দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ অন্য সময়ের থেকে শীতের মৌসুমে বাড়ে টনসিলের ব্যথা। টনসিলের ব্যথা কমাতে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়াটা জরুরি। তবে ঘরোয়া উপায়ে সুস্থ হতে হলে কয়েকটি চেনা উপকরণ নিয়ে দেখতে পারেন।
অনেকেই শীতে টনসিলের সমস্যায় ভোগেন। আইসক্রিম, ঠাণ্ডা পানীয় খেলেই এই সমস্যা আরও বাড়তে থাকে। ঢোঁক গিলতে ব্যথা, কথা বলতে গেলেও গলায় কষ্ট পেতে হয়। এগুলো টনসিলের ব্যথার খুব সাধারণ লক্ষণ। টনসিলের ব্যথা কমাতে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়াটা জরুরি। তবে হাতের কাছে সব সময় চিকিৎসক পাওয়া যায় না। সব সময় চিকিৎসকের কাছে যাওয়ার মতো সময়ও অনেক সময় থাকে না। তাই ঘরোয়া উপায়েও অনেক সময় আস্থা রাখতে পারেন।
নুন পানি
উষ্ণ পানিতে লবণ মিশিয়ে গার্গেল করলে এই সমস্যা অনেকটা দূর হয়। লবণ মেশানো গরম পানি দিয়ে গার্গেল করলে জীবাণু দূর হবে। যে কারণে গলাব্যথাও অনেকটাই কমবে।
খেতে পারেন হলুদ মেশানো দুধ
টনসিলের ব্যথা কমাতে বেশ কার্যকরী একটি পানীয় হলো এই হলুদ মিশ্রিত দুধ। গলাব্যথা হলে শক্ত কোনও খাবার খাওয়া বেশ সমস্যা হয়। এই সময় গরম দুধ খেলে গলায় আরামও পাওয়া যাবে। তবে শুধু দুধ না খেয়ে তাতে মিশিয়ে নিতে পারেন একটু হলুদ। এর অ্যান্টিইনফ্ল্যামেটরি উপাদান যে কোনও জীবাণুর সঙ্গে লড়তে সাহায্য করবে।
মধু ও লেবু
সাধারণত ওজন কমাতে এই দুটি উপকরণের জুড়ি নেই। তবে মেদ ঝরানো ছাড়াও লেবু ও মধু টনসিলের ব্যথা কমাতেও সমানভাবে উপকারী। এক গ্লাস উষ্ণ পানিতে গোটা একটি পাতিলেবুর রস, এক চা চামচ মধু এবং অল্প পরিমাণ লবণ মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণ দিনে ৩-৪ বার খেতে থাকুন। গলাব্যথা কিংবা টনসিলের কষ্ট কমে আসবে।
মধু এবং গ্রিন টি
এক কাপ পানিতে আধা চা-চামচ গ্রিন টি এবং সেই সঙ্গে এক চা-চামচ মধু মিশিয়ে মিনিট দশেক ফুটিয়ে নিন। দিনে ৩-৪ বার এই চা খান। গ্রিন টি’র অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করবে। জীবাণুর সঙ্গেও লড়বে সমান তালে। মধুর অ্যান্টিব্যাক্টেরিয়াল উপাদান যে কোনও প্রদাহ এবং সংক্রমণে আরাম দিতে পারে। তাই এটি খেতে পারেন। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।
This post was last modified on নভেম্বর ২৪, ২০২২ 4:21 অপরাহ্ন
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ হাঁটা কিংবা দৌড়ানোর জুতো কেমন হওয়া উচিত? সেটি হয়তো অনেকের…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বর্তমান সময়ে বেশ জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ইনস্টাগ্রাম। ফটো ও…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আমেরিকান পপশিল্পী গায়িকা টেইলর সুইফটের খ্যাতি রয়েছে সর্বত্র। বহু আগে…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ২০২৫ সালের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা হবে এপ্রিল মাসের মাঝামাঝি…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বাসের ভিতর থাকা মহিলা কন্ডাক্টরের সঙ্গে কথা বলছেন ঝুলে থাকা…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শুভ সকাল। শনিবার, ২ নভেম্বর ২০২৪ খৃস্টাব্দ, ১৭ কার্তিক ১৪৩১…