সেপ্টেম্বরেই খেরসনকে মুক্ত করার আশা করছে ইউক্রেন

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ খেরসন পুনরুদ্ধারের প্রস্তুতি নিচ্ছেন ইউক্রেন সেনারা। গত ফেব্রুয়ারিতে এই অঞ্চলটি দখল করে নেয় রাশিয়া।

আগামী সেপ্টেম্বর মাস নাগাদ রাশিয়ার দখলদারিত্ব হতে খেরসন অঞ্চলকে মুক্ত করার আশাবাদের কথা ব্যক্ত করেছে ইউক্রেন। অপরদিকে ইউক্রেনে হিমার্সের গোলাবারুদের গুদাম ধ্বংসের দাবি করেছে রাশিয়া।

জানা গেছে, গত ফেব্রুয়ারিতে যুদ্ধ শুরুর পর খেরসন অঞ্চলটির দখল নেয় রুশ সেনারা। ডিনিপ্রো নদীর তীরবর্তী এই এলাকাটিকে কৌশলগতভাবে একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান হিসেবে বিবেচনা করা হয়ে থাকে।

ইউক্রেনীয় টেলিভিশনের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে অঞ্চলটি পুনরুদ্ধার নিয়ে কথা বলেছেন খেরসন অঞ্চলের প্রশাসনিক প্রধানের সহকারী সের্গেই খলান। সেপ্টেম্বরের মধ্যেই ইউক্রেনীয় বাহিনী আবার অঞ্চলটি দখল করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন তিনি।

এই সময় সের্গেই খলান আরও বলেন, আমরা বলতে পারি, সেপ্টেম্বরের মধ্যে খেরসন অঞ্চলটি অবশ্যই মুক্ত হবে ও দখলদারদের যাবতীয় পরিকল্পনায় ব্যর্থতায় পর্যবসিত হবে। এদিকে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন যে, দেশটির সেনারা ধাপে ধাপে রাশিয়ার দখলকৃত দক্ষিণাঞ্চলীয় খেরসনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। যুক্তরাজ্যের প্রতিরক্ষা কর্মকর্তারা জানিয়েছেন যে, খেরসনের কাছে তুমুল লড়াইও চলছে।

অপরদিকে ইউক্রেনে হিমার্সের গোলাবারুদের গুদাম ধ্বংসের দাবি করেছে রাশিয়া। হিমার্স রকেট ব্যবস্থাকে যুদ্ধের গেম চেঞ্জার বলে মনে করা হয়। রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় দাবি করেছে যে, রুশ সেনারা ইউক্রেনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সরবরাহ করা হিমার্স রকেট ব্যবস্থার গোলাবারুদের একটি গুদাম ধ্বংস করে ফেলেছে। গতকাল (সোমবার) খেমেলনিতস্কি অঞ্চলের বগডাদোভতসিতে এই গুদামগুলো ধ্বংস করা হয়। রাশিয়া ইতিপূর্বেও ইউক্রেনে পশ্চিমাদের পাঠানো বেশ কয়েকটি হিমার্স ব্যবস্থা ধ্বংসের দাবি করেছিলো। তবে কিয়েভের পক্ষ থেকে এইসব দাবি অস্বীকার করা হয়।

কিয়েভ আশা করছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের হিমার্স রকেট সিস্টেমের মতো করে পশ্চিমা অস্ত্রের জোগান বাড়তে থাকলে তারা তাদের হারানো ভূমি পুনরায় দখল করে নিতে সক্ষম হবেন।

উল্লেখ্য, ২৪ ফেব্রুয়ারি রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের নির্দেশে ইউক্রেনে কথিত ‘বিশেষ সামরিক অভিযান’ শুরু করেছিলো রাশিয়া। এই অভিযানকে অবৈধ আখ্যা দিয়ে পুতিন এবং তার ঘনিষ্ঠজনের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়ে আসছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলো। চলমান যুদ্ধে রাশিয়ার বিরুদ্ধে বেসামরিক হত্যা এবং যুদ্ধাপরাধের অভিযোগও তুলেছে ইউক্রেন।

করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়

# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।