মোটা হয়ে যাওয়ার ভয়ে বাদাম খাওয়া ছেড়ে দেওয়া কী ঠিক?

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ অনেকেই মনে করেন, বাদাম খেলে শরীরে মেদ জমে। যে কারণে রোগা হওয়ার ডায়েটে সেটি রাখতেই চান না। তবে এই ধারণাটি কী আদৌ সত্যি? আজ জেনে নিন বিষয়টি।

এটি ঠিক বাদাম খেলে অবশ্যই শরীরে ফ্যাট প্রবেশ করে, তবে শুধু এই কারণে প্রতিদিনের ডায়েট থেকে বাদাম বাদ দিয়ে দেওয়া যায় না।

নিয়মিতভাবে বাইরের খাবার খাওয়া,শরীরচর্চা না করা, অনিয়মিত জীবনযাপন- ওজন বেড়ে যাওয়ার জন্য এই কারণগুলোই কিন্তু যথেষ্ট। এক বার ওজন বেড়ে গেলে রোগা হওয়াও সহজ নয়। আর তখন অনেক পরিশ্রমও করতে হয়। বেশ কিছু খাবার থেকে তখন দূরে থাকতে হয়। অনেকেই মনে করেন, বাদাম খেলে শরীরে মেদ জমে যাবে। যে কারণে রোগা হওয়ার ডায়েটে বাদাম রাখতেই চান না।

তবে গবেষণা সে কথা বলছে না। বরং ওজন ঝরাতে বাদামের ভূমিকা অপরিহার্য বলে জানা যায়। শুধু গবেষকরাই নন, পুষ্টিবিদরাও বলেছেন একই কথা। প্রকৃতপক্ষে বাদাম বহু গুণে সমৃদ্ধ। শরীর চনমনে রাখা থেকে রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়ানো- সবেতেই এগিয়ে আছে বাদাম। তবে বাদাম ওজন কমাতে পারে, সেই গুণটি এতোদিন আড়ালেই ছিল। সাম্প্রতিক একটি গবেষণায় উঠে এসেছে এই বিষয়টি। বাদাম ওজন বাড়িয়ে দিতে পারে, এই ভাবনা যে একেবারেই অমূলক, তা কিন্তু নয়। কারণ হলো ১০০ গ্রাম বাদামে রয়েছে ৫৬৭ ক্যালোরি, ২৫ গ্রাম প্রোটিন, ১৬ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট ও ৫০ গ্রাম ফ্যাট। সেইসঙ্গে বাদামে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার, ওমেগা ৬ ফ্যাট। বাদাম খেলে শরীরে অবশ্যই ফ্যাট প্রবেশ করে, তবে শুধু এই কারণে প্রতিদিনের ডায়েট থেকে বাদাম বাদ দিয়ে দেওয়া যাবে না। তবে এতে টি অ্যাসিডও রয়েছে ভরপুর মাত্রায়।

পুষ্টিবিদরা মনে করেন, বাদামের মতো উপকারী খাবার খুব কমই রয়েছে। বিশেষ করে যারা ওজন কমাতে চান, তাদের জন্য বাদামের মতো স্বাস্থ্যকর খাবার দ্বিতীয়টি নেই। চিনাবাদাম, কাজুবাদাম, কাঠবাদাম- বাদামের বিভিন্ন প্রকারভেদ বিদ্যমান। অনেকের প্রশ্ন, সবগুলোই কি ওজন কমানোর ক্ষমতা রাখে? পুষ্টিবিদরা জানিয়েছেন, বাদাম মাত্রই উপকারী। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।

করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়

# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।