দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ অতিরিক্ত গরমের কারণে অসুখ-বিসুখ লেগেই আছে। সকালের একটি অভ্যাসেই দূরে থাকবে সেইসব রোগ-বালাই! কিন্তু কীভাবে? আজ জেনে নিন বিষয়টি।
এলাচের অনেক গুণ রয়েছে। যা নানা রকম অসুখ থেকে আপনাকে রক্ষা করতে পারে।
# এলাচ পেটের নানা সমস্যা ও হজমের সমস্যায় ভালো একটি দাওয়াই। গ্যাসের সমস্যা দূর করতেও এলাচের কোনো জবাব নেই। এটি বিপাকতন্ত্রকে সক্রিয় রাখে ও হজমে সাহায্য করে থাকে। বুক জ্বালা, বমি বমি ভাব হতে মুক্তি পেতে এলাচ মুখে নিন।
# শরীরের ক্ষতিকর টক্সিন দূর করে এই এলাচ। বিশেষ করে যাদের ত্বকে বয়সের ছাপ পড়তে শুরু করেছে, তারা নিয়মিতভাবে সকালে খালি পেটে এলাচ ভেজানো পানি খেলে ত্বক টানটান হবে এবং বলিরেখা কমবে।
বিশেষ করে যারা হুপিংকাশি এবং ফুসফুস সংক্রমণের মতো সমস্যায় ভোগেন তাদের জন্য এলাচ খুবই উপকারী একটি জিনিস। সর্দি-কাশির সময়ও এলাচ খেলে বেশ উপকার পাবেন।
# এলাচ হাঁপানি এবং হৃদরোগ নিরাময়ে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। এটি হৃদস্পন্দন স্বাভাবিক রাখে যে কারণে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে। এলাচ রক্তসঞ্চালনেও সহায়ক ভূমিকা রাখে। তাই প্রতিদিন এলাচ খেলে রক্তের ঘনত্বও সঠিক থাকে।
# অনেকের মুখে খুব বেশি দুর্গন্ধ হয়। এমন অবস্থায় একটি এলাচ নিয়ে চিবোতে থাকুন। এলাচ মুখের দুর্গন্ধ সৃষ্টিকারী ব্যাক্টেরিয়াগুলি ধ্বংস করে দেবে। তাছাড়াও মাড়ির সংক্রমণ, মুখের ভিতর ঘাসহ দাঁত এবং মাড়ির নানা সমস্যা হতে রেহাই পেতে হলে এলাচ খেতে পারেন।
# এক গবেষণায় দেখা গেছে, নিয়মিত এলাচ খাওয়ার অভ্যাস ক্যান্সার প্রতিরোধেও সহায়তা করে। এলাচ দেহে ক্যান্সারের কোষ গঠনে বাধা প্রদান করে।
# দেখা যায় অনেক সময় ভারি কোনও জিনিস তুলতে গেলেই পেশিতে টান ধরে। এমন কিছু হলে ছোট কিংবা বড় এলাচ গরম পানিতে ফুটিয়ে খেলেও তত্ক্ষণাত টান ধরা উপশম হবে।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।