দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শীতের এই মৌসুম বড়দের জন্য আরামদায়ক হলেও শিশুদের জন্য খুব একটা সুখকর নয়। শীতকালে শিশুদের যত্নে যে বিষয়গুলো খেয়াল রাখতে হবে।
শীত পড়লেই অনেকের গোসলঘরে খিল। বড়দের জন্য শীতকাল যেমন-তেমন শিশুদের তো ইচ্ছে থাকলেও খিল দেওয়ার কোনো উপায় নেই। বার বার খাওয়া ও জামা ভিজিয়ে ফেলার পর শিশুদের পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখতে এই শীতেও জোর করে গোসল করাতে বাধ্য হন মায়েরা। তবে বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, প্রতিদিন গোসল না করিয়েও বাচ্চার পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা সম্ভব। এরজন্য জানা দরকার কয়েকটি জরুরি তথ্য।
শীতকালে বাচ্চাদের ত্বক ভালো রাখতে যা করবেন
উষ্ণ পানিতে গা মোছা
শীতকালে সদ্যোজাত শিশুদের যে প্রতিদিন গোসল করাতেই হবে, এমনটি একেবারেই নয়। পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখতে গেলে যেটুকু প্রয়োজন ওইটুকুই তাদের জন্য যথেষ্ট। শিশুদের এমনিতেই বেশি একটা ঘাম হয় না, তাই খুব বেশি পানি ব্যবহার করার কোনো প্রয়োজন নেই। প্রতি বার খাওয়ানোর পর গরম পানিতে পরিষ্কার কাপড় ভিজিয়ে মুছে নেওয়াই যথেষ্ট। গোসল যদি করাতেই হয়, তাহলে এক দিন অন্তর উষ্ণ পানি ব্যবহার করুন।
মালিশ করুন
শিশুর ত্বক ভালো রাখতে প্রতিদিন মালিশ করাটা জরুরি। হালকা গরম তেল দিয়ে বাচ্চাদের প্রতিদিন মালিশ করলে ত্বকের আর্দ্রতা যেমন বজায় থাকবে, তেমনি দেহে রক্ত সঞ্চালনও ভালো হবে। ঠাণ্ডা লাগার ধাত থাকলে তাও সারিয়ে তুলতে পারে।
ভিজে জামা থেকে সাবধান
শীতকালে বেশিক্ষণ ভিজে জামা কিংবা ডায়াপার পরে থাকলে ঠাণ্ডা লাগার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। তাই কিছুক্ষণ পর পরই খেয়াল করতে হবে- পোশাক ভিজে গিয়েছে কি না। এই সময় শিশুদের গরম পোশাকও পরাতে হবে। তাই উপর থেকে চট করে বোঝা যায় না যে পোশাক ভিজে রয়েছে কি না। ভিজে জামা বেশিক্ষণ পরে থাকলে ঠাণ্ডা লাগাও এড়ানো যায় না।
ত্বকের আর্দ্রতা
ভিজে জামা কিংবা ডায়াপার পরার কারণে ত্বকে র্যাশ বেরোতে পারে। ত্বক শুষ্ক হয়ে যেতে পারে। তাই সকালে তেল মালিশ করবেন, তেমনিভাবে দুপুর কিংবা বিকেলের দিকে সারা দেহে মাখান ময়েশ্চারাইজ়ার। ন্যাপি পরে ত্বকে র্যাশ বেরোলে তার জন্য চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী পৃথক ক্রিমও মাখাতে পারেন ইচ্ছে করলে।
ডায়াপার ব্যবহার
বেশিক্ষণ ন্যাপি পরে থাকলে বাচ্চাদের ত্বকে সমস্যা হতে পারে ভেবে অনেকেই ডায়াপার পরাতেই চান না। আবার কেও কেও বার বার জামা ভিজিয়ে ফেলার হাত থেকে মুক্তি পেতে সারাক্ষণই ডায়াপার পরিয়ে রাখতে পছন্দ করেন। দু’ক্ষেত্রেই সুবিধা যেমন রয়েছে, ঠিক তেমনি সমস্যাও রয়েছে। তাই কতোক্ষণ ডায়াপার পরিয়ে রাখবেন তা বুঝতে হবে শিশুর মাকেই। মোট কথা বুঝে শুনেই সব ম্যানেজ করতে হবে। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।