দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বিজ্ঞান বলে, পূর্ণবয়স্ক একজন মানুষকে দৈনিক অন্তত ৬ ঘণ্টা ঘুম পাড়তেই হবে। তবে সেই ঘুম কীভাবে আসবে চটজলদি? আজ জেনে নিন সেই বিষয়টি।
সকালেই অফিসে গুরুত্বপূর্ণ মিটিং, সকাল সকাল উঠতে হবে তবে কোনও মতেই ঘুম আসছে না? এই সমস্যায় রয়েছে- এমন মানুষের সংখ্যা নেহায়েত কম নয়। এই বিষয়ে বিজ্ঞান বলছে যে, পূর্ণবয়স্ক একজন মানুষের দৈনিক অন্তত ৬ ঘণ্টা ঘুম চাই-ই চাই। তবে কীভাবে ঘুম আসবে চটজলদি? জেনে নিন বিষয়টি।
# ঘুমাতে যাওয়ার সময় অনেকের মাথায় হরেক রকমের দুশ্চিন্তা চলে আসে। এই দুশ্চিন্তাই হলো অনিদ্রার প্রধান কারণ। রাতে ঘুমাতে যাওয়ার পূর্বে এই সমস্যাগুলো মাথার থেকে বের করে দেওয়ার চেষ্টা করতে হবে। এর সবচেয়ে ভালো উপায় প্রতি রাতে ঘুমানোর পূর্বে দুশ্চিন্তার কথা লিখে রাখা। শুধু দুশ্চিন্তার কথায় নয়, আগামী দিনে আপনার কী কী কাজ বাকি পড়ে রয়েছে, তা-ও লিখে রাখতে পারেন। এতে অন্তত কিছু সময়ের জন্য হলেও মাথা হালকা হয়ে যেতে পারে।
# এই সমস্যার সমাধান পেতে হলে আপনাকে টিভি, ল্যাপটপ ও মোবাইল ফোন ব্যবহার করার সময় অবশ্যই কমিয়ে আনতে হবে। বৈদ্যুতিন পর্দায় চোখ রাখলে মস্তিস্ক সজাগ এবং সক্রিয় হয়ে ওঠে। শুতে যাওয়ার অন্তত ঘণ্টাখানেক পূর্বে তাই নিজেকে এই ধরনের পর্দার সামনে থেকে সরিয়ে নিনতে হবে। যদি আপনাকে কিছু করতেই হয়, তবে একটু দূর থেকে মৃদু সঙ্গীতও বাজাতে পারেন। তবে হেডফোন কানে লাগিয়ে ঘুমাবেন না কখনও।
# আবার আপনি কী খাচ্ছেন তার সঙ্গেও ঘুমের যোগসূত্র রয়েছে। কারণ হলো ক্যাফিন-সমৃদ্ধ খাবার খেলে বেশ কয়েক ঘণ্টা ঘুম আসে না। কফি এবং চকোলেটে এই উপাদানটিই থাকে। তাই ঘুমাতে যাওয়ার অন্তত ৬ ঘণ্টা পূর্বেই থামিয়ে দিতে হবে এই ধরনের খাবার। সেইসঙ্গে রাতের খাবার যথাসম্ভব হালকা রাখাই ভালো, অতিরিক্ত তেল মশলাযুক্ত খাবার খেলে হজমের সমস্যায় ঘুম আসতে বেশ বিলম্ব হতে পারে।
# আরেকটি সমাধান হলো যোগাভ্যাস। কারণ অনিদ্রার সমস্যায় কাজে আসতে পারে এই যোগাভ্যাস। বলাসন, শবাসন, পদ্মাসন বা পশ্চিমত্তাসন শরীরকে শিথিল করতে সহায়তাও করতে পারে। অনিদ্রার সমস্যা কমাতে আর একটি কার্যকর আসন হলো ভ্রামরী। নিতান্তই ঘুম না এলে যোগনিদ্রাও আরাম দিতে পারে আপনাকে। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।