কোন খাবার খেলে ভালো থাকে চোখ?

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ অনেকেই চল্লিশ পেরিয়েও চশমা পরতে চান না? চোখের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে হলে কয়েকটি খাবার খাওয়া জরুরি।

যতোই দিন গড়াচ্ছে ততোই মোবাইল, ল্যাপটপের ব্যবহারও বাড়ছে। সেইসঙ্গে চোখের উপর চাপও বাড়ছে পাল্লা দিয়ে। কাজেই প্রতিদিনের খাবারে থাকতে হবে এমন কিছু, যা ভালো রাখবে আপনার চোখ।

আর কাজের চাপ যতো বাড়ছে, ততোই চাপ পড়ছে চোখের উপর। দিনে ৮ থেকে ৯ ঘণ্টা কম্পিউটারের সামনে কাজ করতে হচ্ছে অনেককে। সঙ্গে বাড়ি ফিরে টিভি দেখা বা বিছানায় শুয়ে নেটফ্লিক্সে মুভি। সারাদিন নেটমধ্যমে ঘোরাঘুরি তো রয়েছেই। এতোকিছুর মধ্যে কীভাবে ভালো থাকবে আপনার চোখ? এইসব সমস্যার সমাধান পেতে পারেন কয়েকটি খাবারে।

ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড

চোখের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিডের জুড়ি নেই। শরীরের প্রয়োজনীয় ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড পাওয়া যায় বিভিন্ন সামুদ্রিক মাছ হতে। বাজারে পাওয়া যায় সার্ডিন, স্যামন কিংবা টুনা মাছ। এই ধরনের মাছের তেল চোখের জন্যও খুবই উপকারী।

গাজর

চোখের যত্নে অত্যন্ত কার্যকর একটি জিনিস হলো এই গাজর। গাজরের বিটা-ক্যারোটিন কিংবা ভিটামিন এ চোখের জন্য খুব জরুরি। নিয়মিত গাজর খেলে চোখে সংক্রমণের আশঙ্কাও কমে যায়। ভিটামিন এ চোখের মণির যত্ন নিতে সাহায্য করে।

ডিম

ডিমে পাওয়া যায় ভিটামিন এ। সেইসঙ্গে, ডিমে পাওয়া যায় জিঙ্ক এবং লুটিন। জিঙ্ক চোখের সাদা অংশ ভালো রাখাতে সাহায্য করে। বিশেষ করে ডিমের কুসুম প্রতিদিন খেলে ভালো থাকবে আপনার চোখ।

লেবু

শুধুমাত্র ভিটামিন এ থাকলেই হলো না। চোখের স্বাস্থ্যের জন্য প্রয়োজন ভিটামিন সি। ভিটামিন সি-র সবচেয়ে প্রধান উৎস হলো এই লেবু। নিয়মিত মুসাম্বি বা লেবু খেলে সেই প্রয়োজন অনায়াসে মিটতে পারে।

দুধ

দুধ বা দুগ্ধজাত যে কোনও খাবারই চোখের যত্নে খুবই কাজে লাগে। দুধ ও দইয়েও রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন এ এবং জিঙ্ক। দু’টি উপাদানই চোখের যত্নে অত্যন্ত জরুরি। যারা গরুর দুধ একেবারেই খেতে পারেন না, তারা ইচ্ছা করলে কাঠবাদাম থেকে পাওয়া দুধও খেতে পারেন। তাতেও আপনার চোখ ভালো থাকবে। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।

করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়

# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।