পেঁয়াজের রস কী ডায়াবেটিসের উপকার করে?

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ পুরো বিশ্বে দিনকে দিন বাড়ছে ডায়াবেটিস আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখা খুব সহজ কাজ নয়। চিকিৎসকরা বলেছেন, পেঁয়াজের রস জব্দ করতে পারে ডায়াবেটিস!

বর্তমান সময়ে দেখা যাচ্ছে ডায়াবেটিস অনেকেরই নিত্যসঙ্গী। দীর্ঘদিন ধরে ডায়াবেটিসের সমস্যায় ভুগছেন- পুরো বিশ্বে এমন মানুষের সংখ্যা নেহায়েত কম নয়। তার উপর রয়েছে ডায়াবেটিসের দোসর উচ্চ রক্তচাপ, কোলেস্টেরলের বাড়বাড়ন্তর সমস্যা। কায়িক পরিশ্রম কম করা, নিয়মহীন জীবনযাপনের কারণে ডায়াবেটিস নীরবে বাসা বাঁধে মানব শরীরে। রক্তে শর্করার পরিমাণ বেড়ে যাওয়া মানেই রাশ টানতে হবে খাওয়া-দাওয়ার। বাদ দিতে হবে অনেক কিছুই। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে বেশ কিছু নিয়ম মেনে চলাটা অত্যন্ত জরুরি। রক্তে শর্করার মাত্রা কম রাখতে হলে চিকিৎসকরে পরামর্শ মতো কড়া কড়া ওষুধ খেতে হবে। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে হলে বেশ কিছু নিয়ম মেনে চলাও অত্যন্ত জরুরি। তবে অনেকেই হয়তো জানেন না যে, ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে অস্ত্র হতে পারে পেঁয়াজের রস। এক দিন অন্তর অন্তর আধা গ্লাস করে পেঁয়াজের রস খেতে পারলে খুবই উপকার পাবেন।

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে পেঁয়াজের রস কীভাবে সাহায্য করে?

# পেঁয়াজে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার। তাই রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে এই পেঁয়াজ বেশ কার্যকর। পেঁয়াজের অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট উপাদান ডায়াবেটিস কমানোর পাশাপাশি, কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখতেও সাহায্য করে এটি।

# আপনি শত চেষ্টা করেও ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারছেন না? ফাইবার-সমৃদ্ধ পেঁয়াজের রস আপনাকে সাহায্য করতে পারে। এছাড়াও পেঁয়াজে শর্করার পরিমাণও কম। যে কারণে ডায়াবেটিস হলে অনায়াসে পেঁয়াজ খেতে পারেন। ডায়াবেটিস থাকলে চিকিৎসকরা কার্বোহাইড্রেট-যুক্ত খাবার খেতে বারণ করে থাকেন। পেঁয়াজেও কার্বোহাইড্রেট একেবারে নেই বললে চলে।

# যে সব খাবারের মধ্যে গ্লাইসেমিক ইনডেক্স (জিআই) বেশি, ডায়াবেটিস থাকলে তা খাওয়া উচিত না। পেঁয়াজে গ্লাইসেমিক ইনডেক্স একেবারেই কম। যে কারণে রক্তে শর্করার পরিমাণ বেশি থাকলেও পেঁয়াজ তা নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।

করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়

# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।