ত্বকের পরিচর্যা করেও কোনও সুফল পাওয়া যাচ্ছে না! কিন্তু কেনো?

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ত্বকের যত্ন নিয়ে সুফল না পাওয়ার কারণ লুকিয়ে থাকতে পারে পরিচর্যার কৌশলেই। পদ্ধতিগত ভুলেই হয়তো ত্বকের জেল্লা হারাচ্ছেন। তাহলে এখন আপনাকে কী করতে হবে?

ত্বকের যত্ন নেওয়া খুব সহজ নয়। প্রতিটি ধাপই নিখুঁত হওয়া চাই। নয়তো ভিতর থেকে ত্বকের বারোটা বাজতে থাকবে। শরীরের যত্ন যতোটা মনোযোগ দিয়ে নেওয়াটা জরুরি, ত্বকের ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য হবে। যত্ন যেমন নিতে হবে, ঠিক তেমনি আবার ত্বকের যত্নের সঠিক কৌশলের অভাবেও নানা রকম সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই ত্বক ভালো রাখতে যে কৌশলগুলো নিচ্ছেন, খেয়াল রাখা জরুরি সেগুলো ত্বকের জন্যে আদৌতে ফলদায়ক হচ্ছে কি না। ত্বকের ভালো হবে ভেবে অনেকেই হয়তো অনেক নিয়ম মেনে চলেন। তবে অনেকেই হয়তো জানেনও না, সর্ষের মধ্যেই হয়তো লুকিয়ে থাকতে পারে ভূত। ত্বকের শত খেয়াল রেখেও উপকার না পাওয়ার কারণ লুকিয়ে থাকতে পারে পরিচর্যার মধ্যেই।

# বার বার মুখ ধোয়ার অভ্যাস ত্বক তৈলাক্ত করে তুলতে পারে। তাই দিনে ২-৩ বারের বেশি মুখ না ধোয়াই ভালো। এর বদলে ব্যবহার করতে পারেন ব্লটিং টিস্যু।

# ত্বকের ক্ষেত্রে অনেকেই ভারি ক্লিনজার ব্যবহার করেন। উল্টো এতে ত্বক ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়তে পারে। তাই তৈলাক্ত ত্বকের জন্য সব সময়ই হালকা জেল ক্লিনজার ব্যবহার করা দরকার। স্যালিসাইলিক অ্যাসি়ড যুক্ত এবং সালফেট মুক্ত ক্লিনজার ব্যবহার করতে পারেন।

# সাধারণত ত্বকের পরিচর্যায় এসেনশিয়াল অয়েল ব্যবহার না করার প্রবণতা বেশি লক্ষ করা যায়। ত্বকের পিএইচ ভারসাম্য ঠিক রাখতে ল্যাভেন্ডার অয়েল, জোজোবা অয়েল, রোজমেরি অয়েলের মতো ত্বক বান্ধব উপাদানগুলো ব্যবহার করা প্রয়োজন।

# ত্বকের জন্য টোনার ব্যবহার করা খুবই জরুরি একটি বিষয়। ভালো মানের টোনার ত্বকের পিএইচ ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। তবে অ্যালকোহল মুক্ত টোনার ব্যবহার করায় ভালো। তা না হলে ত্বক বেশি শুষ্কও হয়ে পড়তে পারে।

# ত্বকের ক্ষেত্রে গরম পানি দিয়ে মুখ ধোয়ার অভ্যাস মোটেও ঠিক নয়। এতে ত্বক আরও বেশি রুক্ষ্ম হয়ে যেতে পারে। তাই মুখ ধুতে ঈষদুষ্ণ পানি ব্যবহার করাই উত্তম। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।

করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়

# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।