে নিন। অনেকটা জায়গাও বাঁচবে।
প্যাকিং কিউবও কিনে নিতে পারেন
আপনি চাইলে প্যাকিং কিউবও ব্যবহার করতে পারেন। এই ধরনের কিউব জিনিসপত্র জায়গায় রাখার জন্য বেশ সুবিধাজনক। এই প্রকার প্যাকিং কিউব ব্যবহার করলে অনেক অল্প জায়গায়তেও অনেক প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র গুছিয়ে নিতে পারবেন।
জামা-কাপড়ের জন্য অরগানাইজার কিনুন
এক একটি অরগানাইজারে এক এক ধরনের জামা-কাপড় ভরে রাখুন। জামা-কাপড় সরাসরি ব্যাগে না ভরে অরগানাইজারে ভরে নিলে হাতের কাছে সব জিনিসপত্র গোছানো থাকবে ও ব্যাগে জায়গাও তখন বাঁচবে।
অতিরিক্ত ব্যাগ সঙ্গে রাখুন
সঙ্গে একটি অতিরিক্ত ফোল্ডিং ব্যাগ রাখুন। মনে রাখবেন যে, ব্যাগটি যেনো অবশ্যই হালকা হয় যাতে গুটিয়ে মূল ব্যাগের সঙ্গে নিয়ে নেওয়া যাবে। অনেক সময় বাইরে ঘুরতে গেলে টুকিটাকি কেনাকাটা করতে হয়- সেটিই স্বাভাবিক। সেইসব বাড়তি জিনিসপত্রের জন্য পৃথক ব্যাগ নিয়ে যাওয়াই ভালো। তবে প্রয়োজনে ‘হ্যান্ড লাগেজ’ হিসেবেও ব্যাগটি নিয়ে যেতে পারেন।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।