দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ কানাডার ‘ইউনিভার্সিটি অব ব্রিটিশ কলম্বিয়া’-র এক দল বিজ্ঞানীর দাবি করেছেন যে, তাঁরা ইনসুলিন ট্যাবলেট বানিয়ে ফেলেছেন। ইঁদুরের দেহে প্রয়োগ করার পর দেখা গেছে, ওষুধের প্রায় ১০০ শতাংশ লিভারে পৌঁছাতে সক্ষম!
বর্তমান সময়ে ডায়াবেটিসের সমস্যা ঘরে ঘরে। রক্তে শর্করার পরিমাণে লাগাম টানতে অনেকেই ইনসুলিন ইঞ্জেকশন নিতে হয় নিয়মিতভাবে। কখনও নাভির কাছে, কখনও থাইয়ের পেশিতে ফোটাতে হয় এই সুচ। তবে এবার শেষ হতে পারে সুচ ফোটানোর সেই যন্ত্রণা।
কানাডার ‘ইউনিভার্সিটি অব ব্রিটিশ কলম্বিয়া’-র এক দল বিজ্ঞানীর দাবি করেছেন যে, তাঁরা ইনসুলিন ট্যাবলেট বানিয়ে ফেলেছেন। ইতিপূর্বেও একাধিক বার খাওয়ার ট্যাবলেটের মাধ্যমে ইনসুলিন দেওয়ার চেষ্টা করা হয়। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই দেখা গেছে, পাকস্থলী থেকে বিশেষ শোষিত হয় না ইনসুলিন। যে কারণে কাজের কাজ কিছুই হয় না। বিজ্ঞানী অনুভব প্রতাপ সিংহের নেতৃত্বে হওয়া এই গবেষণায় দাবি করা হয়েছে যে, ইঁদুরের দেহে প্রয়োগ করার পর দেখা গেছে, ওষুধের প্রায় ১০০ শতাংশই লিভারে পৌঁছাতে সক্ষম।
মানবদেহে এই ওষুধের প্রয়োগ সফল হলে টাইপ ১ ডায়াবেটিসে ভোগা রোগীরা বিশেষভাবে উপকৃত হবেন বলে দাবি করেছেন গবেষকরা। অপর দিকে, টাইপ ২ ডায়াবেটিসের জন্য এ পর্যন্ত যে ট্যাবলেট তৈরি হয়েছে, সেগুলোর মূল সমস্যা ট্যাবলেটগুলো থেকে ইনসুলিন পুরোপুরি বেরোতে দুই থেকে চার ঘণ্টা পর্যন্ত সময় লাগে। সেই তুলনায় ইঞ্জেকশনের মাধ্যমে দেওয়া হলে ৩০ হতে ১২০ মিনিটের মধ্যেই ছড়িয়ে পড়ে ওষুধ। নতুন তৈরি ট্যাবলেটগুলোও ইঞ্জেকশনের মতো দ্রুত কাজ করে বলে দাবি করেছেনবিজ্ঞানীদের। সব মিলিয়ে এখন মানবদেহে কতোটা কাজ করে সেদিকেই তাকিয়ে আছেন গবেষকরা। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।