বৃষ্টিতেও স্মার্টফোন সুরক্ষিত থাকতে পারে! তাহলে কীভাবে?

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ অন্য সময় যেমন তেমন বর্ষাকালে ফোন নিয়ে বের হতে গেলেই আতঙ্কিত হতে হয়। কারণ বৃষ্টিতে ভিজলেই ফোনের দফা-রফা। তবে বৃষ্টিতেও স্মার্টফোন সুরক্ষিত থাকতে পারে! তাহলে কীভাবে? আজ জেনে নিন।

কোনো সময় বৃষ্টির পানি ফোনের ভেতরে ঢুকে ফোন নষ্ট করে দিতে পারে, তা বলা সত্যিই মুশকিল। তবে এখন থেকে তা নিয়ে কোনো চিন্তা করার প্রয়োজন নেই। জেনে নিন ফোন ভিজে গেলে কীভাবে সুরক্ষিত রাখবেন।

ওয়াটারপ্রুফ পাউচ

বর্তমানে বাজারে ও বিভিন্ন অনলাইন স্টোরে ফোনের জন্য ওয়াটারপ্রুফ পাউচ কিনতে পাওয়া যায়। মাত্র ৯৯ টাকা থেকে শুরু হয়েছে এই পাউচের দাম। জেনেরিকের ওয়াটারপ্রুফ পাউচগুলোয় সাধারণভাবে আইপিএক্স-৮ রয়েছে, যা আপনার স্মার্টফোনকে অনেক বেশি সুরক্ষিত করে পানি থেকে। এই পাউচ থাকলেও আপনার ফোন খুব সহজেই ব্যবহার করা যাবে। অর্থাৎ পাউচ রয়েছে বলে যে আপনাকে বারবার ফোনটিকে পাউচের থেকে বের করেই ব্যবহার করতে হবে, তা নয়।

সিলিকা জেল ব্যবহৃত জিপলক পাউচ

এগুলো সাধারণতভাবে সিলিকা জেল ব্যবহৃত হয়। যা পানির আর্দ্রতা থেকে ফোনকে আরও বেশি সুরক্ষিত করে থাকে। অনলাইনে ও বাজারে খুব সহজেই পাওয়া যায় এই পাউচ। দামও সাধ্যের মধ্যে থাকে। তবে এতোকিছু করা পরও যদি কখনও ফোন পানিতে পড়ে যায় বা ভিজে যায় তাহলে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। এর সমাধানও রয়েছে। এই রকম সমস্যায় পড়লে সঙ্গে সঙ্গে ফোনের ব্যাটারি খুলে ফেলা দরকার। অবশ্য এখন বেশির ভাগ ফোনে ব্যাটারি খোলার অপশনই থাকে না। সেক্ষেত্রেও ভয় পাওয়ার কিছু নেই। যেমন- পানিতে ফোন ভিজে গেলে তা কখনই সঙ্গে সঙ্গে চার্জে বসানো যাবে না। ভুল করেও ফোন থেকে পানি ঝরানোর জন্য হেয়ার ড্রাইয়ার কখনও ব্যবহার করবেন না। বরং সেই সময় এক গামলার মধ্যে শুকনো চালের মধ্যে ফোনটি রেখে দিন। সারারাত ওভাবেই ফোনটিকে থাকতে দিন। কিংবা সিলিকা জেল জিপলক পাউচের মধ্যে ফোনটি রেখে দিন যতোক্ষণ পর্যন্ত না পানি শুকিয়ে যায়। তবে বেশি পানি ঢুকে গেলে অবশ্যই তা সঙ্গে সঙ্গেই কোনো ফোনের সার্ভিস সেন্টারে নিয়ে গিয়ে দেখানো দরকার।

করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়

# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।