দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ কিছুটা অন্তর্মুখী বাংলাদেশের সহ-অধিয়ায়ক মাহমুদুল্লাহ, সেই মাহমুদুল্লাহ মুখোমুখি হয়েছিলেন ইএসপিএন ক্রিকইনফো’র সাক্ষাৎকারের। ঢাকা টাইমস্ এর পাঠকদের জন্য সে সাক্ষাৎকার অনুবাদ করে দেয়া হলোঃ
প্রথমবারের মতো কোনো তারকার সাথে সাক্ষাৎ
আমি যখন সপ্তম শ্রেণীতে পড়ি তখন বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়ক খালেদ মাহমুদ সুজন ভাই ময়মনসিংহের সিরাজ মেমোরিয়াল ক্লাবের হয়ে খেলতে এসেছিলেন। আমি বেশ কসরত করে তার একটি অটোগ্রাফ নিয়েছিলাম, কিন্তু কোন কথা বলতে পারিনি।
প্রথমবারের মতো আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলা
২০০৭ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রেমাদাসা মাঠে আমার অভিষেক ঘটেছিলো। আসলে সেদিনের কথা আমার কিছুই মনে নেই, আমি খুবই নার্ভাস ছিলাম, বলতে পারেন আমি স্তম্ভিত হয়ে গিয়েছিলাম। আমরা প্রথমে বোলিং করেছিলাম, আর কিছুটা দেরীতে খেলা শুরু হওয়ায় হতভম্ভব ভাবটা কিছুতেই যাচ্ছিলো না। আমি ২৮ রানে ২ উইকেট নিয়েছিলাম যার একটায় তামিম ক্যাচ ধরেছিলো মিডউইকেটে বাউন্ডারির কাছে দাঁড়িয়ে। এরপর সাত নম্বরে নেমে ৫৪ বলে ৩৬ রান করেছিলাম। আমি আমার ভাই এমদাদুল্লাহ’র কাছে অনেক কৃতজ্ঞ, যিনি আমাকে অনেক কিছু শিখিয়েছেন। আমার এতোদূর পেছনে তাঁর অবদানের কথা ভুলতে পারবো না।
প্রথম কোনো স্মরণীয় স্লেজ বা কটূক্তি
আমি সাধারণত মাঠে এরকম করি না কিন্তু আমার মনে আছে আমি ঢাকার মাঠে ব্রেণ্ডন টেইলরকে মৌখিকভাবে একটু বকা দিয়েছিলাম। আমি জানতাম সে সেদিনের খেলায় খুব বেশী স্কোর করেনি কিন্তু আমি যখন ব্যাট করতে এলাম সে বেশী কথা বলছিলো তাই তাকে আমি চুপ থাকতে বলেছিলাম। পরবর্তীতে ইউটিউবে ভিডিও দেখেছি কিন্তু আমি সত্যিই জানিনা এই ভিডিও ইউটিউবের জনপ্রিয় ক্রিকেট ভিডিওগুলোর মধ্যে পরে কীনা।
প্রথম আন্তর্জাতিক শতক
২০১০ সালে নিউজিল্যাণ্ডের বিপক্ষে টেস্ট ম্যাচে ছিলো আমার প্রথম আন্তর্জাতিক শতক। সেদিন আমি খুবই ইতিবাচক খেলেছিলাম এবং বলতে গেলে শতকের জন্য প্রস্তুতই ছিলাম! আমি সম্পূর্ণ আমার মতো করেই প্রতিটি বল খেলেছিলাম। সেই ইনিংসের কথা আমার এখনও মনে পড়ে, সেখান থেকে উজ্জীবীত হতে চেষ্টা করি।
জয় উদয়াপনের পর প্রথমবারের মতো নাচ!
গত বছর উইন্ডিজকে ঢাকার মাঠে পঞ্চম ম্যাচে হারিয়ে আমরা নেচেছিলাম। আমি অবশ্য খেলা শুরু আগেই ড্রেসিং রুমে সতীর্থদের জানিয়ে রেখেছিলাম যদি আমরা জিতে যাই তবে অবশ্যই আমরা গ্যাংনাম নেচে জয় উদযাপন করবো। সবাই দারূনভাবে ব্যাপারটা নিলো, কিন্তু আমরা নাচটা এর আগে অনুশীলন করিনি, সংবাদে নাকি সেটাই এসেছে! কিন্তু শেষটা যে এতো মধুর ছিলো এটাই প্রাপ্তি।