দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আমরা অনেকেই জানিনা যে, কোন চকলেটে কোকোয়ার পরিমাণ বেশি, আবার কোন চকলেটে কম। আজ বিষয়টি জেনে নিতে পারি খুব সহজেই।
মূলত চকলেট কমবেশি সকলেরই প্রিয়। তবে এক এক জন এক এক ধরনের চকলেট খেতে পছন্দ করে থাকেন। কারও পছন্দ মিষ্টি চকলেট, আবার কারও তেতো।
চকলেটের সবচেয়ে জনপ্রিয় ধরনের দুটি হলো ডার্ক এবং মিল্ক চকলেট
কিছু স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে বটে, তবে স্বাস্থ্য সচেতন মানুষদের দুটোই এড়িয়ে যাওয়া উচিত বলে উল্লেখ করেছেন বারডেম জেনারেল হাসপাতালের প্রধান পুষ্টিবিদ শামসুন্নাহার নাহিদ। তিনি বলেছেন, ‘দুই ধরনের চকলেটের সবচেয়ে বড় উপকারিতাই হলো চটজলদি শরীরে শক্তি জোগায়। তবে উপকারের চেয়ে ক্ষতির দিকটাই আসলে বেশি। ডার্ক চকলেটের তুলনায় মিল্ক চকলেট কিছুটা হলেও ভালো, কারণ হলো এতে দুধের পুষ্টিগুণটুকু বেশি থাকে।’
ডার্ক চকলেট উপাদান
এই ধরনের চকলেটের প্রধান উপকরণ কোকো পাউডার। কোকো পাউডার ছোটদের রক্তের কিছু উপাদান বাড়িয়ে দেয়। যারা স্নায়ুর সমস্যায় ভুগছেন বা হাইপার-অ্যাকটিভ শিশুদের ক্ষেত্রে ডার্ক চকলেট না খেতে দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন শামসুন্নাহার নাহিদ।
মিল্ক চকলেট
অপরদিকে মিল্ক চকলেটের মিল্ক পাউডারের জন্য এতে ডার্ক চকলেটের তুলনায় ভিটামিন, ক্যালসিয়াম এবং অন্যান্য কিছু খনিজ উপাদান বেশিই থাকে। তাই তুলনা করতে চাইলে মিল্ক চকলেটকেই এগিয়ে রেখেছেন পুষ্টিবিদ শামসুন্নাহার নাহিদ। তবে দুই ধরনের চকলেটই কিন্তু দাঁতের জন্য ক্ষতিকর।
প্রতি ১০০ গ্রাম ডার্ক ও মিল্ক চকলেটের পুষ্টিগুণ এখানে তুলে ধরা হলো:
খাদ্য উপাদান ডার্ক চকলেট মিল্ক চকলেট
ক্যালরি ৫৯৮ ৫৩৪
মোট চর্বি ৪২.৬ গ্রাম ২৯.৭ গ্রাম
কোলেস্টেরল ৩ মিলিগ্রাম ২৩ মিলিগ্রাম
সোডিয়াম ২০ মিলিগ্রাম ৭৯ মিলিগ্রাম
কার্বোহাইড্রেট ৪৫.৯ গ্রাম ৫৯.৪ গ্রাম
প্রোটিন ৭.৮ গ্রাম ৭.৭ গ্রাম
ক্যালসিয়াম ৭৩ মিলিগ্রাম ১৮৯ মিলিগ্রাম
পটাশিয়াম ৭১৫ মিলিগ্রাম ৩৭২ মিলিগ্রাম
তথ্যসূত্র: ক্যালরি কিং
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।