বিমানবন্দরে মালপত্র পেতে অনেকটা সময় লেগে গেলে সমাধান কী?

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ অনেকেরই বিমানে যাত্রা করার সময় একটা জিনিস নিয়ে বেশ ভোগান্তি হয়। আর সেটি হলো লাগেজের জন্য দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়। কীভাবে সময় বাঁচাবেন?

বিমানে ভ্রমণের সময় কখনও কখনও গন্তব্যে পৌঁছানোর জন্য কেবল মালপত্র নিয়ে বেরোতেই ঘণ্টাখানেকেরও বেশি সময় লেগে যায়।

হাতে দিন সাতেকের ছুটি নিয়ে ভ্রমণের পরিকল্পনা থাকলে এমন একটি সমস্যা সকলকেই পীড়া দেয়। কারণ হলো আমরা সময় বাঁচাতে ট্রেন নয়, বিমানের টিকিটই কেটে থাকি! কিংবা যেসব দেশে বিমানে ছাড়া যাওয়া যায় না। তবে এই বিমানে যাতায়াত করার সুবিধা অনেক। এতে যেমন সময় বাঁচে তেমনই যাত্রাও হয়ে থাকে অনেকবেশি আরামদায়ক!

তবে বিমানে যাত্রা করার সময় অনেকেরই একটা জিনিস নিয়ে বেশ ভোগান্তি পোহাতে হয়। আর তা হলো মালপত্র কিংবা লাগেজের জন্য দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়। কখনও কখনও গন্তব্যে পৌঁছিয়ে কেবল মালপত্র নিয়ে বেরোতেই সময় লেগে যায় ঘণ্টাখানেকেরও বেশি। ছুটির আমেজে এই দীর্ঘ ক্ষণের অপেক্ষা আমাদের মেজাজটাকেই যেনো বিগড়ে দেয়। তবে একটু বুদ্ধি খরচ করলে আপনার এই ভোগান্তির অবসান ঘটতে পারে। তাহলে সেটি কীভাবে সম্ভব? আজ সেই বিষয়টি নিয়েই রয়েছে আলোচনা।

আপনি যখন বিমানবন্দরে স্যুটকেস কিংবা মালপত্র চেক-ইন করবেন তখন বিমানবন্দরের কর্মীদেরকে বলুন আপনার লাগেজে ‘ফ্র্যাজাইল স্টিকার’ লাগিয়ে দিতে। এই বিশেষ ধরনের স্টিকারটি সাধারণত মালপত্রে লাগানো হয় যদি যাত্রীর স্যুটকেসে কোনও ভঙ্গুর জিনিসপত্র থেকে থাকে। এই স্টিকার লাগানো থাকলে আপনার স্যুটকেসের প্রতি বিমানবন্দরের কর্মীরা বিশেষ যত্নশীল থাকতে বাধ্য হবেন। সাধারণত এই ধরণের লাগেজ সবার শেষেই কার্গোতে তোলা হয়। তাই লাগেজ বার করার সময়েও সেই স্যুটকেসগুলোই আগে বেরিয়ে আসার সম্ভাবনায় বেশি থাকে।

তাহলে নিশ্চয়ই আপনি বুঝে গেলেন কী করতে হবে। এই পন্থা মেনে চললে আপনার অনেকটা সময় বাঁচতে পারেন অনায়াসে।

আবার অনেক সময় দেখা যায় আপনার চাকাওয়ালা ট্রলিটিতে শুধুই কিছু কাপড়-চোপড় রয়েছে। যার ওজন হয়তো ৬/৭ কেজির বেশি নয়। এমন হলে আপনি ওই ট্রলিটি লাগেজে না দিয়ে সঙ্গেও নিতে পারেন। কারণ সাধারণ ৭/৮ কেজি ওজনের লাগেজ সঙ্গেই রাখা যায়। এমনটি হলে বিমান বন্দরে নেমে শুধু ইমিগ্রেশনের কাজ সেরে খুব কম সময়ের মধ্যে আপনি গন্তব্যে পৌঁছে যেতে পারবেন। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।

করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়

# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।