দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ এখন তাদের মজুরী দেওয়া হয় মাত্র ১২০ টাকা! এমন কথা শুনলে সত্যিই আশ্চর্য হতে হয়। ১২০ টাকায় এখন কী হয়? তাই চা শ্রমিকদের ৩০০ টাকা মজুরীর দাবি মোটেও অযৌক্তিক নয়।
অথচ সেই দাবিকে উপেক্ষা করে মজুরী বাড়ানোর ঘোষণা এসেছে মাত্র ২৫ টাকা বৃদ্ধি করে ১৪৫ টাকা! এই সিদ্ধান্ত কী আদৌ যৌক্তিক? যদিও এটি পরবর্তীতে বসে সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা বলা হয়েছে। তারপরও এমন সিদ্ধান্ত কীভাবে নেওয়া হলো সেটি প্রশ্ন।
চা শ্রমিকরা মাত্র ১২০ টাকা মজুরী নিয়ে কিভাবে দিনাতিপাত করছেন সেটি কী কখনও আমরা ভেবে দেখেছি? বর্তমান বাজার মূল্যে একজন মানুষ কিভাবে ওই ১২০ টাকা মজুরী নিয়ে সংসার চালাবেন সেটি আমরা কী কখনও ভেবে দেখেছি?
গত ১০/১২ তিন ধরে চা-বাগানের শ্রমিকরা আন্দোলন করে আসছেন। তারা নিরুপায় হয়ে কাজ বাদ দিয়ে রাস্তায় নেমেছেন। অথচ তাদের সেই দাবিকে উপেক্ষা করা হচ্ছে। যদি পরিবহন শ্রমিকরা এভাবে দাবি নিয়ে রাস্তায় নামতেন তাহলে সরকার কী করতো?
চা-বাগানের শ্রমিকরা কাজ বাদ দিয়ে অর্থাৎ মজুরী না পেয়েও খালি হাতে গত কয়দিন ধরে এই আন্দোলন করে আসছেন। তারা জানেন যতো দিন আন্দোলন চলবে ততো দিন তাদের মজুরীও বন্ধ থাকবে। তারপরও নিরুপায় হয়ে তারা রাস্তায় নেমেছেন। তাদের সেই যৌক্তিক দাবি এখন মেনে নেওয়ার সময় হয়েছে। কারণ এরা বছরের পর বছর ধরে মাত্র ১২০ টাকা মজুরীতে শ্রম দিয়ে আসছে। কিন্তু এভাবে আর কতো দিন চলতে পারে। যেখানে এক কেজি চাল কিনতেই টাকা শেষ হয়, সেখানে তারা কিভাবে দিন পার করবেন।
এখন সরকারের উচিত তাদের দাবি অর্থাৎ ৩০০ টাকা মজুরীর দাবি মেনে নেওয়া। মাত্র ২৫ টাকা বাড়িয়ে এইসব সাধারণ শ্রমিকদের উপহাস না করে তাদের ন্যায্য দাবি ৩০০ টাকা মজুরীর দাবি মেনে নেওয়া এখন সময়ের ব্যাপার বলে মনে করছেন অভিজ্ঞরা।
দেশের ১৬৭টি চা বাগানের মতোই মৌলভীবাজারের ৯২টি চা বাগান, হবিগঞ্জ এবং সিলেটসহ সারাদেশে শনিবার সকাল থেকে ধর্মঘটের অংশ হিসেবে বাগান এলাকায় মানববন্ধন, সমাবেশ এবং বিক্ষোভ মিছিল করে চা শ্রমিকরা।
উল্লেখ্য, ২০২১ সালের ডিসেম্বর মাসে শ্রমিকদের সংগঠন বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়ন এবং বাগান মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ চা সংসদ নেতৃবৃন্দের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক চুক্তিও স্বাক্ষরিত হয়। সেই সময় শ্রমিকদের মজুরি বাড়িয়ে ৩০০ টাকা করার সিদ্ধান্ত হয়েচিলো। কিন্তু চুক্তির ১৯ মাস অতিবাহিত হলেও সেই প্রতিশ্রুতি আজও বাস্তবায়ন করেনি মালিক পক্ষ। এখন প্রশ্ন হলো কেনো চুক্তির বাস্তবায়ন করা হয়নি? কোন স্বার্থে আজও সেই চুক্তি আলোর মুখ দেখেনি? তাহলে এর জন্য দায়ি কারা? আজ এই বিষয়টি খুঁজে বের করতে হবে।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।