দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ডায়াবেটিসকে কোনো রোগ বলা না হলেও গুপ্ত ঘাতকের মতো হানা দেয় ডায়াবেটিস। তাই আগে থেকেই সতর্ক হতে হবে। সময় থাকতেই শুরু করতে হবে রক্তে সুগারের পরীক্ষা।
আন্তর্জাতিক ডায়াবেটিস ফেডারেশনের সাম্প্রতিক এক রিপোর্টে বলেছে যে, বর্তমানে গোটা বিশ্বে ডায়াবিবেটিস রোগীর সংখ্যা প্রায় ৫৪ কোটির মতো। ডায়াবেটিস বা মধুমেহ এমন একটি রোগ যা অধিকাংশ সময় হানা দেয় রোগীর অজান্তে। যখন ধরা পড়ে তখন ক্ষতি হয়ে যায় ওই ব্যক্তির। ডায়াবেটিস শুধু একাই আসে না, সেই সেঙ্গ ডেকে আনে আরও হরেক রকমের সমস্যা। দৈনন্দিন জীবনযাত্রা এবং খাদ্যাভ্যাস এই রোগ নিয়ন্ত্রণে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। তাই যতো শীঘ্র সম্ভব রোগ নির্ণয় করা যায় ততোই সুবিধা হয় চিকিৎসায়।
এখন প্রশ্ন হলো ডায়াবেটিস রয়েছে কি না, তা পরীক্ষা করতে হবে কোন বয়স থেকে? এতোদিন মনে করা হত, ৪৫ বছর বয়স হয়ে গেলেই উপসর্গ থাক কিংবা না থাক, প্রতি তিন বছর অন্তর ডায়াবেটিস পরীক্ষা করা প্রয়োজন। তবে এখন ৪০ পর্যন্ত অপেক্ষা করা মোটেও উচিত হবে না বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। আমেরিকান ডায়াবেটিস অ্যাসোসিয়েশন বলছে যে, তিন দশক আগেও শিশু এবং তরুণ-তরুণীদের দেহে এই রোগ ছিল অত্যন্ত বিরল। তবে গত তিন দশকে এই চিত্র একেবারেই বদলে গেছে। অপেক্ষাকৃত কম বয়সেও দেখা দিচ্ছে ডায়াবেটিস। তাই এখন ৪৫ পর্যন্ত অপেক্ষা করা মোটেও চলবে না। বয়স ২৫ পেরোলেই নিয়মিত ডায়াবেটিস পরীক্ষা করাতে হবে।
তবে প্রশ্ন হলো কেনো বাড়ছে ডায়াবেটিসের প্রকোপ? ডায়াবিবেটিসের এই বাড়বাড়ন্তর পিছনে অন্যতম সবচেয়ে বড় কারণই হলো স্থূলতা। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা দাবি করেছে যে, প্রায় ৮০ শতাংশ ক্ষেত্রে ডায়াবেটিসের প্রাথমিক কারণই হলো এটি। সেই সঙ্গে অলস জীবনযাপন, দিন-রাত প্রক্রিয়াজাত খাবার খাওয়াও অল্প বয়সিদের মধ্যে ডায়াবেটিস বৃদ্ধির অন্যতম কারণ হিসেবে মত দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।