দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ নতুন এক ইতিহাস গড়ে নকআউটে চলে গেলো ব্রাজিল। জি গ্রুপে সর্বোচ্চ ৬ পয়েন্ট পেয়ে নকআউটপর্বে চলে গেলো ব্রাজিল।
সুইজারল্যান্ডের বিপক্ষে বিশ্বকাপ মঞ্চে আগের দুই বারের দেখায় কোনো জয়ের দেখা পায়নি ব্রাজিল। যে কারণে কাতার বিশ্বকাপে সুইসদের বিপক্ষে অধরা জয়ের সুবর্ণ সুযোগ আসে তাদের সামনে। এমন সমীকরণের ম্যাচে প্রথমার্ধে গোলশূন্য ড্র থাকে, প্রথমার্ধে তেমন একটা প্রভাব বিস্তার করতে পারেনি ব্রাজিল। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে ঠিকই জালের দেখা পেয়েছে ব্রাজিল। মিডফিল্ডার ক্যাসেমিরোর দুর্দান্ত এক গোলের সুবাদে জয়ের সঙ্গে সুইজারল্যান্ডের বিপক্ষে নতুন ইতিহাস গড়ে ফেললো হলুদ শিবির।
বিশ্বকাপের মঞ্চে ১৯৫০ সালে প্রথম মুখোমুখি হয় এই দুই দল দুটি। সেবার সুইজারল্যান্ডের বিপক্ষে ২-২ গোল ব্যবধানে ড্র করে ব্রাজিল। সর্বশেষ ২০১৮ রাশিয়া বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্বের ম্যাচটি ১-১ গোল সমতায় সন্তুষ্ট থাকতে হয় দুই দলকে। তবে এবার মরুর বুকের বিশ্বকাপে সুইসদের বিপক্ষে ১-০ গোলে জয় তুলে নিলো কোচ তিতের দল ব্রাজিল। যে কারণে ফিফা বিশ্বকাপের ২২তম আসরে ৬ পয়েন্ট সংগ্রহ করে নকআউট পর্বে উঠে গেলো ব্রাজিল।
গতকাল সোমবার (২৮ নভেম্বর) দোহার স্টেডিয়াম মাঠে নেমে শুরুতে কিছুটা অস্বস্তিতেই ছিল ব্রাজিল শিবির। আগের ম্যাচের শৈল্পিক ফুটবল উপহার দেওয়া তিতের শিষ্যরা প্রথমে অনেকটা দেখেশুনে আক্রমণের পথ বেছে নিতে থাকে। যে কারণে ম্যাচের প্রথম দিকে তেমন কোনো সুযোগই তৈরি করতে পারেনি ব্রাজিল। তবে খেলার শেষের দিকে গিয়ে পর পর দুটি গোল করে। কিন্তু প্রথম গোলটি অফসাইটে পড়ে বাতিল হলেও দ্বিতীয় গোলটি করে ১-০ গোলে এগিয়ে যায়। পরে আরও ৭ মিনিট খেলা এবং অতিরিক্ত ৬ মিনিট খেলেও গোল শোধ করতে পারেনি সুইজারল্যাণ্ড। যে কারণে জি গ্রুপে ৬পয়েন্ট নিয়ে নকআউটপর্বে চলে গেলো।
বাংলাদেশে আর্জেন্টিনা ও ব্রাজিলের সমর্থকই বেশি যে কারণে গতকালও খেলার সময় ব্যাপক উৎসাহ দেখা যায় ব্রাজিল সমর্থকদের মধ্যে। বিভিন্ন স্থানে প্রজেক্টরের মাধ্যমে খেলা দেখা হয়।
অপরদিকে ডি গ্রুপের আর্জেন্টিনা দুটি ম্যাচের মধ্যে মাত্র একটিতে জিতে ৩ পয়েন্ট পেয়ে গ্রুপের দ্বিতীয় স্থানে অবস্থান করছে। আর এই গ্রুপের পোল্যাণ্ড একটিতে জিতে ও একটিতে ড্র করে ৪ পয়েন্ট পেয়েছে। আগামীকাল (বুধবার) দিবাগত রাত ১টায় আর্জেন্টিনা ও পোল্যান্ডের ম্যাচ রয়েছে। কাল যে জিতবে সেই যাবে নকআউট পর্বে।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।