দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ কখনও প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের খোঁজে, কখনও ইতিহাস-ঐতিহ্য, কখনওবা শেকড়ের সন্ধানে থাকে জনপ্রিয় ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ইত্যাদি। এবারের ইত্যাদি সাজানো হয় ঝালকাঠির ধানসিড়ি নদীর তীরে।
গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে গিয়ে ইত্যাদি ধারণের ধারাবাহিকতায় এবারের পর্ব ধারণ করা হয় ঝালকাঠিতে।
আর মঞ্চ নির্মাণ করা হয়েছে ঝালকাঠির ধানসিড়ি, সুগন্ধা, বিষখালী, বাসন্ডা, গাবখান-এই পাঁচ নদীর ঠিক মোহনায়। ধারণ করা হয় গত ১৮ সেপ্টেম্বর। ‘ইত্যাদি’র ধারণ উপলক্ষে পুরো ঝালকাঠিতে ছিল উৎসবের আমেজ। দর্শকদের বাঁধভাঙা জোয়ারে পুরো মাঠ ছিলো দর্শকপূর্ণ।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, ইতিপূর্বে ঝালকাঠিতে কখনও কোন অনুষ্ঠানে এতো দর্শক সমাগম ঘটেনি। কর্দমাক্ত এবং অপ্রশস্ত রাস্তা ছিলো গাড়ি চলাচলের জন্য একেবারেই অনুপযুক্ত। তাই দর্শকদের প্রায় দেড় কিলোমিটার পথ হেঁটে অনুষ্ঠানস্থলে আসতে হয়। হেঁটে আসার কষ্ট, ভাপসা গরম ও বৃষ্টির ঝুঁকি থাকা সত্তেও দর্শকরা ছিলেন স্বতঃস্ফূর্ত।
বর্ণিল আলো ও ঝালকাঠির বিভিন্ন ঐতিহ্যবাহী পণ্য এবং ঐতিহাসিক স্থাপনার প্রতিকৃতি দিয়ে সাজানো দৃষ্টি নন্দন মঞ্চে ইত্যাদির ধারণ অনুষ্ঠান চলে বিকাল ৫টা হতে রাত ১১টা পর্যন্ত। এই দীর্ঘ সময় দর্শকরা মন্ত্রমুগ্ধের মতোই ইত্যাদির বিভিন্ন নান্দনিক পর্ব দেখার পাশাপাশি অবাক বিস্ময়ে দেখেছেন একটি ভালো অনুষ্ঠান করতে হলে কতোটা শ্রম দিতে হয়। কিছুক্ষণ পরপরই চলছিলো হাজার হাজার দর্শকের উচ্ছাসপূর্ণ চিৎকার ও করতালির বৃষ্টি।
এবারের অনুষ্ঠানে এই বিষয়ের উপর একটি দ্বৈত সংগীত গেয়েছেন এই সময়ের জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী রবি চৌধুরী এবং শফি মডেল। গানটির কথা লিখেছেন- কবির বকুল, সুর করেছেন- হানিফ সংকেত ও সংগীতায়োজন করেছেন মেহেদি। এতে রয়েছে ঝালকাঠির নদী এবং গৌরবগাঁথা নিয়ে একটি পরিচিতিমূলক গানের সঙ্গে স্থানীয় প্রায় শতাধিক নৃত্যশিল্পীর নাচও। গানটির কথা লিখেছেন- গীতিকবি মনিরুজ্জামান পলাশ, সুর করেছেন- হানিফ সংকেত, সংগীতায়োজন করেছেন- মেহেদি, নৃত্য পরিচালনা করেছেন- দেবাশীষ সেন গুপ্ত।
গণমানুষের প্রিয় অনুষ্ঠান ইত্যাদির এই পর্বটি একযোগে বিটিভি এবং বিটিভি ওয়ার্ল্ডে প্রচারিত হবে আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর শুক্রবার-রাত ৮টার বাংলা সংবাদের পর। প্রতিবারের মতো এবারও ইত্যাদি রচনা, পরিচালনা এবং উপস্থাপনা করেছেন হানিফ সংকেত। নির্মাণ করেছে- ফাগুন অডিও ভিশন। ইত্যাদি স্পন্সর করেছে আগের মতোই যথারীতি কেয়া কসমেটিকস লিমিটেড।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।