দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ কিডনিতে পাথর জমা একটি সাধারণ বিষয়। তবে মূত্রথলিতে এতোবড় পাথর জমার ঘটনায় বিস্মিত হলেন চিকিৎসকরা। খারাপ খাদ্যাভাসকেই মূলত দায়ী করেছেন চিকিৎসকরা।
অস্ত্রোপচারের পর মূত্রথলি থেকে বের হলো ৩০০ গ্রাম ওজনের বিশাল এক পাথর। ভারতের হুগলির একটি বেসরকারি হাসপাতালে জটিল অস্ত্রোপচার করার পর রোগী সুস্থ আছেন। তবে মূত্রথলিতে এতোবড় পাথর জমার ঘটনাকে বিরল ঘটনা হিসেবে দেখছেন খোদ চিকিৎসকরা।
দেশটির পুরশুড়ার বাসিন্দা ৬৮ বছরের শেখ মেহের আলী বেশ কয়েক মাস ধরেই প্রস্রাবের সমস্যায় ভুগছিলেন। বর্ধমান মেডিকেল কলেজের চিকিৎসক একে খানের পরামর্শে আলট্রাসোনোগ্রাফি পরীক্ষা করানো হয় তার। পরীক্ষায় দেখা যায় যে, মূত্রথলিতে পাথর রয়েছে। অবিলম্বে অস্ত্রোপচার করা জরুরি। অস্ত্রোপচারের ব্যবস্থা করা হয় তারকেশ্বরের চাঁপাডাঙা এলাকাস্থ একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে।
তারপর গত সপ্তাহে দু’ঘণ্টা ধরে অস্ত্রোপচারের পর প্রায় ৩০০ গ্রাম ওজনের গোলাকৃতি পাথর বের করা হয় মূত্রথলি হতে। পাথরের ওজন দেখে হতবাক হয়ে যান চিকিৎসকরা।
চিকিৎসকের ভাষায়, ‘‘কিডনিতে পাথর জমা খুব সাধারণ ব্যাপার। তবে মূত্রথলিতে এতোবড় পাথর জমার ঘটনা সত্যিই বিরল। তবে অস্ত্রোপচারের পর রোগী সম্পূর্ণ সুস্থ রয়েছেন।’’ চিকিৎসকরা মনে করেন, ‘‘খারাপ খাদ্যাভ্যাস এবং ধূমপানের কারণেই এই ধরনের পাথর হতে পারে।’’ এই সমস্যা এড়াতে সুষম খাবার ও যথেষ্ট পরিমাণ পানি খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা।
এসএসকেএমের প্রাক্তন বিভাগীয় প্রধান চিকিৎসক মাখনলাল সাহা জানিয়েছেন, গ্রামাঞ্চলে এই অসুখটি বেশি দেখা যায়। অনেকেই চিকিৎসা করাতেই পারেন না কিংবা করেন না বা অসুখ হলে কোনো গুরুত্বই দেন না। সেখান থেকেই গুরুতর হয় এই পরিস্থিতি। তবে মূত্রথলি হতে ৩০০ গ্রাম ওজনের পাথর পাওয়ার ঘটনা বেশ অবাক করার মতোই একটি ঘটনা। জানা যায়, স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের মাধ্যমে বৃদ্ধের এই অস্ত্রোপচারটি বিনামূল্যেই করা হয়েছে বলে সংবাদ মাধ্যম সূত্রে জানা যায়। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।