দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আপনার শরীরে কোন উপাদানটি কম, তা ঠিক কোনও না কোনও উপসর্গ জানান দেবেই। আপনার শরীরে যদি প্রোটিনের ঘাটতি থাকে, তাহলে কোন লক্ষণগুলো দেখে বুঝবেন?
প্রকৃত পক্ষে আপনি কী ধরনের খাবার খাচ্ছেন, তার উপরই নির্ভর করে শরীর সব ধরনের জরুরি উপাদান পাচ্ছে কি না। যেমন খাদ্যাভ্যাসের গোলমালের কারণে অনেক সময় শরীরে প্রোটিনের অভাবও দেখা দিতে পারে। তবে সহজে তা বোঝাও যায় না। আর এই ঘাটতির মাত্রা বাড়তে থাকলে তখন নানা ধরনের অসুস্থতা দেখা দিতে পারে। আর সমস্যা বাড়ে ঠিক সে সময়। কারও কারও কর্মশক্তি কমে যায়। কারও বা আবার বিপাক হার দুর্বল হয়ে যায়। তবে এই অবস্থায় পৌঁছানোর পূর্বেই সতর্ক হতে হবে।
যাতে করে প্রোটিনের ঘাটতি বড় কোনও সমস্যা ডেকে আনতে না পারে, সেদিকে দৃষ্টি দিতে হবে। মাত্র কয়েকটি লক্ষণ দেখলেই বোঝা সম্ভব আপনার শরীরে প্রোটিনের ঘাটতি রয়েছে কি না।
ক্লান্তি ভাব হওয়া
ক্লান্তি ভাব হওয়া প্রোটিন ঘাটতির প্রাথমিক লক্ষণ। এই সময় শরীর দুর্বল হতে থাকে। কাজ করতে মোটেও ইচ্ছা করে না। আবার কোনও কাজে উৎসাহও পাওয়া যায় না। ভারি কাজ করতে হবে ভাবলেই আতঙ্কিত হয়ে পড়েন অনেক সময়।
শরীরে শক্তি কম
শরীরে শক্তি কমে যেতে পারে যার দরুন গায়ের জোর, পেশির শক্তি কমতে থাকে শরীরে প্রোটিনের অভাব দেখা দিলে। পেশিশক্তি হঠাৎ করে কম মনে হলে সতর্ক হওয়াটা জরুরি।
মাঝে-মধ্যেই খিদে পাওয়া
শরীরে প্রোটিনের ঘাটতি থাকলে তা পূরণ করার জন্য বার বার খিদে পেতে পারে। ভরপেট খাবার খাওয়ার পরও অনেক সময় খিদে থাকে।
হাত-পা ফুলে যাওয়া
শরীরে প্রোটিনের অভাব থাকলে কিডনির উপর চাপ পড়ে। সে ক্ষেত্রে হাত-পায়ে ফোলা ভাবও দেখা দেয়। চোখও ফুলে যায়।
নখের রং চলে যায় অনেক সময়
সাধারণত নখের রং গোলাপি হয়ে থাকে। তবে প্রোটিনের ঘাটতি হলে তখন নখ সাদা হতে শুরু করে। যদি নখ অতিরিক্ত সাদা দেখা যায়, তাহলে সচেতন হওয়াটা জরুরি।
উপরোক্ত লক্ষণগুলো দেখলেই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি। পুষ্টিবিদের কাছে গিয়ে খাদ্যতালিকাতেও পরিবর্তন আনতে পারেন। বড় কোনও রোগ আসার আগেই সতর্ক হতে হবে। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।