দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ সৌদি আরবের বিপক্ষে আজ (মঙ্গলবার) কাতার বিশ্বকাপ মিশন শুরু করতে যাচ্ছে লিওনেল মেসির নেতৃত্বাধীন আর্জেন্টিনা। যে কারণে আর্জেন্টিনার সমর্থকদের উচ্ছ্বাসের শেষ নেই।
বিশ্বকাপে খেলতে নামার পূর্বে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ রেকর্ডের সামনে দাঁড়িয়ে রয়েছে আর্জেন্টিনার অধিনায়ক এবং ক্ষুদে ফুটবল জাদুকর লিওনেল মেসি। আজ (মঙ্গলবার) খেলতে নামলেই সর্বোচ্চ ৫টি বিশ্বকাপ খেলা ক্লাবের সদস্য হতে পারবেন মেসি।
সর্বোচ্চ ম্যাচ খেলার তালিকায় পূর্বেই নাম লিখিয়েছেন মেক্সিকোর কিংবদন্তি গোলরক্ষক আন্তোনিও কারবাহাল, ডিফেন্ডার রাফায়েল মার্কেজ ও জার্মানির মিডফিল্ডার লোথার ম্যাথিউস। এবার সর্বোচ্চ ৫টি বিশ্বকাপ খেলার তালিকায় নাম উঠবে লিওনেল মেসির। সুযোগ থাকছে পর্তুগালের ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর।
২০০৬, ২০১০, ২০১৪ এবং ২০১৮ সর্বশেষ চার বিশ্বকাপে খেলেছেন মেসি এবং রোনালদো। এবারের বিশ্বকাপ হবে মেসি এবং রোনালদোর পঞ্চম বিশ্বকাপ।
অপরদিকে ফুটবল বিশ্বকাপের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি ২৫টি ম্যাচ খেলেছেন জার্মানির ম্যাথিউস। আর এখন পর্যন্ত মেসি খেলেছেন ১৯টি ম্যাচ। আর ৭টি ম্যাচ খেললেই ম্যাথাউসকে টপকে গিয়ে বিশ্ব রেকর্ড গড়বেন মেসি। সে জন্য সেমিফাইনালে উঠতে হবে মেসির দল আর্জেন্টিনাকে। গ্রুপ পর্বে ৩টি, শেষ ষোলো, কোয়ার্টার ফাইনাল এবং সেমি মিলিয়ে মোট ৬টি খেলতে পারবেন মেসি।
সেমিতে হেরে গেলে তৃতীয়স্থান নির্ধারণীসহ ৭টি ম্যাচ খেলা হয়ে যাবে মেসির। অথবা ফাইনালে উঠলেও এই আসরে ৭টি ম্যাচ হয়ে যাবে লিওনেল মেসির। এতেই বিশ্ব রেকর্ডের মালিক হবেন লিওনেল মেসি।
বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনার হয়ে সবচেয়ে বেশি মোট ২১টি ম্যাচ খেলেছেন বিশ্বের কিংবদন্তি ফুটবলার ডিয়াগো ম্যারাডোনা। এ পর্যন্ত ১৯টি ম্যাচ রয়েছে মেসির। এবারের আসরের গ্রুপ পর্বে ৩টি ম্যাচ খেললে মেসির ম্যাচ সংখ্যা দাঁড়াবে ২২টি। তাতেই ম্যারাডোনাকেও পেছনে ফেলবেন মেসি।
অপরদিকে বিশ্বকাপের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি জয়ের স্বাদ পেয়েছেন জার্মানির সাবেক স্ট্রাইকার মিরোস্লাভ ক্লোসা। ৪টি বিশ্বকাপে ১৭টি জয় রয়েছে তার। আর বিশ্বকাপে মেসির জয় ১২টি। এবারের আসরে গ্রুপ পর্ব থেকে সেমিফাইনাল পর্যন্ত সব ম্যাচ জিতলেই ক্লোসাকেও পেছনে ফেলতে পারবেন মেসি। তবে সেমিতে হারালেও সমস্যা নেই। তৃতীয়স্থান নির্ধারণী ম্যাচে জয় পেলেই চলবে মেসির।
অপরদিকে অধিনায়ক হিসেবে বিশ্বকাপের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি অর্থাৎ ১৭ ম্যাচে নেতৃত্ব দেন মেক্সিকোর সাবেক ডিফেন্ডার রাফায়েল মার্কেজ। এই তালিকার দ্বিতীয়স্থানে রয়েছেন আর্জেন্টিনার কিংবদন্তি ফুটবলার দিয়াগো ম্যারাডোনা। তিনি ১৬ ম্যাচে নেতৃত্ব দিয়েছেন। বিশ্বকাপ মঞ্চে এই পর্যন্ত ১২ ম্যাচে আর্জেন্টিনাকে নেতৃত্ব দিয়েছেন মেসি। এইবারের বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনা সেমিফাইনালে উঠলেই মার্কেজকে ছাড়িয়ে যাবেন লিওনেল মেসি।
এই পর্যন্ত ৪টি বিশ্বকাপের ২০০৬, ২০১৪ এবং ২০১৮ আসরে গোল করেছেন মেসি। তবে ২০১০ সালে গোল করতে পারেননি তিনি। এবার কাতার বিশ্বকাপে গোল করলে প্রথম আর্জেন্টাইন হিসেবে চার বিশ্বকাপে গোল করার রেকর্ডও গড়বেন লিওনেল মেসি।
দিয়াগো ম্যারাডোনা এবং গাব্রিয়েল বাতিস্তুতার সমান বিশ্বকাপে ৩টি করে গোল করেছেন লিওনেল মেসি। ম্যারাডোনা ১৯৮২, ১৯৮৬, ১৯৯৪ সালের বিশ্বকাপে ও বাতিস্তুতা ১৯৯৪, ১৯৯৮, ২০০২ সালে বিশ্বকাপে গোল করেছিলেন।
আর বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনার হয়ে সর্বোচ্চ ১০ গোল করেছেন বাতিস্তুতা। বাতিস্তুতাকে টপকাতে ৫ গোল প্রয়োজন হবে মেসির। বিশ্বকাপে মেসির মোট গোল হলো ৬টি। ২০০৬ এ ১টি, ২০১৪ সালে ৪টি ও ২০১৮ সালে ১টি গোল করেন লিওনেল মেসি। এই আসরে বাতিস্তুতাকে টপকে যাওয়ার সুযোগ রয়েছে আর্জেন্টিনার এই অধিনায়ক লিওনেল মেসির।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।