ত্বকের যত্নে ডিম খাওয়া ও মাখা কী আদৌ লাভজনক?

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ রূপচর্চা বা কেশচর্চা নিয়ে যারা সচেতন, তাদের পছন্দের তালিকাতে ডিম রয়েছে এক নম্বরে। অনেকের ধারণা, ত্বকে ব্রণ বা র‌্যাশের প্রকোপ বাড়িয়ে দিতে পারে ডিম। এটি কী আদৌ সত্যি?

সকালের শুরু যেনো ডিম ছাড়া সম্পূর্ণই হয় না। কাজে বেরোনোর পূর্বে সেদ্ধ ভাতের দোসরও এই ডিম। আবার রাতে বাড়ি ফিরে তাড়াহুড়ো করে সেই ডিমেরই কোনো না কোনো আইটেম থাকতেই হবে। প্রোটিনের প্রধান উৎসই হলো এই ডিম। ডিমে রয়েছে ভিটামিন এ এবং ডি। খাদ্য হিসেবে ডিম যে উপকারী, সে কথা আমরা সকলেই জানি। তবে কেশ বা রূপচর্চা নিয়ে যারা বেশি সচেতন, তাদের পছন্দের তালিকাতে ডিম রয়েচে এক নম্বরে। খাওয়া হোক কিংবা মাখা, প্রয়োজন-অপ্রয়োজনে বাড়িতে থাকা ডিমই যেনো মুশকিল আসান করে। তবে অনেকের ধারণা যে, আঁশটে গন্ধের সঙ্গে সঙ্গে ত্বকে ব্রণ বা র‌্যাশের প্রকোপও বাড়িয়ে দেয় ডিম।

ডিম থেকে কী ব্রণ হতে পারে?

সকলেই এক বাক্যে স্বীকার করবেন যে, ত্বকের জন্য ডিম ভালো। ত্বকের শুষ্কতা, কালচে ভাব, বয়সজনিত বলিরেখা দূর করতে ও তৎক্ষণাৎ মুখে ঔজ্জ্বল্য ফিরিয়ে আনতে অনেকেই ডিমের সাদা অংশ প্যাক হিসেবে মুখে লাগিয়ে থাকেন। তবে ডিমে থাকা দু’টি যৌগ আয়োডিন ও সালফারে যদি কারও অ্যালার্জি থেকেই থাকে, সে ক্ষেত্রে বিষয়টি একেবারেই আলাদা। ডিমের সাদা অংশটির সঙ্গে মধু মিশিয়ে মুখে লাগিয়ে ফেলা যায় খুব অনায়াসেই।

ডিম কী ব্ল্যাকহেডস ও ব্রণ কমাতে পারে?

তৈলাক্ত ত্বকে সাধারণত ব্রণ, ব্ল্যাকহেডস কিংবা হোয়াইটহেডসের সমস্যাও দেখা যায়। ত্বকে অতিরিক্ত তেল ক্ষরণ নিয়ন্ত্রণ করে এই ডিম। তাই অনেকেই মুখে ডিমের সাদা অংশের প্রলেপ লাগিয়ে থাকেন। ডিমের সাদা অংশে থাকা অ্যালবুমিন ত্বকের অতিরিক্ত তেলও শুষে নেয়।

ডিম খাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ডিমের সাদা অংশটির সঙ্গে দই, লেবু কিংবা মধু মিশিয়ে মুখে ও চুলে লাগিয়ে ফেলা যায় খুব অনায়াসেই। শুকিয়ে গেলে ঈষদোষ্ণ পানিতে ধুয়ে নিলেই চলবে। নিয়মিত এই প্যাক ব্যবহার করলে ত্বকের ও চুলের স্বাস্থ্য ভালো থাকবে। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।

করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়

# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।