দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ জ্বালানি তেলের দাম মাত্র ৫ টাকা কমিয়ে আসলে কী বার্তা দেওয়া হলো। প্রশ্ন উঠেছে জ্বালানি তেলের দাম ৫ টাকা কমানো হলো কার স্বার্থে?
আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে কোনো কিছুর দাম কমানোর রেওয়াজ নাই বললেই চলে। তবে মাত্র ৫ টাকা কমিয়ে কী সেই রেওয়াজের রেকর্ড করতে চেয়েছে সরকার? প্রশ্ন উঠেছে জ্বালানি তেলের দাম ৫ টাকা কমানো হলো কার স্বার্থে?
ডিজেল, পেট্রোল, অকটেন এবং কেরোসিন তেলের প্রায় ৪৬% মূল্যবৃদ্ধির পর জনগণের প্রতিবাদ এবং অসন্তোষের কারণে সরকার লিটার প্রতি ৫ টাকা কমানোর সিদ্ধান্ত নেয়। গত মধ্যরাত থেকে তা কার্যকরও হয়েছে। এই ৫ টাকা কমিয়ে আসলে জনগণের কি লাভ হবে সেটিও ভাববার বিষয়! না বাসভাড়া কমবে, না জিনিসপত্রের দাম কমবে। মাঝখানে লাভ হবে পরিবহন মালিকদের!
জনগণের আজ নাভিশ্বাস অবস্থা। পরিবহনসহ নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রে দাম যেভাবে বেড়েছে তাতে সাধারণ মানুষ আজ দিশেহারা। হয়তো অনেক মন্ত্রী-মিনিস্টাররা বলেন, বহির্বিশ্বেও দাম বেড়েছে। তবে আমাদের দেশের প্রেক্ষাপট একেবারেই ভিন্ন। কারণ আমেরিকাতে তেলের দাম বাড়লেও সেখানে মানুষের ক্রয় করার ক্ষমতা রয়েছে। সেদেশের সরকারও জনগণকে ভাতাসহ নানা রকম সুযোগ সুবিধা দিয়ে থাকে। কিন্তু আমাদের দেশে সেই ধরনের পরিস্থিতি এখনও হয়নি। আমাদের দেশের নিন্মবৃত্তের সংখ্যাটায় বেশি। দিন আনে দিন খায়, এমন মানুষের সংখ্যায় আমাদের দেশে বেশি। তাছাড়া সাধারণ মানুষের সংখ্যাও নেহায়েত কম নয়। এইসব মানুষ আজ দিশেহারা। তারা নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের এই লাগামহীন দামে নাভিশ্বাস অবস্থায় পড়েছেন। অথচ মানুষের আয় বাড়েনি। জনসংখ্যা অনুপাতে মাত্র গুটি কয়েক মানুষ সরকারী চাকরিজীবি। তাদের কিছু সুযোগ সুবিধা থাকে সব সময়। আবার সরকারও তাদের বেতন-ভাতাদী সহ নানা সুযোগ সুবিধা দিয়ে থাকেন। কিন্তু বেসরকারী প্রতিষ্ঠান ও যারা চাকরি করেন না, তাদের আজ কী অবস্থা যাচ্ছে সেটি আমাদেরকে ভাবতে হবে।
বেশির ভাগ সময় তেলের দাম, বিদ্যুতের দাম বা গ্যাসের দাম বাড়ানোর সময় বিশ্ব অর্থনীতির কথা বলা হয়। অথচ আমাদের দেশে বিশ্ব অর্থনীতির সঙ্গে সংযুক্ত নয় এমন জিনিসপত্রের দাম বেড়ে যায় রাতারাতি। যেমন তেলের দাম বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাস মালিকরা বৈঠক করে দাম বাড়িয়ে দেন। অথচ এখন কিন্তু তাদের দাম কমানোর কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। বর্তমানে কাঁচাবাজারসহ নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম যেমন বেড়েছে, তেমনি অন্যান্য জিনিসপত্রের দামও যেমন ওষুধের দামও বৃদ্ধি করা হয়েছে। বৃদ্ধি করা হয়েছে গায়ে মাখা ও কাপড় কাচা সাবানসহ অন্যান্য জিনিসপত্রের দামও। এক কথায় বলা যায়, এমন কোনো জিনিস নাই যার দাম বাড়েনি। এমন অবস্থায় সাধারণ মানুষ আজ বড়ই কষ্টে দিন কাটাচ্ছেন। এভাবে চলতে থাকলে এক হাহাকার পড়ে যাবে। তাই সময় থাকতে সব কিছুই বিবেচ্য বিষয় হিসেবে দেখতে হবে। কোনো কিছুর দাম বাড়ানোর আগে দশবার ভেবে তবেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে। কারণ যারা সরকারে আছেন তাদের উপরেই বর্তায় এর দায় ভার। মানুষের সুখ-দু:খে যে সরকার পাশে থাকবে না, সেই সরকারের গ্রহণযোগ্যতাও কমে যাবে। জনগণই হলো সকল ক্ষমতার উৎস- এই কথাটি সকলেরই মনে রাখা দরকার।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।