দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ সময়ের সঙ্গে সঙ্গে মহিলাদের শরীরে হরমোনজনিত নানা পরিবর্তন আসে। সেই কারণেই দেখা দেয় নানা শারীরিক সমস্যাও- এই কথা বলেছেন চিকিৎসকরা। বিশেষ করে চল্লিশের পর এইসব সমস্যা প্রকট হয়।
এক সমীক্ষা বলছে, পুরুষদের তুলনায় মহিলাদের গড় আয়ু ৪ বছরের মতো বেশি। তবে মহিলারা পুরুষদের তুলনায় অনেক বেশি রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকেন। কেনো মহিলাদের একটা বয়সের পর বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হন? এই বিষয়ে চিকিৎসকরা বলেছেন, সময়ের সঙ্গে মহিলাদের শরীরে হরমোনজনিত নানা পরিবর্তনও আসে। সে কারণেই দেখা দেয় নানা ধরনের শারীরিক সমস্যা। ৪৫ হতে ৫৫ বছর বয়সের মাঝে অধিকাংশের ঋতুবন্ধের সময় চলে আসে। তারপর আর নারীর মাসিক ঋতুস্রাব হয় না। কোন বয়সে কার ঋতুবন্ধ হবে, তা বংশগত ধারার উপরও খানিকটা নির্ভর করে। যে সকল মহিলার হরমোনজনিত সমস্যা রয়েছে, তাদের ক্ষেত্রে তুলনামূলক তাড়াতাড়ি ঋতুবন্ধ হওয়ার সময় আসে।ঋতুবন্ধের পর থেকে মেয়েদের শরীরে বেশ কিছু পরিবর্তনও আসে। বয়সের কারণেও নানা রোগ তখন শরীরে বাসা বাঁধে। তবে পঞ্চাশের পর থেকে জীবনযাত্রায় কিছু পরিবর্তন আনলে অনেক অসুখ এড়ানো সম্ভব। ঋতুবন্ধ হয়ে গেলে শরীর নিয়ে একটু বেশি সতর্ক থাকতে হবে। ঋতুবন্ধের পর চিকিত্সকের কাছেও যেতে হবে। তা না হলে নানা অসুবিধার সম্মুখীন হতে পারেন।
ঠিক কী ধরনের অসুবিধা হতে পারে?
# ঋতুবন্ধের পর অনেকের ‘ইউরিনারি ইনকন্টিনেন্স’ হয়ে থাকে। যে কারণে তারা প্রস্রাব আটকে রাখতে পারেন না। নিয়মিত কিছু শরীরচর্চা করলে এই সমস্যার সমাধান করা সম্ভব।
# এই সময়ের পর মেয়েদের জরায়ু, ডিম্বাশয় এমনকি স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকিও বাড়ে।
# উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস ও হার্টের নানা সমস্যা এড়িয়ে চলতে এই সময় জীবনযাত্রায় কিছু পরিবর্তনও আনতে বলা হয়েছে।
# ঋতুবন্ধের পর অনেকেই অস্টিয়োপোরোসিস রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকেন। এ রোগ হলে শরীরে ক্যালশিয়ামের ঘাটতি হয়। যে কারণে হাড় দুর্বল হয়ে পড়ে।
# অনেকের যোনিতে ব্যথা শুরু হয়। যোনি একেবারে শুষ্ক হয়ে যায়, চুলকানিও শুরু হয়। তাছাড়াও, মূত্রনালিতে সংক্রমণের ঝুঁকিও তখন বেড়ে যায়।
ঋতুবন্ধের পর কোন কোন শারীরিক পরীক্ষা করতে হবে
# ঋতুবন্ধের পর ক্যান্সার স্ক্রিনিং করানো প্রয়োজন। ঠিক কোন ধরনের স্ক্রিনিং আপনার জন্য জরুরি, তা স্ত্রীরোগ চিকিৎসকই বলে দেবেন।
# পেলভিক পরীক্ষা করানো এই ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ। মহিলাদের যোনি, জরায়ু, ফ্যালোপিয়ান টিউব কিংবা ডিম্বাশয় কোনও রকম সংক্রমণ হয়ে থাকলে, সেটি নির্ণয় করা সম্ভব এই পরীক্ষার মাধ্যমে।
# ঋতুবন্ধের বহু বছর পর আবারও রক্তপাত শুরু হলে বিষয়টি মোটেও এড়িয়ে যাবেন না। এটি জরায়ুতে ক্যান্সারের লক্ষণও হতে পারে। ঋতুবন্ধের পর প্যাপ স্মিয়ার পরীক্ষা করানো প্রয়োজন। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।