দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ সাধারণত গলব্লাডারে পাথর হলে পেটব্যথা হয়- এটি আমাদের অনেকের জানা। তবে তার সঙ্গে আরও নানা উপসর্গ দেখা দিতে পারে। এই রোগে বেশিরভাগ কারা আক্রান্ত হয়ে থাকেন?
পিত্তথলিতে পাথর জমা হওয়া নতুন কোনো সমস্যায় নয়। এটি আগেও হতো। যথেষ্টই পরিচিত একটি রোগ এটি। তবে বর্তমান সময় জীবনধারা বদলে গেছে। সেইসঙ্গে পাল্লা দিতে না পেরে কিছু কিছু রোগের প্রকোপও বাড়ছে। যারমধ্যে রয়েছে গলব্লাডারে স্টোনের সমস্যা। বিভিন্ন বয়সের মানুষ বর্তমানে এই সমস্যায় ভুগছেন। যে কারণে নতুন করে সচেতন হওয়াটা জরুরি।
সাধারণতভাবে দেখা যায়, পেটে ব্যথা হয়। নিয়মিত পেটে ব্যথাই জানান দেয়, আপনার পিত্তথলিতে পাথর জমেছে। তবে আরও কিছু উপসর্গও রয়েছে। সেই বিষয়টি জেনে রাখা জরুরি। যেহেতু পেটে ব্যথা নানা কারণেই হতে পারে। তবে তারও আগে জানা দরকার অন্য একটি বিষয়। কী কারণে গলব্লাডারে পাথর জমে?
# টানা অনেক সময় খালিপেটে থাকলে গলব্লাডারে পাথর হওয়ার আশঙ্কা বেড়ে যায়। মেয়েদের মধ্যে এই প্রবণতা ছেলেদের থেকে বেশি। তাই গবেষণায় দেখা গেছে, মেয়েদের গলব্লাডারে পাথর বেশি হয়ে থাকে।
# হঠাৎ ওজন বেশি বেড়ে গেলে কিংবা কমে গেলে পিত্তথলির উপর চাপ পড়ে থাকে। তার জেরেও অনেক সময় গলব্লাডারে পাথর জমে যেতে পারে।
# চল্লিশের পর এই রোগের আশঙ্কা আরও বেশি হয়। তাই চল্লিশের আশপাশের সময় থেকে পানি খাওয়ার নিয়ম আরও কড়াকড়িভাবে হওয়া জরুরি।
# আরেকটি বিষয় হলো ডায়াবেটিস থাকলেও সতর্ক হতে হবে। কারণ এই রোগে আক্রান্তদের গলব্লাডারে পাথর জমার আশঙ্কা অনেক বেশি থাকে।
# বংশে কারও এই রোগ থাকলেও সাবধান হতে হবে। বংশগতভাবেও এই রোগ এক জনের থেকে আরেক জনের শরীরে যেতে পারে। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।