দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ঈদ হয়েছে গতকাল। আজও রাজধানী ঢাকার রাস্তাঘাট একেবারে ফাকা। তবে কিছু কিছু স্থানে আজও কোরবানী করতে দেখা গেছে। বিশেষ করে অনলাইনে যারা ঈদের দিনের সিডিউল পাননি তারা আজ কোরবানীর সুযোগ পেয়েছেন।
ঈদ হয়েছে গতকাল। আজও রাজধানী ঢাকার রাস্তাঘাট একেবারে ফাকা। তবে কিছু কিছু স্থানে আজও কোরবানী করতে দেখা গেছে। বিশেষ করে অনলাইনে যারা ঈদের দিনের সিডিউল পাননি তারা আজ কোরবানীর সুযোগ পেয়েছেন।
আর ঈদের আমেজ এতোটা ছিলো যে রাস্তাঘাট একেবারে ফাকা দেখা গেছে। খুব সামান্য পরিমাণ গাড়ি রাস্তায় দেখা গেছে। তবে তার বেশির ভাগই ছিলো প্রাইভেট কার। বাস চলেছে খুব সামান্য। কারণ ঈদে অনেকেই বাড়ি গেছেন। যারাও রাজধানী রয়েছেন তারাও ঘরেই সময় পার করছেন। তাছাড়া করোনার পরিস্থিতিও খুব একটা ভালো না। তাই ঘর থেকে না বেরুনোটাই ভালো মনে করছেন অনেকেই। তবে যেটুকু বেরিয়েছেন তা আত্মীয় স্বজনদের বাড়িতে গিয়েছেন। সে কারণে অনেক প্রাইভেট কার দেখা গেছে রাজধানী ঢাকার রাস্তায়।
তবে অলিগলিতে যুবকদের দেখা গেছে গল্প-গুজবে সময় পার করতে। ঈদের আমেজ রয়েছে সেইসব গলিপথেও। তবে অলি-গলিতে কিছু কিছু স্থানে এখনও গন্ধ রয়েছে কোরবানীর পশুর। তবে ধানমণ্ডি ও গুলশান বনানী এলাকা ছিলো নিটেন ক্লিন। কারণ ওইসব এলাকায় বাড়ির মালিকরা নিজ উদ্যোগেই কোরবানীর পশুর বর্জ পরিষ্কার করে ফেলেছেন গতকালই। যে কারণে ওইসব এলাকায় কোরবানীর কোনো চিহ্নই নেই বলা যায়। তবে নাখালপাড়া ও পুরান ঢাকার বিভিন্ন গলিতে কোরবানীর বর্জের গন্ধ দেখা যায়।
আগামীকাল থেকে অফিস-আদালত খুলে যাচ্ছে। তবে ধারণা করা হচ্ছে অফিস খুললেও উপস্থিতি থাকবে কম। আগামী তিন দিন ঢিলে-ঢালাভাবেই চলবে অফিস-আদালত। আগামী রবিবার অর্থাৎ ১৭ জুলাই থেকে পুরোপুরিভাবে অফিস-আদালত খুলে যাবে। তাছাড়া অনেক প্রাইভেট অফিসও আগামী ১৬ জুলাই পর্যন্ত বন্ধ রয়েছে। আগামীকাল থেকেই হয়তো পুরোপুরি না হলেও কিছু জমে উঠবে রাজধানী ঢাকা। তারপর ১৭ জুলাই সেই আগের রূপ ধারণ করবে রাজধানী ঢাকা। সেই ট্রাফিক জ্যাম আর গণমানুষের চলাচল- সব মিলিয়ে এক কর্মচাঞ্চল্য রাজধানী।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।