দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ লিওনেল মেসি মানেই রেকর্ডের ছড়াছড়ি। আর্জেন্টিনা অধিনায়ককে নিয়ে এ পর্যন্ত সবচেয়ে বড় যে আলোচনা তা হলো, ‘তিনিই কী তাহলে সর্বকালের সেরা?’
২৬ ম্যাচ
বিশ্বকাপে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলার তালিকায় শীর্ষে উঠে গেলেন লিওনেল মেসি। সেমিতেও ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে ছুঁয়েছিলেন লোথার ম্যাথিউসের ২৫ বিশ্বকাপ ম্যাচ খেলার রেকর্ড। কাতারে শিরোপা নিশ্চিতের রাতে অর্থাৎ ফাইনাল ম্যাচে চ্যাম্পিয়ন মেসি খেলেছেন ২৬টি ম্যাচ।
২,৩১৪ সর্বোচ্চ সময় মাঠে থাকার রেকর্ড
বিশ্বকাপে সবচেয়ে বেশি সময় খেলার পাশে নিজের নাম লিখতে মেসির প্রয়োজন ছিল মাত্র ২৪ মিনিট, ফাইনালে ফ্রান্সের বিপক্ষে খেলেছেন পুরো ১২০ মিনিট সময়। এতে সর্বোচ্চ সময় মাঠে থাকার রেকর্ডও নিজের করে নিয়েছেন মেসি। পাওলো মালদিনির ২,২১৭ মিনিট পেছনে ফেলে ২,৩১৪ মিনিট খেলে মেসি রয়েছেন সবার শীর্ষে।
১৯ ম্যাচ
বিশ্বকাপে অধিনায়ক হিসেবেও সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলেছেন মেসি। ১৯টি ম্যাচে নেতৃত্বের আর্মব্যান্ড পরেই নেমেছিলেন। তালিকায় দুইয়ে রয়েছেন মেক্সিকোর রাফায়েল মারকুয়েজ (১৭ ম্যাচ) এবং তার স্বদেশি কিংবদন্তি ডিয়েগো ম্যারাডোনা (১৬ ম্যাচ)।
১৭ ম্যাচ
জার্মানদের সাবেক মিরোস্লাভ ক্লোসার সমান সর্বোচ্চ বিশ্বকাপ ম্যাচ জিতেছেন মেসি। ফাইনাল জেতার মধ্যদিয়ে ছুঁয়ে ফেলেছেন ক্লোসার ১৭ ম্যাচ জয়ের দুর্দান্ত রেকর্ডটিও।
১৩ গোল
ফিফা বিশ্বমঞ্চে সবচেয়ে বেশি গোল করার তালিকায় যৌথভাবে জাস্ট ফন্টেইনের সঙ্গে ৪ নম্বরে রয়েছেন মেসি। বৈশ্বিক আসরে সবচেয়ে বেশিবার জাল খুঁজে পান জার্মানির মিরোস্লাভ ক্লোসা (১৬ গোল), দুইয়ে রয়েছেন ব্রাজিলের রোনাল্ডো (১৫ গোল), তিনে জেরার্ড মুলার (১৪ গোল)। ফাইনালে জোড়া গোল করে পেলের ১২ গোল ছাড়িয়ে জাস্ট ফন্টেইনকে (১৩ গোল) ছুঁয়েছেন মেসি।
৫ ম্যাচে সেরা ফুটবলারের পুরস্কার
চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পথে গ্রুপপর্ব এবং নকআউট মিলিয়ে পাঁচ ম্যাচে সেরা ফুটবলারের পুরস্কার জিতেছেন মেসি। বিশ্বকাপের ইতিহাসে অন্য কোনো খেলোয়াড়ের এমন কোনো কীর্তি নেই।
৯
শুধু গোল করাই নন, মেসি অ্যাসিস্টেও রয়েছেন সেরা অবস্থানে। ১০ বার সতীর্থদের দিয়ে গোল করিয়ে তালিকায় রয়েছেন শীর্ষে কিংবদন্তি পেলে এবং ৯ অ্যাসিস্টে দুইয়ে এমএল টেন।
টানা ৫টি বিশ্বকাপে গোল করার রেকর্ড
ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো যেমন টানা ৫টি বিশ্বকাপে গোল করার রেকর্ড গড়েছেন, ঠিক তেমনি অ্যাসিস্টের ক্ষেত্রে রেকর্ডটিও মেসির। ৫ বিশ্বকাপে সতীর্থদের দিয়ে গোল করানোর যে রেকর্ডটি সেটি আর কারো নেই।
৯৭ লাতিন দেশের সর্বোচ্চ গোল করার রেকর্ড
লাতিন দেশের হয়ে ছেলেদের ফুটবলে সর্বোচ্চ গোল করার রেকর্ডটিও রয়েছে মেসির। আর্জেন্টিনা জার্সিতে তার গোল রয়েছে মোট ৯৮টি।
মেসিই প্রথম
বিশ্বকাপে আকাশী-নীল জার্সিতে সবচেয়ে বেশি গোল করা মেসি নকআউট পর্বের সবকটিতেই পান গোল। শেষ ষোলো, কোয়ার্টার ফাইনাল, সেমিফাইনাল এবং ফাইনালে জাল খুঁজে পাওয়া খেলোয়াড় হিসেবে তিনিই প্রথম ও একমাত্র।
