দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ রক্তে উচ্চ মাত্রার ইউরিক অ্যাসিড জমার এই সমস্যাকে চিকিৎসা পরিভাষায় বলা হয়ে থাকে ‘হাইপারইউরিসেমিয়া’। কমবয়সিদের মধ্যে এই রোগের বাড়বাড়ন্ত দেখা যাচ্ছে। তাহলে কীভাবে নেবেন সুরক্ষা?
২৬ বছর বয়সী একটি তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থার কর্মী রোহন মজুমদার। রোহন বেশ স্বাস্থ্যসচেতন বলা যায। কারণ তিনি প্রতিদিন দু’ঘণ্টা করে জিমে কাটান। জিমে শরীরচর্চা করার সময় হঠাৎই এক দিন হাঁটুতে ব্যথা অনুভব করেন তিনি। কোনও মতে জিম থেকে ফিরেই চিকিৎসকের কাছে যান। বিভিন্ন পরীক্ষার মাধ্যমে জানা যায় যে, রোহনের শরীরে বাসা বেঁধেছে উচ্চ মাত্রার এক ইউরিক অ্যাসিড।
অনেকেই মনে করেন যে, বয়স হলেই বোধ হয় ডায়াবেটিস, কোলেস্টেরল, ইউরিক অ্যাসিডের মতো ক্রনিক সমস্যা দেখা দিতে পারে। কিন্তু চিকিৎসকরা বলেছেন, রোহনের মতো এমন অনেকেই কমবয়সেও উচ্চ ইউরিক অ্যাসিডের সমস্যায় ভুগছেন।
নিয়মহীন জীবনযাপন, অস্বাস্থ্যকর খাওয়া-দাওয়া, প্রক্রিয়াজাত খাবার খাওয়ার মতো কিছু কারণে মানব দেহে উচ্চ মাত্রার ইউরিক অ্যাসিড হতে পারে। রক্তে উচ্চ মাত্রার ইউরিক অ্যাসিড জমার এই সমস্যাকে চিকিৎসা পরিভাষায় বলা হয়ে থাকে ‘হাইপারইউরিসেমিয়া’।
প্রচুর পরিমাণে চকোলেট কিংবা তেল জাতীয় মাছ বা কফি খেলে ‘হাইপারইউরিসেমিয়া’ হতে পারে। এর প্রধান লক্ষণই হলো হাঁটুর অস্থিসন্ধিতে ব্যথা। পায়ের আঙুলে, গোড়ালি, কখনও কখনও হাত ও কব্জিতেও ব্যথা হতে পারে। এই ধরনের উপসর্গ দেখা দিলে অবহেলা না রেখে দ্রুত চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।
‘হাইপারইউরিসেমিয়া’ ধরা পড়লে প্রতিদিনের খাবার থেকে বাদ দিতে হবে চর্বি যুক্ত মাছ, খাসির মাংস, অ্যালকোহলের মতো খাবারগুলো। সেই সঙ্গে চিকিৎসকের পরামর্শ মতো চলাটা জরুরি। তবে ঘরোয়া কয়েকটি উপায়েও নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারেন ‘হাইপারইউরিসেমিয়া’ সমস্যা। দেখে নিন উপায়গুলো।
# বেশি করে পানি খান। এই ধরনের অসুখে শরীর আর্দ্র রাখাটা খুবই জরুরি।
# ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার বেশি করে খেতে হবে। এতে করে শরীর সুস্থ থাকবে।
# বেরিজাতীয় ফল বেশি করে খেতে হবে। ব্লুবেরি, স্ট্রবেরির দিয়ে শরবতও বানিয়ে নিতে পারেন। এতে করে নিয়ন্ত্রণে থাকবে ‘হাইপারইউরিসেমিয়া’। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।
This post was last modified on সেপ্টেম্বর ৭, ২০২২ 3:35 অপরাহ্ন
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ পেঁপেতে উপস্থিত ‘পেপসিন’ ও ‘প্যাপাইন’ নামক উৎসেচকগুলো পরিপাকে বিশেষ সহায়ক।…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ সম্প্রতি ডেলটা নামে আইফোনের একটি নতুন ইমুলেটর অ্যাপ তৈরি হয়েছে।…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ দক্ষিণী সিনেমা ‘পুষ্পা’র তুমুল জনপ্রিয়তার পর মুক্তি পেতে চলেছে ‘পুষ্পা-২’।…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ছোট বেলায় কিশোর পত্রিকার পাতায় আমরা অনেকেই এমন খেলা খেলেছি।…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শুভ সকাল। শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪ খৃস্টাব্দ, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আমরা জানি করলা খেলে সুস্থ থাকে শরীর। তবে সঙ্গে বা…