দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ পেঁয়াজের নানা গুণের কথা আমরা অনেক শুনেছি। পেঁয়াজের তেল নিয়মিত মাথায় লাগালে চুলপড়ার সমস্যা কমে যায় সেটিও অনেকেই জানেন। আজ সেই তেল বানানোর পদ্ধতি জেনে নিন।
গন্ধটা খুব একটা ভালো না লাগলেও রান্নায়, স্যালাডে পেঁয়াজ খাওয়ার অভ্যাস রয়েছে আমাদের। পেঁয়াজের রস যে নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে- সেটিও আমরা ছোটবেলা থেকে শুনে আসছি। ইদানীং নেটমাধ্যমে ঘোরা ফেরা করার দরুন পেঁয়াজের তেলের কথাও জানা যাচ্ছে। তবে কী আপনি বুঝতে পারছেন না, চুলের জন্য এত রকমের তেল থাকতে হঠাৎ পেঁয়াজের তেল ব্যবহার করবেন কেনো? এই তেল মাখলে পৃথক করে চুলের কী উন্নতি হবে তা আজ জেনে নিন।
চুল পড়া ও যে নতুন চুল গজাতে সাহায্য করা ছাড়াও পেঁয়াজের তেলের গুণে চুলের কী কী উন্নতি হয় সেই বিষয়টি আলোচ্য।
মাথার ত্বকের পিএইচের ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে পেঁয়াজের তেল। পেঁয়াজে থাকা সালফার, চুলের ফলিকলগুলোকে পুনরুজ্জীবিত করে থাকে। তাছাড়াও মাথার ত্বকে রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করে চুলকে মজবুত করে তুলতে সাহায্য করে।
চুলের জেল্লা বৃদ্ধি করে
অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টে ভরপুর এই তেল চুলের জেল্লা বৃদ্ধিতেও সাহায্য করে। তাছাড়া চুল রুক্ষ্ম হতে দেয় না।
খুশকি প্রতিরোধ
পেঁয়াজের অ্যান্টি-ব্যাক্টেরিয়াল ও অ্যান্টি-সেপটিক উপাদান, মাথার ত্বকের সংক্রমণ রুখতেও সাহায্য করে থাকে। যে কারণে খুশকি হওয়ার সম্ভাবনাও কমে যাবে।
চুল নরম এবং মসৃণ করে
নিয়মিত পেঁয়াজের তেল ব্যবহারে মাথার ত্বকে রক্ত সঞ্চালন ভালো হয়, যে কারণে মাথার ত্বকের স্বাস্থ্যও ভালো হয়। রুক্ক্ষ্ম চুল ও মাথার শুষ্ক ত্বকের সমস্যা হতে মুক্তি পাওয়া যায় সহজেই।
চুলে পাক ধরা
পেঁয়াজের মধ্যে থাকা ভিটামিন, খনিজ ও অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট অকালে চুলের পাক ধরা রোধ করে। তবে পেঁয়াজর অস্বস্তিকর গন্ধ অনেকেই মোটেও সহ্য করতে পারেন না। কয়েক ফোঁটা ল্যাভেন্ডার, নেরলী, ল্যাং এসেন্সিয়াল অয়েল এই তেলের সঙ্গে মিশিয়ে মাখলে উপকার পাবেন।
আবার বাজারেও বিভিন্ন সংস্থার পেঁয়াজের তেল পাওয়া যায়। বাড়ির তৈরি তেলে যেহেতু আলাদা কোনও রসায়নিক যোগ করা হয় না, তাই চুলের জন্য এই তেল খুবই নির্ভরযোগ্য। বাড়িতে আপনি কীভাবে তৈরি করবেন এই তেল?
সহজ একটি পদ্ধতি:
# ২/৩টি পেঁয়াজের খোসা ছাড়িয়ে, পরিষ্কার পানিতে ভালো করে ধুয়ে নিন।
# ছোট ছোট টুকরো করে তারপর ব্লেন্ডারে মিহি করে বেটে নিন।
# এখন কড়াইতে নারকেল তেল গরম করে নিন।
# মিহি করে বাটা পেঁয়াজ, ওই তেলের মধ্যেদিয়ে নাড়তে থাকুন। চুলার আঁচ একদম কমিয়ে রাখবেন।
# ফুটতে ফুটতে তেলের রং হালকা বাদামি হয়ে এলেই গ্যাস বন্ধ করে দিন।
# ৮/৯ ঘণ্টা ওই অবস্থায় রেখে দিয়ে তারপর ঠাণ্ডা করে নিন।
# পুরোপুরি ঠাণ্ডা হয়ে গেলে শুকনো, পরিষ্কার ছাঁকনি দিয়ে তেলগুলো ছেঁকে, তারপর বায়ুরোধী পাত্রের ঢেলে রাখুন। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।