১৬ বছর বয়সে
কম বয়সে গোল করার তালিকাতেও রয়েছে মেসি। ১৬ বছর বয়সে ১৮০ দিনে জালের দেখা পেয়েছিলেন। তিনিই একমাত্র খেলোয়াড় যিনি ২০ বছরের আগে এবং পরে, ত্রিশের কোটায় পৌঁছেও জালে খুঁজে পেয়েছেন মেসি।
১১টি ম্যাচে সেরার পুরস্কার
বিশ্বকাপে সবচেয়ে বেশি ১১টি ম্যাচে সেরার পুরস্কারও উঠেছে মেসির হাতে। ৭ ম্যাচে সেরা হয়ে দুইয়ে রয়েছেন পর্তুগিজ মহাতারকা রোনালদো। যে কোনো টুর্নামেন্টে সেরার তালিকায়ও রয়েছেন মেসি। ওয়েসলি স্নেইডারের রেকর্ড টপকে গেছেন মেসি।
৫ বিশ্বকাপ
৫ বিশ্বকাপে অংশ নেওয়া ৬ জনের ছোট্ট তালিকায় রয়েছেন মেসি। ১৯৬৬ সালের পর কোনো বিশ্বকাপে টানা ৫ ম্যাচে গোল করার তালিকায় একাই রয়েছেন মেসি।
৭ ব্যালন ডি’অর জেতা
সাতবার ব্যালন ডি’অর জেতা প্রথম ও একমাত্র ফুটবলার হলেন মেসি। ইউরোপিয়ান ফুটবলে সবচেয়ে বেশি ৬টি গোল্ডেন বুটও তারই দখলে। জাতীয় দল ও ক্লাব ফুটবল মিলিয়ে ৫৬টি হ্যাটট্রিকও মেসির দখলেই রয়েছে।
২ বিশ্বকাপে গোল্ডেন বল
বিশ্বকাপে গোল্ডেন বল বা আসর সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কারও দুবার জিতেছেন মেসি। ২০১৪ সালের পর ২০২২ সালেও লিওর হাতে উঠেছে টুর্নামেন্ট সেরার পুরস্কারটি। ১৯৮২ সালের বিশ্বকাপে পুরস্কারটি চালু হওয়ার পর তিনিই প্রথম যিনি দুইবার জিতলেন এই খেতাবটি।
১৮ ডিস্মেবর কাতারের লুসেইল স্টেডিয়ামে শিরোপার মঞ্চে উত্তেজনার পারদ চড়িয়ে খেলার ৮০ মিনিট পর্যন্ত ২-০ গোলে পিছিয়ে থাকা ফ্রান্স সমতায় ফেরে ৮১ মিনিটে গোল করে। এমবাপের জোড়া গোল আর্জেন্টিনাকে থমকে দিলে খেলা গড়ায় অতিরিক্ত সময়। মেসি আবারও একটি গোল দিয়ে (৩-২) লিড আনলে সেটিও পরিশোধ করে ফ্রান্স। মেসির জোড়া গোল এবং এমবাপের হ্যাটট্রিকে শেষ সমাধান হলো টাইব্রেকার। ৪-২ শট ব্যবধানে মার্টিনেজ নৈপুণ্যে চ্যাম্পিয়ন হয় লিওনেল মেসির আর্জেন্টিনা। বিশ্ববাসীর অনেক প্রত্যাশা পূরণ হয় আর্জেন্টিনার চ্যাম্পিয়ন হওয়ার মধ্যদিয়ে।
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।
This post was last modified on ডিসেম্বর ২০, ২০২২ 12:47 অপরাহ্ন
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শুভ সকাল। শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪ খৃস্টাব্দ, ৩০ কার্তিক ১৪৩১…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ অনেকই সুজি খেতে খুবই ভালোবাসেন। তাই তারা প্রতিদিন সুজির পায়েস,…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ প্রথমবারের মতো প্যান ইন্ডিয়ান চলচ্চিত্র বানিয়েছেন নির্মাতা অনন্য মামুন। ঢালিউড…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আপনার যদি প্রতিদিন চিকেন খাওয়ার অভ্যাস থাকে, তাহলে জেনে রাখুন,…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ কোটা সংস্কার আন্দোলনের সংগঠন ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’- এর অন্যতম সমন্বয়ক…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নবনিযুক্ত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নির্বাচনী প্রচারণায় প্রতিশ্রুতি দেন…