দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ সাম্প্রতিক বন্যায় মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় নেত্রকোনা জেলা। জেলার ছয় উপজেলায় আটকা পড়েছিলেন প্রায় ৬ লাখ মানুষ, আর বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছিলেন প্রায় ১৬ হাজার মানুষ।
কলমাকান্দা, দুর্গাপুর, মোহনগঞ্জ, মদন ও খালিয়াজুরী বন্যায় মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। প্রতিকূল অবস্থার সম্মুখীন হয়েছেন দুর্যোগ কবলিত মানুষরা।
এ অঞ্চলের অধিবাসীদের প্রতিকূল অবস্থার কথা বিবেচনা করে, নেত্রকোনা জেলার মোহনগঞ্জ উপজেলায় বন্যাকবলিতদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে দেশে বৈশ্বিকভাবে শীর্ষস্থানীয় আইসিটি অবকাঠামো সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান হুয়াওয়ে টেকনোলজিস (বাংলাদেশ) লিমিটেড ও বিটিসিএল। এ উদ্যোগের মাধ্যমে ৩ জুলাই বিটিসিএল কার্যালয়ে হুয়াওয়ে এক হাজার ব্যাগের বেশি ত্রাণ সামগ্রী পূর্ণ ব্যাগ বিটিসিএল -এর কাছে হস্তান্তর করে।
এ উপলক্ষে অনুষ্ঠিত এক প্রতীকী অনুষ্ঠানে হুয়াওয়ে টেকনোলজিস (বাংলাদেশ) লিমিটেডের চিফ অপারেটিং অফিসার তাওগুয়ানগিয়াও বিটিসিএল’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. মো. রফিকুল মতিনের কাছে ত্রাণ সামগ্রী হস্তান্তর করেন। এ সময় অনুষ্ঠানে উপস্থতি ছিলেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার এবং ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব খলিলুর রহমান।
অনুষ্ঠানে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেন, “ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতির কারণে আমাদের দেশ কঠিন ও চ্যালেঞ্জিং সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। এ প্রতিকূল সময় আমাদের দায়িত্ব একে অন্যের পাশে দাঁড়ানো। হুয়াওয়ে ও বিটিসিএল ভয়াবহ এ বন্যা পরিস্থিতিতে দুর্যোগ কবলিত মানুষের সহায়তায় এগিয়ে এসেছে দেখে আমি অত্যন্ত আনন্দিত।”
হুয়াওয়ে টেকনোলজিস (বাংলাদেশ) লিমিটেডের সিওও তাওগুয়ানগিয়াও বলেন, “মানুষের প্রয়োজনে পাশে দাঁড়ানোর বিষয়টি সবসময় বজায় রেখে চলেছে হুয়াওয়ে। এবার আবারও আমরা বিটিসিএল’র সাথে একসাথে দুঃস্থ মানুষের সহায়তায় তাদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছি। আমাদের প্রত্যাশা এ ত্রাণ সামগ্রী বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের সহায়তা করবে। ভবিষ্যতেও সম্ভাব্য সকল উপায়ে হুয়াওয়ে বাংলাদেশের মানুষের সহায়তায় পাশে এসে দাঁড়াবে।”
বিটিসিএল’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. মো. রফিকুল মতিন বলেন, “ত্রাণ সামগ্রী পৌঁছে দেয়ার ক্ষেত্রে হুয়াওয়ের সাথে অংশীদারিত্ব করতে পেরে আমরা আনন্দিত। এখন চ্যালেঞ্জিং সময়, আর এ সময়ে একমাত্র সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমেই আমরা সকল প্রতিকূলতা পেরিয়ে এগিয়ে যেতে পারবো। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষরা যেনো এ কঠিন সময় থেকে বেরিয়ে আসতে পারেন এজন্য আমরা আমাদের ধারাবাহিক প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখবো।”
বিটিসিএল’র কাছে হস্তান্তর করা এক হাজারেরও বেশি ত্রাণ সামগ্রীর ব্যাগগুলোতে রয়েছে মুড়ি, চিড়া, চিনি, মোম, ম্যাচবাক্স, টোস্ট বিস্কুটসহ প্রয়োজনীয় অন্যান্য পণ্যসামগ্রী। অতি শীঘ্রই ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে এ ত্রাণ সামগ্রী বিতরণে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে বিটিসিএল।
গত সপ্তাহে হুয়াওয়ে নেত্রকোনার খালিয়াজুরীর দুই হাজারের পরিবারের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করে। সে সময় উপস্থিত ছিলেন খালিয়াজুরীর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান রব্বানী জব্বার, ইউএনও এ এইচ এম আরিফুল ইসলাম এবং মেজর জিসানুল হায়দার। খবর সংবাদ বিজ্ঞপ্তির।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।