দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ গ্রাহকদের সেবার অভিজ্ঞতার মানোন্নয়নে সব সময় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ গ্রামীণফোন। নিজেদের নেটওয়ার্কে সর্বোত্তম সেবার অভিজ্ঞতা নিশ্চিতে প্রতিষ্ঠানটি নিরলস কাজ করে চলেছে এবং এরই ধারাবাহিকতায়, আজ রাত থেকেই গ্রাহকদের প্রথম কলড্রপের বিপরীতে জিপি-জিপি টকটাইম ফেরত দেওয়া শুরু করবে গ্রামীণফোন। জিপি-জিপি কলে ড্রপের কারনে সৃষ্ট অসুবিধার সম্মুখীন হবার কারনে গ্রাহকরা এই টকটাইম পাবেন।
ইতিপূর্বে গ্রামীণফোন তৃতীয় কলড্রপ থেকে গ্রাহকদের টকটাইম দিয়ে আসছিল। গ্রাহকদের কলড্রপ ও টকটাইম প্রদানের বিষয়ে সকল মোবাইল নেটওয়ার্ক অপারেটরের জন্য সম্প্রতি নির্দেশনা প্রদান করে বিটিআরসি। বিটিআরসি’র নির্দেশিকা অনুযায়ী ১ অক্টোবর থেকে টকটাইম ফেরত দেয়ার কথা থাকলেও, সেবার মান বৃদ্ধি এবং নিজেদের দায়বদ্ধতার প্রতিফলন হিসেবে দ্রুততার সাথে কলড্রপের বিপরীতে টকটাইম সুবিধা নিয়ে এসেছে গ্রামীণফোন।
প্রথম এবং দ্বিতীয় কলড্রপের জন্য ৩০ সেকেন্ড এবং তৃতীয় থেকে সাত নম্বর কলড্রপের জন্য ৪০ সেকেন্ড টকটাইম ফেরত দেয়া হবে গ্রাহকদের। এ টকটাইমের মেয়াদ হবে ১৫ দিন এবং জিপি-জিপি নেটওয়ার্কে এ টকটাইম ব্যবহার করা যাবে। প্রত্যেক কলড্রপের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এসএমএসের মাধ্যমে গ্রাহকদের জমা হওয়া টকটাইম সম্পর্কে জানানো হবে।
এই নিয়ে গ্রামীণফোনের সিএমও মোহাম্মদ সাজ্জাদ হাসিব বলেন, “ সেবার মানোন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে গ্রামীণফোন। ফোরজি সেবা শক্তিশালী করতে ২০২১ সালের নিলামে অধিগ্রহণ করা তরঙ্গের ৮৫ শতাংশ ব্যবহার করছে গ্রামীণফোন। একই সাথে সর্বোচ্চ সংখ্যক নেটওয়ার টাওয়ার এর মাধ্যমে দেশব্যাপী ফোরজি সেবা সম্প্রসারন করেছি যা আমাদের গ্রাহকদের অভিজ্ঞতায় প্রতিফলিত হচ্ছে। বিটিআরসি'র তথ্যমতে, নির্ধারতি ২ শতাংশ কলড্রপ বেঞ্চমার্কের বিপরীতে এ বছরে মে মাসে গ্রামীণফোনের কলড্রপ কমে এসেছে ০.৫৫ শতাংশে। এ সংখ্যাকে আরও কমিয়ে আনতে আমরা ধারাবাহিকভাবে কাজ করে যাচ্ছি; পাশাপাশি, আমাদের গ্রাহকদের কলড্রপের জন্য টকটাইম দিচ্ছি; যেনো তারা যে অর্থ ব্যয় করছেন, সে অনুযায়ী সেবা পান।”
কলড্রপের বিপরীতে জমা হওয়া টকটাইম সম্পর্কে জানতে হলে গ্রামীণফোন গ্রাহকদের *121*765# ডায়াল করতে হবে। খবর সংবাদ বিজ্ঞপ্তির।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।