দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলে ‘হাওয়া’ সিনেমার প্রদর্শন নিষিদ্ধ চেয়ে একটি আইনি নোটিশ দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ডের চেয়ারম্যান, তথ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মকবুল হোসেন ও সেন্সর বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান মুহ. সাইফুল্লাহকে এই নোটিশ পাঠানো হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী খন্দকার হাসান শাহরিয়ার গতকাল সোমবার (২২ আগস্ট) এই নোটিশটি পাঠান।
নোটিশে বলা হয়েছে, সেন্সর বোর্ডের ছাড়পত্র পেয়ে ২৯ জুলাই দেশের প্রেক্ষাগৃহগুলোতে মুক্তি পাওয়া মেজবাউর রহমান সুমন পরিচালিত ‘হাওয়া’ সিনেমায় ট্রলারে থাকা একটি খাঁচায় শালিক পাখি বন্দি অবস্থায় দেখা গেছে। একপর্যায়ে সেটিকে হত্যা করে খাওয়ার দৃশ্য দেখানো হয়।
‘হাওয়া’ সিনেমাতে কয়েকটি দৃশ্য রয়েছে- যা বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা আইন, ২০১২-এর সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। বন্যপ্রাণী সংক্রান্ত এই ধরনের অপরাধের কারণে সাধারণ মানুষ পাখি শিকার, খাঁচায় পোষা ও হত্যা করে খাওয়াতে উৎসাহিত হবে। এই দৃশ্য ধারণের জন্য বন বিভাগের কোনও অনুমতি নেওয়া হয়নি। বন্যপ্রাণী হত্যা ও খাওয়ার দৃশ্য দেখে মানুষ মনে করতে পারেন যে, এটা করা যায়। তারা এগুলো দেখে উৎসাহিতও হতে পারেন। সিনেমা নাটকে ধূমপানের দৃশ্যে যেমন লেখা থাকে যে এটা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর, তবে ‘হাওয়া’ সিনেমার ওই অংশে এই ধরনের কোনও বার্তাও ছিল না।
ইতিমধ্যে বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিটের চার কর্মকর্তা ‘হাওয়া’ সিনেমাটি দেখে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা আইন-২০১২-এর ধারা ৩৮(১), ৩৮(২), ৪০ ও ৪৬ লঙ্ঘনের সত্যতা পাওয়ার পর গত ১৭ আগস্ট বিজ্ঞ আদালতে মামলা দায়ের করেছেন।
তাছাড়াও ‘হাওয়া’ সিনেমায় বেশ কয়েকটি খুনের দৃশ্যও রয়েছে, যা অতি ভয়ংকর ও ভায়োলেন্স পূর্ণ। তাছাড়াও পুরো ‘হাওয়া’ সিনেমায় নারী চরিত্রকে নেতিবাচক হিসেবেই তুলে ধরার পাশাপাশি অসংখ্য অশ্লীল গালি ব্যবহার করা হয়। যা পরিবারের সদস্যদের, বিশেষ করে অপ্রাপ্ত বয়স্কদের দেখা মোটেও উচিত হবে না। এহেন কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে শিশু-কিশোররা, তরুণ-তরুণীরা ব্যাপকভাবে প্রভাবিত হতে পারেন। যা সমাজে নেতিবাচক প্রভাবও ফেলবে। অথচ ‘হাওয়া’ সিনেমার কোথাও ‘অপ্রাপ্ত বয়স্কদের দেখা নিষেধ’ এই কথাটির উল্লেখ নাই। এই ধরনের চলচ্চিত্র শুধু বাংলাদেশেই নয়, বহির্বিশ্বেও প্রচার, সম্প্রচার এবং প্রদর্শন হলে বাংলাদেশ সম্পর্কে নেতিবাচক ধারণার জন্ম দেবে।
নোটিশে আরও বলা হয়, ‘হাওয়া’ সিনেমাটিতে ভায়োলেন্সপূর্ণ খুনের দৃশ্য, অশ্লীল গালি গালাজ ও বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা আইন-২০১২-এর ধারা ৩৮(১), ৩৮(২), ৪০ ও ৪৬ লঙ্ঘন হলেও বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ড সদস্যরা পরিচালক মেজবাউর রহমান সুমনকে হাওয়া সিনেমার বিতর্কিত দৃশ্যগুলো কর্তন কিংবা আইন লঙ্ঘনের চিত্র সংস্কার করতে বলেননি। বরং হাওয়া সিনেমাটিকে দায়িত্বজ্ঞানহীনভাবে ছাড়পত্র প্রদান করে বাংলাদেশের প্রচলিত আইন লঙ্ঘনে ও সমাজে নেতিবাচক প্রভাব তৈরিতে উৎসাহ প্রদান করে সমঅপরাধ সংঘটিত করেছেন।
তাই নোটিশ প্রাপ্তির ৭ দিনের মধ্যে হাওয়া সিনেমাটির ছাড়পত্র বাতিল করে বাংলাদেশে ও বাংলাদেশের বাইরে প্রচার, সম্প্রচার এবং প্রদর্শন সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ ঘোষণা করার সঙ্গে সঙ্গে সেন্সরবোর্ড পুনর্গঠন করে বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিটের সদস্য, আইনজীবী এবং পরিবেশবিদদের সেন্সরবোর্ডের সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করতে বলা হয়। একইসঙ্গে ভবিষ্যতে কোনও সিনেমার ছাড়পত্র দেওয়ার পূর্বে চলচ্চিত্রটিতে যেনো ভায়োলেন্সপূর্ণ খুনের দৃশ্য, অশ্লীল গালি ও বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা আইন-২০১২-এর কোনও ধারার লঙ্ঘন না হয়, সেই বিষয়ে বিশেষভাবে দৃষ্টি রাখতে বলা হয়।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।