দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ জনপ্রিয় অভিনেতা জাহিদ হাসান বিভিন্ন সময় বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেন। তবে এবার তাকে দেখা যাবে ‘সিইও স্যার’ চরিত্রে।
কমেডি ও রোমান্টিক ঘরানার এই নাটকের নামই ‘সিইও স্যার’। নাটকটির কানিহী এমন: একটি বেসরকারি কোম্পানী এক যুগ ধরে লোকসান দিতে গিয়ে দেউলিয়া হওয়ার উপক্রম! অফিসের ম্যানেজার থেকে শুরু করে সিকিউরিটি গার্ড পর্যন্ত কোম্পানীটিতে ফাঁকি দিচ্ছেন। কেওই কাজ করছেন না মনোযোগ দিয়ে। কারণ হলো এই কোম্পানীর এমডি অসুস্থ্য হয়ে বিছানাগত। কোম্পানীর এমডির ছেলে প্রবাসী হওয়ার কারণে সবাই সুযোগ পেয়ে লুটে-পুটে নিচ্ছে যে যার মতো করে!
ঠিক এমন সময় কিষাণ নামর একজন মানুষ কোম্পানীর হেড অফিসে আসেন সেবা নিতে! এতেই বিপত্ত্বি ঘটে! কিষাণ কখনও রিসিভশনে, কখনও আবার ডেস্কে, কখনও ম্যানেজারের রুমে ঢুকে পড়ছেন! কেও বাধা দিলেই তার গোপন সকল অপকর্মের কথা চিৎকার করে ফাঁস করে দিচ্ছেন! তাই কেও মুখ খুলছেন না ভয়ে! কিষাণ পুরো অফিস হাতিয়ে নিতে পাঁয়তারা করতে থাকেন!
রাত্রি নামে একজন মেয়ে অফিসের কম্পিউটার অপারেটার হিসেবে জব করেন। অফিস থেকে শুরু করে কিষাণ রাত্রিকে ফলো করতে থাকে, জ্বালাতনও করে! অফিসে-রাস্তায়-বাজারে সব জায়গাতেই রাত্রির ঝামেলা হতে থাকে। এভাবে একের পর এক ঝামেলায় কিষাণ এবং রাত্রির দ্বন্দ্ব এমডি পর্যন্ত গিয়ে পৌঁছে যায়! অফিসেও কিষাণের অত্যাচারে সবাই যেনো বিরক্ত! একদিন যখন অফিসের সবাই কিষাণকে পুলিশে দিতে বুদ্ধি বের করছেন; ওই দিন সবাই জানতে পারেন কিষাণ অফিসের সিইও! বিপদে পড়ে যান সবাই! তাহলে রাত্রির কী জব শেষ পর্যন্ত চলে যাবে? কিষাণের সঙ্গে রাত্রির কী সম্পর্ক তৈরি হয়ে যায়? এইসব প্রশ্নের সঠিক জবাব জানতে হলে আপনাকে দেখতে হবে এই টিভি নাটক ‘সিইও স্যার’।
বর্তমান সময়ের জনপ্রিয় কবি ও নাট্যকার মিজানুর রহমান বেলালের রচনা এবং আদিত্য জনির পরিচালনায় কিষাণ চরিত্রে অভিনয় করেছেন জাহিদ হাসান, রাত্রি চরিত্রে অভিনয় করেছেন মাঈমুনা ফেরদৌস মম। তা ছাড়াও এই নাটকে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করেছেন আজম খান, শাহিন মৃধা, হানিফ খান, তাসমিতা সুমি, কাকা মাকসুদ, সৈয়দা নাসরিন, প্রীতি, উমাসহ আরও অনেকেই। সিইও স্যার নাটকে চিত্রগ্রহণে ছিলেন প্রখ্যাত চিত্রগ্রাহক আনোয়ার হোসেন বুলু।
এই নাটকটি আসছে কোরবানির ঈদে একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলে প্রচারিত হবে বলে জানা গেছে।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।