মেজাজ ঠাণ্ডা রাখতে যা করবেন

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ অস্বাভাবিক রাগের কারণে অনেক সময় সম্পর্ক নয়, আবার খারাপ হয় শরীরও। তাই মেজাজ বশে রাখাটা অত্যন্ত জরুরি। কিন্তু কীভাবে পাবেন এর সমাধান?

আপনি কী কথায় কথায় রেগে যান? রাগের মাথায় প্রিয়জনকে খারাপ কথা বলার কারণে সম্পর্ক খারাপ হচ্ছে? তাহলে একটু সতর্ক হোন। মাত্রাতিরিক্ত রাগে শুধু সম্পর্কই নয়, খারাপ হতে পারে শরীরও। তাই রাগ নিয়ন্ত্রণে রাখতে মেনে চলতে পারেন কিছু নিয়ম।

স্পষ্ট কথায় কোনো কষ্ট নেই

অন্যের নিন্দা কিংবা সমালোচনা না করে নিজের পছন্দ-অপছন্দ পরিষ্কার করে তাদের জানান। যদি কাছের কোনও মানুষের উপর রাগও হয়, তবে তাকে খুলে বলুন আপনার মানসিক টানাপড়েনের বিষয়টি। রাগ কখনও পুষে রাখবেন না- অর্থাৎ ক্ষমা করতে শিখুন। সবাই সব সময় আপনার মতোই ভাববে, এতোটা আশা করা মোটেও ঠিক হবে না।

সহ্যের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করুন

কোন পরিস্থিতিতে গিয়ে হঠাৎ আপনি রেগে যাচ্ছেন, তা একবার বোঝার চেষ্টা করুন। মনোবিদদের ভাষায় বলা হয়, এই জায়গাগুলোকে বলা হয়ে থাকে ‘ট্রিগার পয়েন্ট’। কিছু কিছু বিষয় সহ্য করা সম্ভব হয় না। তেমন পরিস্থিতিতে পৌঁছালে সহ্যের সীমা ছাড়িয়ে যায়। আর তখন রাগ হয়। এই ‘ট্রিগার পয়েন্ট’ পর্যন্ত যাতে না পৌঁছাতে হয়, তাই কিছু পরিস্থিতি আপনাকে অবশ্যই এড়িয়ে চলতে হবে।

কিছু বিষয় লিখে রাখুন

অনেকেই একবার মেজাজ খারাপ হয়ে গেলে দীর্ঘক্ষণ অন্য কোনও কাজে মনোনিবেশও করতে পারেন না। এমন সমস্যায় নিজের মনের কথা লিখে রাখার অভ্যাস করতে পারেন। রাগ-দুঃখ-অভিমান নিয়ম করে ডায়েরিতে লিখে রাখলে নিজের মন বুঝে ওঠা তখন সহজ হয়।

হাসি-ঠাট্টার আশ্রয় নিন

মানসিক চাপ কমাতে হাসি-ঠাট্টার জুড়ি নেই। তাই নিয়মিত দেখতে পারেন, হাসির ছবি থেকে নানা ব্যাঙ্গাত্মক টেলিভিশন শো। পড়তে পারেন হাসির গল্পের বইও। তবে অনেকেই মজা করতে গিয়ে কিন্তু আবার মাত্রা হারিয়ে ফেলেন। খেয়াল রাখতে হবে যে, নিজের চাপ কিংবা রাগ কমাতে গিয়ে অন্যের অনুভূতিকে আঘাত করে ব্যঙ্গ না করাই হবে বাঞ্ছনীয়।

বিশেষজ্ঞের সাহায্য নিতে হবে

সমস্যা যদি প্রকট হয়, তাহলে প্রয়োজন হলে সাহায্য নিন মনোবিদের। যদি কোনওভাবেই আপনার রাগ নিয়ন্ত্রণে না এসে থাকে, তাহলে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়াটা জরুরি। অনেক সময় হরমোন বা স্নায়ুর সমস্যা থেকেও হতে পারে মাত্রাতিরিক্ত রাগের সমস্যা। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।

করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়

# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।