ফেনীর ঐতিহাসিক শর্শদি শাহী মসজিদ

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শুভ সকাল। শুক্রবার, ১৪ অক্টোবর ২০২২ খৃস্টাব্দ, ২৯ আশ্বিন ১৪২৯ বঙ্গাব্দ, ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৪ হিজরি। দি ঢাকা টাইমস্ -এর পক্ষ থেকে সকলকে শুভ সকাল। আজ যাদের জন্মদিন তাদের সকলকে জানাই জন্মদিনের শুভেচ্ছা- শুভ জন্মদিন।

যে ঐতিহাসিক মসজিদটি আপনারা দেখতে পাচ্ছেন সেটি ফেনীর ঐতিহাসিক শর্শদি শাহী মসজিদ। এই মসজিদটি ঢাকা-চট্রগ্রাম জাতীয় মহাসড়কের পার্শ্বে ফেনী সদর উপজেলার শর্শদি ইউনিয়নে অবস্থিত।

বাংলায় প্রথম স্বাধীন মুসলিম সালতানাতের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন ফখরুদ্দীন মুবারক শাহ। তিনি ১৩৩৮ হতে ১৩৪৯ সাল বাংলার সুলতান ছিলেন। তার প্রথম রাজধানীই ছিলো সোনারগাঁও। অপরদিকে ফেনীর শর্শদি ছিলো দ্বিতীয় রাজধানী। মূলত, ত্রিপুরা এবং আরাকান রাজ্য জয়ের পর ফেনী জেলার শর্শদিকে রাজ্যের দ্বিতীয় রাজধানীর মর্যাদা দিয়েছিলেন।

কাল পরিক্রমায় আজ শর্শদি ইউনিয়ন শিক্ষা সংষ্কৃতি ধর্মীয় অনুষ্ঠান খেলাধুলাসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে তার নিজস্ব স্বকীয়তায় সমুজ্জ্বল। তবে কালের বিবর্তনে হারিয়ে গেছে অনেক ঐতিহাসিক স্থাপনা। ইতিহাসের সাক্ষী হিসেবে টিকে রয়েছে এই মসজিদটি। মোঘল স্থাপত্যের নিদর্শন এই মসজিদে ফুটে উঠেছে উপমহাদেশের ইসলামিক স্থাপত্যের নিদর্শন!

প্রায় ৪৫০ বছর পূর্বের এই মসজিদটির গায়ে ইটের উপর খাঁজ কেটে তৈরি করা হয় সুনিপুন নকশা। লতা পাতা অঙ্কন করা হয় সুনিপুন হাতে। এর গম্বুজের নিচে রয়েছে শৈল্পিক আবহ। দারুন কারুকার্যময় এই মসজিদের উপর ৩টি গম্বুজ বেষ্টিত, মসজিদের ঢোকার সম্মুখে দেওয়াল এবং চুন সুরকির শৈল্পিক আবহে নির্মিত হয়েছে। পুরো মসজিদটি চুন, সুরকি ও ইট দ্বারা নির্মিত।

বর্তমান স্থাপনাগুলোয় সাধারণত ৬ ইঞ্চি পুরু ওয়াল দেওয়া হয়। দুর্গের আদলে নির্মিত এই মসজিদের ওয়াল প্রায় ৫ ফুট পুরু! মসজিদটিতে বর্তমানে বাংলাদেশ প্রত্নতত্ন অধিদপ্তর ও জাদুঘরের অধিনে ন্যাস্ত একটি পুরাকির্তি সংরক্ষিত এলাকা। বাংলাদেশে ৪৭টি প্রাচীন মসজিদকে প্রত্নতত্ন অধিদপ্তরের অধিনে নেওয়া হয়েছে যারমধ্যে একটি হলো এই মসজিদ। তথ্যসূত্র: www.jaijaidinbd.com

করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়

# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।