দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ভিটামিন সি’র অভাবে শরীরে দেখা দিতে পারে অনেক ক্রনিক উপসর্গ। কী দেখে বুঝবেন শরীরে ভিটামিন সি’র ঘাটতি দেখা দিচ্ছে? এর সঙ্গে দাঁতেরও কী সম্পর্ক রয়েছে?
শরীরের শ্বেতকণিকার সংখ্যা বাড়িয়ে রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়াতে পারে ভিটামিন সি। শুধু তাই নয়, অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট হিসাবেও এর কদর রয়েছে যথেষ্ট। ফ্রি র্যাডিকালস এবং অক্সিডেটিভ স্ট্রেসের হাত থেকে শরীরকে বাঁচায় এই ভিটামিন সি। চুল এবং ত্বকের যত্নেও এটি অপরিহার্য। এটি কোলাজেন সিন্থেসিসের জন্যেও প্রয়োজনীয় উপাদান। খাওয়া-দাওয়ার অনিয়মের কারণে শরীরে এই ভিটামিনের ঘাটতি হয়ে থাকে।
শরীরে ভিটামিন সি’র অনুপস্থিতি মোটেও প্রাথমিকভাবে টের পাওয়া যায় না। যে কারণে উপসর্গ দেখা না যাওয়ায় এই অভাবকে উপেক্ষা করতে করতে এমন একটা পর্যায়ে চলে আসে, যখন এটি ক্রনিক অ্যানিমিয়া হয়ে যায়। শরীরে দেখা দেয় অনেক ক্রনিক উপসর্গ। আপনি কী দেখে বুঝবেন শরীরে ভিটামিন সি’র ঘাটতি দেখা দিচ্ছে?
# এই ভিটামিনের অনুপস্থিতির কারণে কোলাজেন উৎপাদন কমে যায়। যে কারণে ত্বকের বাইরের স্তর পাতলা এবং ফ্যাকাসে হতে থাকে। ত্বকের নীচের রক্তজালকগুলোও তখন ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ত্বকে র্যাশ, চুলকানির সমস্যাও দেখা দেয়।
# ভিটামিন সি’র অভাবে রক্তে শ্বেত রক্তকণিকাও তৈরি হতে পারে না। তাই শরীর কোনও জীবাণুর আক্রমণই তখন ঠেকাতে পারে না। যে কারণে ভাইরাল সংক্রমণের কবলে মাঝেমধ্যেই পড়তে হয়।
# সাপ্লিমেন্ট খাওয়ার পরেও অ্যানিমিয়ার হানা না কমলে অবশ্যই পাতে ভিটামিন সি’র পরিমাণ বাড়িয়ে দিতে হবে। ক্লান্তিবোধ, ঘন ঘন মাথাব্যথা সঙ্গে রক্তাল্পতার চোখ রাঙানি আদতেও ভিটামিন সি’র অভাবকেও বোঝানো হয়।
# দাঁতের গোড়াতে ক্যালশিয়াম জমা, মাড়ি দুর্বল হয়ে যাওয়া, মাড়ি থেকে রক্তপাত- এই ভিটামিনের অভাবের লক্ষণও হতে পারে। দীর্ঘদিন ধরে দাঁতের সমস্যায় ভুগলে অবশ্যই সচেতন হতে হবে।
# এই ভিটামিনের স্বল্পতা চুলের গোড়াকে আলগা করে ফেলে এবং চুল পাতলা করে। অকালে চুল ঝরে যাওয়ার অন্যতম কারণও হতে পারে এই ভিটামিনের অভাব। চুলের যে কোনও প্রসাধনে সে কারণে আমলকি, লেবুর উপাদান থাকে। কোনও অসুখ ছাড়া ঘন ঘন চুল উঠলে ভিটামিন সি’র জোগানে মনোযোগ দিতে হবে। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।
This post was last modified on ডিসেম্বর ১৯, ২০২২ 2:42 অপরাহ্ন
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ব্রণ বিষয়ে চিকিৎসকরা মনে করেন, অ্যাডাল্ট অ্যাকনির নেপথ্যে মূল কারণ…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ সেরা প্রযুক্তি আও উদ্ভাবনের জোরে বিনোদনের সংজ্ঞাকে প্রতিনিয়ত পাল্টে দিচ্ছে…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ভিটামিন বি১২ শরীরের কতগুলো গুরুত্বপূর্ণ কাজ পরিচালনা করে। তাই এই…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আজ (সোমবার) আজিমপুর কবরস্থানে চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন বাংলা সিনেমার কিংবদন্তী…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে ইসরায়েলি বর্বর হামলায় গত ৩ দিনে…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ভিডিও ভাইরাল করতে গিয়ে এক যুবক দেশলাই জ্বালিয়ে পেট্রোলের উপর…