দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ মাশরুম সম্পর্কে আমরা খুব একটা ওয়াকিবহাল নই। মাশরুম কেনো খাবেন? সেই বিষয়টিও আমাদের জানা নেই। আজ জেনে নিন বিষয়টি।
মাশরুম খাওয়ার কিছু নিয়ম রয়েছে। অর্থাৎ মাশরুম রান্না করার আগে মেনে চলতে হবে কয়েকটি নিয়ম। কী সেগুলো?
মাশরুমের মতো স্বাদ এবং স্বাস্থ্যের উপকার খুব কম খাবারেই পাওয়া যায়। এখন বাঙালির রান্নাঘরেও বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে ব্যাঙের ছাতার এই তুতো ভাই হিসেবে খ্যাত মাশরুম। তবে বাজারে যে মাশরুম পাওয়া যায়, তা সব সময় ঠিকভাবে প্রক্রিয়াকরণ করা হয় না। তাই রান্নার পূর্বে কয়েকটি নিয়ম মেনে চলাটা জরুরি।
অন্যান্য খাবারের তুলনায় একটু ভিন্নভাবে পরিষ্কার করতে হয় মাশরুম। প্রথমে ধুতে হয় ঠাণ্ডা পানিতে। এরপর ধুতে হয় গরম পানিতে। ধোয়ার পরও ছোট ছোট করে কেটে দেখে নিতে হবে মাশরুমে অন্য কোনো ময়লা আছে কি না। রান্নার পূর্বে মাশরুম ধোঁয়া ওঠা আঁচে অন্তত দশ মিনিট ভাপিয়ে নিতে হবে। এরপর করতে হবে রান্না।
মাশরুমের গুণ
# প্রচুর পরিমাণ ফাইবার থাকে মাশরুমে। বিশেষ করে মাশরুমে বিটা গ্লুকান নামক এক ধরনের দ্রবণীয় ফাইবার থাকে, যা কোলেস্টেরলের সমস্যা দূর করে ও হৃদযন্ত্রের স্বাস্থ্যের উন্নতিতেও সাহায্য করে।
# ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণেও সহায়তা করে মাশরুমে থাকা এই বিটা গ্লুকান। এটি কমায় টাইপ ২ ডায়াবেটিসের ঝুঁকি।
# সাধারণত মাশরুমে থাকে একাধিক অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট। এই অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট, ‘ফ্রি র্যাডিক্যালের’ ক্ষতিকর প্রভাব থেকে শরীরকে রক্ষা করতে সাহায্য করে থাকে। ‘ফ্রি র্যাডিক্যাল’ হৃদরোগ ও ক্যান্সারের মতো রোগের কারণও হতে পারে। এই অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতেও সাহায্য করে।
# মাশরুমে পাওয়া যায় রাইবোফ্লাভিন, নিয়াসিন ও প্যান্টোথেনিক অ্যাসিড। রাইবোফ্লাভিন লোহিত রক্তকণিকার স্বাস্থ্য রক্ষা করে এবং নিয়াসিন পাচনতন্ত্র ভালো রাখে ও প্যান্টোথেনিক অ্যাসিড যত্ন নেয় মানবদেহের স্নায়ুতন্ত্রের। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।
This post was last modified on আগস্ট ২২, ২০২২ 1:43 অপরাহ্ন
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শীতে মধু মাখলে বেশ উপকার পাওয়া যাবে। যে কারণে এই…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধির লক্ষ্যে সম্প্রতি বাংলাদেশে নিযুক্ত ফিলিপাইনের…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আসলে ২০২৫ সালের প্রযুক্তি–দুনিয়া কেমন যাবে, তা নিয়ে অনেক জল্পনা-কল্পনা…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ফিল্মের মানুষদের নেতিবাচকভাবে উপস্থাপনের অভিযোগে ২০২১ সালে সেন্সর বোর্ড থেকে…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ মধ্য আফ্রিকার দেশ চাদের রাজধানী এনজামেনায় প্রেসিডেন্ট প্রাসাদে বোকো হারাম…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ভাইরাল এক ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, হাতির পিঠে দড়ি দিয়ে আষ্টেপৃষ্ঠে…