দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ করোনার প্রাদুর্ভাব কাটিয়ে খানিকটা ছন্দে ফিরেছে গোটা বিশ্ব। ইতিমধ্যেই শেষ হয়ে এসেছে ২০২২ সাল। শীতকালীন ছুটির সময় বেড়াতে যাওয়ায় স্বাভাবিক। তবে বেড়াতে গেলে আপনার স্মার্টফোনটি একটি গুরুত্বপূর্ণ। আজ সেই বিষয়ে রয়েছে আলোচনা।
বর্তমান সময় মোবাইল ফোন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ শুধু যোগাযোগই নয়, বেড়াতে গেলে ছবি তোলার ক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা রাখে এই স্মার্টফোন। তাই ভ্রমণের সময় নিজের ফোনে কিছু গুরুত্বপূর্ণ কাজ সেরে রাখায় ভালো। কোনও কোনটি কাজে লাগবে জরুরি সময়, আবার কোনটি কাজে লাগবে নেটওয়ার্ক কিংবা ব্যাটারির সমস্যা হলেও।
এমার্জেন্সি ব্রডকাস্ট নোটিফিকেশন সক্রিয় রাখা
কোনও স্থানে ভ্রমণ করার সময় এই নোটিফিকেশন ‘অন’ রাখা প্রয়োজন। হতেই পারে এমন কোনও দূরবর্তী এলাকায় কেও ভ্রমণে গিয়েছেন যেখানে ভূমিধস কিংবা অন্য কোনও প্রাকৃতিক দুর্যোগের প্রবণতা বিদ্যমান। সেখানে মোবাইল ফোনের এই ফিচারটি অগ্রিম সতর্ক বার্তা জানিয়ে দিতে পারে, AMBER অ্যালার্ট প্রদান করে সাহায্যও করতে পারে।
লক স্ক্রিনে মেডিকেল আইডি ও জরুরি পরিচিতি রাখা
স্মার্টফোনে জরুরি যোগাযোগের তথ্য ও চিকিৎসা সংক্রান্ত তথ্যও রাখা দরকার। এতে কোনও রকম সমস্যা হলে যে কোনও মানুষ পরিবারের সঙ্গে খুব সহজেই যোগাযোগও করতে পারবেন।
আপনার অ্যান্ড্রয়েড ফোনের ক্ষেত্রে প্রথমেই সেটিংস-এ যেতে হবে। তারপর সেখান থেকে আবাউট > ইমার্জেন্সি ইনফরমেশন> এন্টার অল ইনফো > মেডিক্যাল ইনফো>এডিট ইনফরমেশন অ্যান্ড অ্যাড। এখানে রক্তের গ্রুপ, কোনও রোগ কিংবা সমস্যা থাকলে তা লিখে রাখা ভালো।
আইফোনের ক্ষেত্রে হেল্থ অ্যাপ-এ গিয়ে আপনাকে ‘মেডিক্যাল আইডি’-তে যেতে হবে। সেখানে জরুরি যোগাযোগ-সহ সমস্ত প্রয়োজনীয় বিবরণই লিখে রাখতে হবে।
স্থানীয় গুরুত্বপূর্ণ যোগাযোগের বিবরণ সংরক্ষণ
যে এলাকায় ভ্রমণ করা হচ্ছে, সেখানকার স্থানীয় কর্তৃপক্ষ যেমন- দূতাবাস, পুলিশ ও অন্য গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তাদের যোগাযোগের বিশদ বিবরণ নিজের স্মার্টফোনে রাখতে হবে। এগুলো কাজে লাগতে পারে যে কোনও সময়।
AirTags বা অন্য ট্র্যাকিং ডিভাইস
ভ্রমণের সময় নিজের লাগেজ ও অন্য সামগ্রী নজরে রাখতে AirTags কিংবা টাইলের মতো ট্র্যাকিং ডিভাইসগুলোও ব্যবহার করতে পারেন।
অফলাইন মানচিত্র
গুগল ম্যাপ ব্যবহারকারীদের অফলাইনেও ম্যাপ ডাউনলোড করতে দেয়। গাড়িতে ভ্রমণ কিংবা ট্রেকিং-এর পরিকল্পনা থাকলে নিজের স্মার্টফোনে অফলাইনে ম্যাপ ডাউনলোড করে নিতে হবে। এটি ইন্টারনেট সংযোগ ছাড়াও সঠিক দিকনির্দেশ খুঁজে পেতে সহায়তা করবে।
গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র ফোনেই
স্মার্টফোনে নিজের গুরুত্বপূর্ণ নথি, যেমন পাসপোর্ট, ড্রাইভিং লাইসেন্স ইত্যাদির একটি ডিজিটাল কপি সব সময় রাখা প্রয়োজন। সে জন্য ডিজিলকার অ্যাপ ব্যবহার করতে পারেন। না হলে বিকল্প ব্যবস্থা হিসেবে নিজের প্রয়োজনীয় নথিগুলোর স্ন্যাপশট নিয়েও সুরক্ষিত ফোল্ডারে সংরক্ষণ করে রাখতে পারেন।
ইউপিআই-ভিত্তিক অ্যাপ ও পরিষেবা
বেড়াতে গেলে নগদ টাকা সঙ্গে রাখা সব সময়ই গুরুত্বপূর্ণ। তবে কিছু ইউপিআই-ভিত্তিক কিংবা ওয়ালেট-ভিত্তিক অর্থ লেনদেনের অ্যাপ ও পরিষেবাগুলোও সক্রিয় করে রাখা দরকার। বিপদে এগুলো কাজে আসতে পারে।
স্মার্টফোনে ডেবিট বা ক্রেডিট কার্ডের বিবরণ
স্মার্টফোনে ডেবিট বা ক্রেডিট কার্ডের বিবরণ সংরক্ষণ করতে পারেন। তবে এটি খুব সাবধানে করতে হবে। কোনও কোনও ফোনে কেবলমাত্র সুরক্ষিত উপায়ে এই ধরনের পরিষেবা দেওয়া হয়। এটি সক্রিয় করে রাখা যেতে পারে।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।