দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ মানুষের প্রতি সহমর্মিতা দেখাতে বলা হয় ধর্মে। এটিকে মানব জীবনের একটি বড় গুণ হিসেবেই দেখা হয়। তবে এক সমীক্ষায় বলা হলো, অন্যের প্রতি সহমর্মিতা দেখালেও নাকি বাড়তে পারে বিপদ!
আমাদের এই সমাজে বিভিন্ন স্তরের বিভিন্ন মানসিকতার মানুষ বসবাস করে থাকেন। সকলের সঙ্গে সমানভাবে মিলেমিশে থাকতে গেলে কিছু শিক্ষা ছোট হতেই দিতে হয়। নানা রকম সহবৎও শেখানো হয়। অন্যের কষ্টে সমব্যথী হতে শেখানো হয়। শেখানো হয় অন্যের জায়গায় নিজেকে বসিয়ে পরিস্থিতি বিবেচনা করার কথা। তবে আপনি জানেন কি এই সহমর্মিতারও ‘অন্ধকার’ একটি দিক রয়েছে?
মনোবিদরা জানিয়েছেন, অন্যের শোকে কাতর হওয়ার মধ্যেও অদ্ভুত আনন্দ রয়েছে। সহমর্মিতা মানুষের মনে তেমনই একটি প্রভাব ফেলে। শুধু তাই নয়, তারা বলেছেন নির্দিষ্ট কোনও ব্যক্তি কার কষ্টেও কষ্ট পাবেন, তারও আবার ব্যাখ্যা রয়েছে। অন্যের কষ্ট বা মনের অনুভূতিকে তাঁরা নিজের জীবনের ঘটনার সঙ্গেও তুলনা করেন। সকলের দুঃখেই যে তারা দুঃখিত হবেন, তার কোনও মানে নেই। একই রকম কষ্ট কিংবা দুঃখের অনুভূতির মধ্যেদিয়ে গিয়েছেন যারা, তারা নিজেদের মধ্যে একটি দল তৈরি করে ফেলেন।
এই সহমর্মিতা কখনও কখনও উল্টো দিকের দলটির বিপক্ষে যারা থাকেন, তাদের জন্য ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করে থাকে। যার প্রভাব হয় সুদূরপ্রসারী। মানুষ, সমাজ, দেশের গণ্ডী পেরিয়ে এই সহমর্মিতা তখন যুদ্ধের অন্যতম একটি ‘হাতিয়ার’ হয়ে ওঠে অনেক সময়।
কারও পক্ষ নিয়ে কথা বলা কিংবা তার কষ্টে কষ্ট পাওয়ার মানে মুখে না বললেও উল্টো দিকের মানুষটিকেই কাঠগড়ায় দাঁড় করানো। তাহলে কী সহমর্মিতা দেখানো আসলেও অন্যায়?
চিকিৎসক ও মনোবিদদের বক্তব্য হলো, কারও সঙ্গে নিজের মনের কথা আলোচনা করা, সুখ-দুঃখ ভাগ করে নেওয়া মোটেও অন্যায় নয়। আবার ঠিক তেমনই অন্যের দুঃখের কথা শুনে তাকে মানসিক জোর দেওয়াও মোটেও ভুল নয়। তবে অন্যের কষ্ট বোঝা ও নিজেকে সেই জায়গায় বসিয়ে দেওয়ার মধ্যে একটি সূক্ষ্ম পার্থক্যও রয়েছে। সেই ‘লাইন অফ কন্ট্রোল’ লঙ্ঘন করে ফেললে ঘটবে বিপদ।
তবে অন্যের অবসাদ যদি আপনার মনের ঘরের দখল নেয় ও দৈনন্দিন জীবনে তার প্রভাব পড়ে, সেটি একেবারেই সুখকর হবে না। অন্যের পাশে দাঁড়ানোর পরও ঠিক কতোটা দূরত্ব রাখতে হবে, তা না জানলে বিপদ আরও বাড়তে পারে। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।
This post was last modified on নভেম্বর ৩০, ২০২২ 2:45 অপরাহ্ন
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ডের পর গত শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) একযোগে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ফিলিস্তিনের গাজায় সামরিক অভিযান নিয়ে প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে কয়েক…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ এক ব্যতিক্রমি নিলাম! ১০০ টন জীবন্ত এক কুমির নিলামের দর…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শুভ সকাল। মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫ খৃস্টাব্দ, ১৬ বৈশাখ ১৪৩২…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ গরমে হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি এড়াতে শুধু পানিই খেতে হবে? তা…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ সম্প্রতি চীনের হেফেইতে অনুষ্ঠিত জ্যাক গ্লোবাল পার্টনারস কনফারেন্স ২০২৫-এ বাংলাদেশের…