দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ কিশোরী বয়সে চুল থাকবে সিল্কি-ভারী। একটু বাতাসেই চুলগুলো ঢেউ তুলবে। কিন্তু বর্তমানে ঘটছে তার উল্টো। কিশোরী বয়সে চুল পড়া একটা সাধারণ সমস্যা। আর সেই সমস্যা থেকে প্রতিকার পেতেই অতি প্রয়োজনীয় এবং গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি টিপস সহ আমাদের আজকের প্রতিবেদন।
অনেক সময় মেয়েদের ক্ষেত্রে দেখা যায় মাত্র ১৩-১৪ বছর বয়স থেকেই তাদের চুল পড়তে থাকে। অনেকেরই তখন মনে প্রশ্ন জাগে এই বয়সে এত চুল কেন পড়ছে? কিশোরী বয়সে চুল পড়ার জন্য বিভিন্ন কারণই দায়ী। এ সময় শরীরের হঠাৎ বৃদ্ধির সাথে সাথে প্রয়োজন পড়ে বাড়তি পুষ্টির। তবে বেশীরভাগ পরিবারে পুষ্টিকর খাদ্য শুধু মাংসের মধ্যেই সীমাবদ্ধ। যে কারণে সুষম খাদ্যের অভাবে চুল পড়তে পারে। এছাড়াও হরমোনের পরিবর্তনও চুল পড়ার জন্য দায়ী।
যাই হোক, চুল পড়ার কারণ অনুসন্ধান করতে গিয়ে দেখা গেছে, বর্তমানে প্রতিযোগিতাপূর্ণ যুগে কিশোরীরা অতিরিক্ত চাপের মধ্যে থাকে। এবং তাদের মধ্যে অনিয়মটা খুবই বেশী দেখা যায়। এটিও চুল পড়ার অন্যতম কারণ। তাছাড়া এই বয়সে নিজেকে সুন্দর দেখানোর প্রবণতাও বাড়ে। অনেকেই চুল সুন্দর রাখতে হেয়ার আয়রণ মেশিন বা Hair Dryer অতিরিক্ত ব্যবহার করে থাকে। এটিও চুলের স্বাস্থ্য নষ্ট করে।
চুল পড়া রোধের জন্য অতি প্রয়োজনীয় এবং গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি টিপস:
# শ্যাম্পু করার কমপক্ষে ৬ ঘন্টা আগে হালকা গরম তেল চুলের গোড়ায় ম্যাসেজ করতে হবে।
# তেল দেওয়ার সাথে সাথে শ্যাম্পু করা উচিৎ নয়, এতে চুলের ক্ষতি হয়।
# সবসময় খেয়াল রাখতে হবে কোন অবস্থাতেই যেন চুলের গোড়ায় খুশকি না জমে। হালকা গরম নারিকেল তেলের সাথে লেবুর রস মিশিয়ে ভাল করে ম্যাসেজ করে খুশকির উপদ্রব কমানো সম্ভব।
# প্রাকৃতিক উপায়ে চুলকে স্বাস্থ্যবান, সিল্কি ও চুল পড়া রুখতে ১৫ দিন পর পর একটা পেস্ট লাগানো যেতে পারে। পেস্টটি তৈরি করতে হবে বাটা মেথি, আমলকি, মসুরের ডাল ও ডিমের সাদা অংশ দিয়ে। পেস্টটি ভালোভাবে ফেটে চুলের গোড়া থেকে আগা পর্যন্ত ভালোভাবে লাগিয়ে নিতে হবে। কমপক্ষে ২০ মিনিট রাখার পর শ্যাম্পু করে ফেলতে হবে। তবে সতর্ক থাকতে হবে যেদিন পেস্ট লাগাবেন, সেদিন ভুলেও হেয়ার আয়রণ মেশিন বা Hair Dryer ব্যবহার করা যাবে না।
উপরোক্ত নিয়মগুলো ফলো করলে চুল পড়া সমস্যা অনেকাংশে কমে যাবে। এরপরও যদি সমাধান না হয় তাহলে হেয়ার এক্সপার্টের পরামর্শ নেওয়া উচিত।