ওজন ঝরাতে চাইলে মাপতে হবে কতো সেকেন্ডে কতোটা ভাত খেলেন

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আমরা ওজন ঝরানোর জন্য অনেক কিছুই করি! জিম, কড়া ডায়েট- বাদ দিই না কোনো কিছুই! তবে গলদ কোথায়, সেটি বুঝে ওঠা বেশ মুশকিল।

খুব তাড়াহুড়ো থাকার কারণে ভাবছেন, তড়িঘড়ি খাবার খেয়ে নিয়েই ছুটবেন অফিসে? তাই কোনও রকমে খাবার শেষ করে দৌড় দিলেন অফিসের জন্য! এমন ঘটনা এক দিনের নয়, প্রায় প্রতিদিন এমনটি ঘটে থাকে আমাদের জীবনে।

তবে এই বিষযে বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, খাবার তাড়াতাড়ি খেলে মেদ বাড়ে। সেই তুলনায় যদি আস্তে আস্তে খাওয়া যায়, তাহলে ওজন অতোটাও বাড়বে না! খাবার ঠিক করে চিবিয়ে না খেলে তার সম্পূর্ণ পুষ্টিগুণ তখন শরীর গ্রহণ করতে পারে না। বিশেষ করে খাবারের অধিকাংশ ভিটামিনই অপচয় হয়। এছাড়া খাবার যতো বেশি বার চিবিয়ে নেবেন, ততোই এটি ভাঙবে ও লালারসের সঙ্গেও মিশবে। তাতে এর মধ্যে থাকা ক্ষতিকারক জীবাণুগুলোও মারা যাবে। তবে দ্রুত খাবার খাওয়ার তাড়ায় সেটি গিলে নিলে ওই সব জীবাণু তখন পেটে চলে যায়। তাতে বিভিন্ন রোগের আশঙ্কা বাড়তে পারে। খাবার চিবিয়ে খেলে পাচনও ভালো হয়। যে কারণে তাড়াতা়ড়ি হজম হয়ে যায়।

দেখে নিন আস্তে খাওয়ার গুণ কী কী:

বেশি পুষ্টি

খাবার আস্তে আস্তে চিবিয়ে খেলে অনেক বেশি পরিমাণে খাদ্যগুণ আপনার শরীরে ঢোকে। আর তখন হজমশক্তিও বাড়ে। তাই শরীরের মেদও অনেক কম জমে।

ক্যালোরি কমানো

আবার খাবার বেশি চিবিয়ে খেলে মুখেরও ব্যায়াম হয়। তাতে করে মুখের মেদ কমে।

মন ভালো রাখতে

এমন কথা শুনে অবাক মনে হলেও কথাটি কিন্তু সত্যি। তাড়াহুড়ো করে খেলে উদ্বেগের পরিমাণ আরও বাড়ে। অপরদিকে, আস্তে আস্তে অর্থাৎ ধীরে সুস্থে খেলে মনও ভালো থাকে। আর তাতে তখন ওজন বৃদ্ধি হয় না। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।

করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়

# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।