দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আইনপ্রণেতাদের দ্বিদলীয় একটি গ্রুপ কয়েক দশকের মধ্যে এই প্রথমবারের মতো উল্লেখযোগ্য একটি বন্দুক নিয়ন্ত্রণ আইন প্রস্তাব করেছে।
তাদের উত্থাপিত বিলের ওপর চলতি সপ্তাহে মার্কিন সিনেটে ভোটাভুটিও হতে পারে। সম্প্রতি পরপর দুটি নির্বিচার গুলিবর্ষণের ঘটনায় শিশুসহ বহু মানুষ নিহত হওয়ার পর বন্দুক সহিংসতায় নিমজ্জিত মার্কিন সমাজে বন্দুক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধনের জোরালো দাবি উঠেছে।
৮০ পাতার এই বিলটিতে যেসব বিধানের প্রস্তাব করা হয় তাতে, ‘যাদের নিজেদের এবং অন্যদের জন্য বিপজ্জনক বলে মনে করা হয়’ তাদের হাতে বন্দুক যাওয়া বন্ধও করতে পারবে অঙ্গরাজ্যগুলো। সেই সঙ্গে অবিবাহিত অন্তরঙ্গ অংশীদারদের সঙ্গে সহিংস আচরণের জন্য অভিযুক্তদের কাছেও বন্দুক বিক্রি বন্ধ করা যেতে পারে।
নিউ ইয়র্কের একটি মুদির দোকানে ও টেক্সাসের একটি এলিমেন্টারি স্কুলে কিশোর বয়সীদের ঘটানো নির্বিচার গুলিবর্ষণের পর প্রস্তাবিত এই আইনে অঙ্গরাজ্যগুলো বন্দুক কেনার জন্য জাতীয় ব্যাকগ্রাউন্ড চেক সিস্টেমে কিশোর বয়সের রেকর্ড সরবরাহের অনুমোদনও দিতে পারবে।
এই বিষয়ে সিনেটর ক্রিস মার্ফি সিনেটে বলেছেন, ‘আমি বিশ্বাস করি, চলতি সপ্তাহে প্রস্তাবিত আইনটি পাশ করতে পারবো আমরা। এটি ৩০ বছরের মধ্যে কংগ্রেসে পাশ করা বন্দুক সহিংসতা বিরোধী সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য আইন হিসেবে পরিগণিত হবে।’ সিনেটের সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের নেতা চাক শুমার সম্ভাব্য দ্রুততার সঙ্গে বিলটি এগিয়ে নেওয়ার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন। এক বিবৃতিতে তিনি বলেছেন যে, ‘এই দ্বিদলীয় বন্দুক নিরাপত্তা আইন মানুষের জীবন বাঁচাবে। আমরা যা চাই তার সবটা না হলেও এই আইন জরুরিভাবেই দরকার।’
এক বিবৃতিতে এই আইনের প্রতি নিজের সমর্থন জানিয়ে সিনেটের সংখ্যালঘু দলের নেতা মিচ ম্যাককনল আইনটিকে ‘কমনসেন্স প্যাকেজ’ বলেও বর্ণনা করেছেন। দুই দলের মধ্যে সমানভাবে বিভক্ত মার্কিন সিনেটে এই আইন পাশ হতে অন্তত ১০ রিপাবলিকান সিনেটরের সমর্থনও লাগবে। টুইটারে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বৃহত্তম গান লবি ন্যাশনাল রাইফেলের অ্যাসোসিয়েশন বলেছে যে, তারা এই আইনের বিরোধী, কারণ এটি আইনিভাবে বন্দুক ক্রয়ের ক্ষেত্রেও বাধা তৈরি করতে ব্যবহার হতে পারে বলে মনে করছেন।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।