দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আমরা অনেক সময় মাথা ঘোরার বিষয়টিকে স্বাভাবিকভাবে নিয়ে থাকি। মাথা ঘোরার সমস্যায় মোটেও অবহেলা করা চলবে না। কারণ এতে ঘটে যেতে পারে বড় বিপদ!
সাধারণভাবে মাথা ঘোরার পিছনে লুকিয়ে থাকতে পারে গুরুতর কোনও সমস্যাও। তাই সময় থাকতেই সতর্ক হওয়া প্রয়োজন। সেই সঙ্গে দরকার চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া। অথচ অনেকেই অবহেলা করেন এই সমস্যায়।
বহু রোগ আগাম সঙ্কেত দিয়ে থাকে। তবে সচেতনতার অভাবে আমরা বুঝতে পারি না সেই সব উপসর্গ। মাথা ঘোরানো তেমনই একটি উপসর্গও হতে পারে। যতোক্ষণ না গুরুতর কোনও সমস্যা দেখা দিচ্ছে, ততোক্ষণ মাথা ঘুরলেও তাকে গুরুত্ব না দেওয়াই দস্তুর। এই বিষয়ে বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, সাধারণ মাথা ঘোরানোর পিছনে লুকিয়ে থাকতে পারে গুরুতর কোনো সমস্যা। তাই সময় থাকতে সতর্ক হওয়া প্রয়োজন। সেই সঙ্গে দরকার চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া।
রক্তচাপের সমস্যা হতে পারে
রক্তচাপের সমস্যার অন্যতম প্রধান উপসর্গই হলো মাথা ঘোরানো। উচ্চ রক্তচাপ এবং স্বাভাবিকের থেকে কম রক্তচাপ, দুই কারণেই মাথা ঘুরতে পারে। এই অবস্থায় পড়ে গেলে চোট-আঘাত লাগার আশঙ্কাও বেড়ে যায়। বিশেষ করে যারা নিয়মিত রক্তচাপের ওষুধ খেয়ে থাকেন, তারা যদি কখনও ওষুধ খেতে ভুলে যান, তবে এই সমস্যা দেখা দেওয়ার আশঙ্কা তখন বেড়ে যায়।
হার্টের সমস্যা দেখা দিতে পারে
মস্তিষ্কে কম অক্সিজেন পৌঁছালেও মাথা ঘুরতে পারে। অনেক সময় হৃদযন্ত্রের সমস্যা থাকলেও রক্ত সঞ্চালন ঠিক মতো হয় না। যে কারণে এই সমস্যা দেখা দেয়। তাই মাথা ঘোরানোর সমস্যা হৃদরোগের পূর্বাভাসও হতে পারে।
স্ট্রোক হতে পারে
মস্তিষ্কে যে কোনও সমস্যা হলে তার প্রভাব পড়তে পারে দেহে। স্ট্রোকও তার ব্যতিক্রম কিছু নয়। স্ট্রোক হলে প্রাণ নিয়ে টানাটানি ঘটতে পারে। তবে অনেক সময় শুরুতে তা খুব একটা বোঝা যায় না। হঠাৎ দেহ টলে ওঠা, মাথা ঝিমঝিম করার মতো সমস্যা হওয়া, ভারসাম্য বিগড়ে যাওয়া এই রোগের প্রধান লক্ষণ। অনেক সময় মাথা ঘোরার সঙ্গে সঙ্গে দেহের এক দিক অবশ হয়েও আসতে পারে।
কানের সমস্যা দেখা দেওয়া
অনেক সময় কানের সমস্যা থেকেও মাথা ঘুরতে পারে। বিশেষ করে যদি শুয়ে থাকা অবস্থাতেই মাথা ঘোরে, তবে তার পিছনে থাকতে পারে কানের সমস্যাও। চিকিৎসা ভাষায় এর নাম ‘বিনাইন প্যারক্সিমাল পজিশনাল ভার্টিগো।’ অন্ত:কর্ণে কিছু ছোট ছোট যন্ত্র স্থানচ্যুত হলে এমন সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে। কানে জীবাণুর সংক্রমণ হলে আরও বেড়ে যায় এই সমস্যা। এমনকি মস্তিষ্কে মেনিনজাইটিসের সমস্যা থাকলেও অনেক সময় মাথা ঘুরতে পারে। তাই এমন ধরনের সমস্যা হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।