কোন গ্রুপের রক্ত শরীরে থাকলে বেশি মশার কামড় দেয়?

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ কোনও কোনও মানুষের দেহ থেকে নির্গত কিছু রাসায়নিক মশাকে আরও বেশি আকৃষ্ট করে। মশা তাদেরকেই বেশি কামড়ায়!

হয়তো আপনি ভাবতেই পারেন আমাকেই কেনো এতো মশা কামড়ায়? এই প্রশ্ন কী প্রায় সময় আপনার মনে ঘুরপাক খায়? বহু খুঁজেও উত্তর পান না? অনেক সময় এমন হয় যে, কোথাও বসে আড্ডা দিচ্ছেন, আপনার পাশেই বসে থাকা ওই মানুষটিকে মশা কামড়ানো তো দূরে থাক, তার ধার-কাছেও যাচ্ছে না মশা! অথচ আপনি মশার কামড়ে অতিষ্ট! কী কারণে এমনটি হয় তা কী আপনি জানেন?

# বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে যে, সত্যিই কিছু লোককে মশা বেশি ‘ভালবাসে’! যাদের শরীর থেকে ঘামের মাধ্যমে ল্যাক্টিক অ্যাসিড, ইউরিক অ্যাসিড, অ্যামোনিয়া বেশি পরিমাণে নির্গত হয়ে থাকে, তাদেরকে মশা বেশি কামড়ায়।

# যাদের রক্তের গ্রুপ ‘ও’, অন্যদের তুলনায় তাদের কিন্তু মশা একটু বেশিই ‘পছন্দ’ করে।

# মশার কামড় বেশি খাওয়ার সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে মানুষের এক ধরনের জিনও।

# কার্বন ডাই-অক্সাইডকে ধরেই মশারা তাদের কামড়ানোর উপযুক্ত লোক হিসেবে খোঁজে। যাদের শরীর থেকে বেশি মাত্রায় এই গ্যাসটি নির্গত হয়, তাদেরই মশারা বেশি করে হামলা করে।

# অন্তঃসত্ত্বা কিংবা অতিরিক্ত মেদযুক্ত মানুষের প্রতিও মশা বেশি আকৃষ্ট হয়ে থাকে।

# গাঢ় রঙের জামা পরলেও নাকি মশা বেশি ধেয়ে আসে।

# আপনি কী বিয়ার খান? তা হলে মশাও আপনাকে বেশি কামড়াবে। এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, বিয়ার খাওয়ার পর আমাদের ঘাম থেকে ইথানলের গন্ধ বের হয়। আর তাই সেটি মশাদের বেশি আকৃষ্ট করে থাকে। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।

করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়

# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।