দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ অতিরিক্ত চিনি ডায়াবেটিসের আশঙ্কা আরও বাড়িয়ে দেয়। তবে কেবলমাত্র চিনি খাওয়া থামলেই যে এই রোগের আশঙ্কা দূর হয়ে যায়, এমনও কিন্তু নয়।
বর্তমান সময়ে ডায়াবেটিসের সমস্যা ঘরে ঘরে। জীবনযাত্রার অনিয়ম এবং অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস অনেকটাই বাড়িয়ে দেয় এই রোগটির আশঙ্কা। অনেকেই ভাবেন যে, কেবল চিনি খেলেই বুঝি ডায়াবেটিস হয়। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা বলছেন ভিন্ন কথা। তারা বলেছেন, অতিরিক্ত চিনি এই রোগের আশঙ্কা বাড়িয়ে দেয় সেটি ঠিক, তবে কেবলমাত্র চিনি খাওয়া থামলেই যে ডায়াবেটিসের আশঙ্কা দূর হয়ে যায়, এমনও কিন্তু নয়।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু) বলছে যে, আমাদের সাধারণত দু’ধরনের ডায়াবেটিস হয়। টাইপ-১ ও টাইপ-২। যারমধ্যে টাইপ-১ ডায়াবেটিস রোগে অগ্ন্যাশয়ে অবস্থিত ইনসুলিন উৎপাদনকারী কোষগুলো ক্ষতিগ্রস্থ হয়। যে কারণে ডায়াবেটিস আক্রান্তের শরীরে ইনসুলিন উৎপাদন একেবারেই বন্ধ হয়ে যায়। ইনসুলিন না তৈরি হলে শর্করার মাত্রা তখন নিয়ন্ত্রণে থাকে না। টাইপ ১ ডায়াবেটিসকে অটোইমিউন রোগও বলা হয়ে থাকে। কারণ হলো, এই রোগ নিজে থেকেই হয়। কাজেই কেবলমাত্র চিনি কম খেয়ে এই ধরনের ডায়াবেটিস প্রতিরোধ করা মোটেও সম্ভব নয়।
টাইপ ২ ডায়াবেটিসের ক্ষেত্রে অগ্ন্যাশয়ের কোষগুলো ক্ষতিগ্রস্থ হয় না। তবে মানুষের শরীর সঠিকভাবে ইনসুলিন ব্যবহার করতে পারে না। যে কারণে রক্তে শর্করার মাত্রা অত্যধিক হারে বেড়ে যেতে পারে। এই ধরনের ডায়াবেটিসের ক্ষেত্রে খাওয়া-দাওয়াতে লাগাম টানলে অনেকটাই দূরে থাকে এই রোগটি।
সাধারণ মানুষের পক্ষে পৃথকভাবে রোগ চেনা সম্ভব নয়। তবে ৯০ শতাংশ ক্ষেত্রেই যে ডায়াবেটিস হয়, সেটি টাইপ-টু। যা হয় মূলত আমাদের খাদ্যাভ্যাসের কারণেই। বংশগতভাবেও ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যায় না। তাই ৪০ বছরের উপরের মানুষের ক্ষেত্রে উপসর্গ না থাকলেও প্রতি বছরই ডায়াবেটিস পরীক্ষা করা প্রয়োজন। আমেরিকান ডায়াবেটিস অ্যাসোসিয়েশন বলছে যে, তিন দশক আগেও শিশু এবং তরুণ-তরুণীদের মধ্যে এই রোগ ছিল অত্যন্ত বিরল। তবে এই তিন দশকে ছবিটি আশঙ্কাজনক ভাবে বদলে গেছে। তাই অল্প বয়সিদের ক্ষেত্রেও সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।
This post was last modified on নভেম্বর ২৮, ২০২২ 11:11 পূর্বাহ্ন
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ স্বপ্ন দেখে তা মনে রাখা সত্যিই দুষ্কর। আর তাই রাতের…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শুভ সকাল। শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪ খৃস্টাব্দ, ৩০ কার্তিক ১৪৩১…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ অনেকই সুজি খেতে খুবই ভালোবাসেন। তাই তারা প্রতিদিন সুজির পায়েস,…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ প্রথমবারের মতো প্যান ইন্ডিয়ান চলচ্চিত্র বানিয়েছেন নির্মাতা অনন্য মামুন। ঢালিউড…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আপনার যদি প্রতিদিন চিকেন খাওয়ার অভ্যাস থাকে, তাহলে জেনে রাখুন,…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ কোটা সংস্কার আন্দোলনের সংগঠন ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’- এর অন্যতম সমন্বয়ক…